কালার ইনসাইড

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন ইউটিউবার হিরো আলম। ব্যক্তিগত কারণে তিনি সেখানে গেছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে তিনি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণে হিরো আলম ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। তিনি একটি বিষয়ে ডিবি পুলিশের সহযোগিতা চান। এ ব্যাপারে কাজ শেষে বের হয়ে কথা বলবেন।

সম্প্রতি পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে ছুটে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমসহ অনেকেই।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলে তখন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সেখানে যাওয়ায় তদন্তের স্বার্থে সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

এর আগে গত বছরের ২৭ জুলাই পুলিশের এই গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হিরো আলমকে ডেকে পাঠানো হয়। তখন হিরো আলম বলেছেন, এদিন ভোর ৬টার দিকে ডিবির লোকজন তার রামপুরার অফিস থেকে তাকে তুলে আনে। দুপুর ২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে ডিবি জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া পুলিশের ড্রেস পরে ঘুরে বেড়ানো এবং রবীন্দ্রসংগীতসহ সংস্কৃতি বিকৃতি করার অভিযোগে হিরো আলমকে ডেকেছিল ডিবি পুলিশ।

ডিবি আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর মুচলেকা দিয়েছেন হিরো আলম। মুচলেখায় উল্লেখ করে হিরো আলম বলেছেন, তিনি আর কখনও এমন কিছু করবেন না।

ডিবি কার্যালয়   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হুঁশিয়ারি দিয়ে পরিমণি বললেন, ‘এবার কিন্তু আর ছেড়ে কথা বলব না’

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের চিত্রনায়িকা পরীমণি। আলোচনা-সমালোচনা যেন তার পিছু ছাড়ছে না। রুপালি পর্দা সফলভাবে সামলালেও ঘর সামলাতে তিনি যেন হিমশিম খাচ্ছেন। কার কুনজরে এ অবস্থা তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। তবে কিছুদিন পরপর যে ঘটনাগুলো ঘটছে তাতে নিশ্চিত করেই বলা যায়- এ যেন সুখের ঘরে দুঃখের হানা। 

সম্প্রতি পরীমণির স্বামী শরীফুল রাজ, সুনেরাহসহ কয়েকজনের ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে এখনও চর্চা চলমান। সেই চর্চায় হঠাৎ আবির্ভাব সিনিয়র এক নায়িকার। পরীমণি তাকে ‘দিদি’ সম্বোধন করে আজ বৃহস্পতিবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দিদির নাম উহ্য রেখে এক হাত নিয়েছেন এই নায়িকা, দিয়েছেন কঠোর হুঁশিয়ারি।  

পরীমণি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এবার কিন্তু আর ছেড়ে কথা বলব না। দিদি মিড লাইফ ক্রাইসিস ঠিকঠাক ডিল না-করাটাও কিন্তু বিশাল মানসিক সমস্যা। একবার ৬ তলা বাড়ির মালিক বানায়ে দিছিলেন আমাকে। বাড়ি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন আবার আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে পরতে যাবেন না দিদি।

হুমকিটা স্পষ্ট। তবে পরীমণি কাকে দিলেন এই হুমকি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের না-চেনার কথা নয়। এবার দেখা যাক ‘দিদি’ এই হুমকি কীভাবে নেন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দিলেন তানজিন তিশা!

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে এক পোস্তের মাধ্যমে তানজিন তিশা নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পোস্টে তিশা ভিডিওকে একান্ত ব্যক্তিগত বলে দাবি করে কারো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন। এছাড়াও ভিডিওটি পরীমনি ফাঁস করেছেন এমন ইঙ্গিত দিয়ে শরীফুল রাজ কেন অ্যাকশন নিচ্ছেন না সে প্রশ্নও তুলেছেন।

দেশে ফিরতে যে বা জড়িত, যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তানজিন তিশা। তানজিন তিশা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জানিয়ে বলেন দুটি শো-তে অ্যাটেন্ড করার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আমি আমেরিকাতে আছি । বাংলাদেশে যখন সকাল তখন এখানে গভীর  রাত। এজন্য বাংলাদেশের খবরাখবর খুব বেশি জানি না আমি।

আমাকে জড়িয়ে যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, সেটি পরে আমি দেখেছি, জানতে পেরেছি।ভিডিওটি ব্যক্তিগত, এটার ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই- এমনটাই জানিয়ে বলেন, প্রথমত, বিষয়টি দুঃখজনক।  এটা নিয়ে আমি বলতে চাই, স্যোশাল মিডিয়াতে আমার যে ভিডিও আপ করা হয়েছে সেটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত ভিডিও । ৬-৭ বছর আগে আমরা বন্ধুরা ফান করে ভিডিওটি করেছিলাম।

যেহেতু এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও, তাই এটার এক্সপ্লেনেশন দেয়ার কিছু আছে বলে মনে করিনা। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জীবন আছে, পার্সোনালিটি আছে, ব্যক্তিগত ব্যাপার আছে যেটাকে জাজ করার অধিকার অন্য কাউকে আমি দিতেও চাইনা। তাই আমার দর্শক ও অনুরাগীদের উদ্দেশ্য এতটুকুই বলব ৬-৭ বছর আগের সামান্য একটা ক্লিপ দিয়ে ব্যক্তি তানজিন তিশাকে জাজ করে ফেলবেন না, প্লিজ। 
দর্শকদের উদ্দেশ্য করে তিশা বলেন, আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়ায় আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি... আমার অভিনয় আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখবেন , আমি আমার অভিনয় দিয়েই আপনাদের কাছে বেঁচে থাকতে চাই সবসময়, প্রিয় হয়ে থাকতে চাই। যদিও আমি বলেছি  আমার এই ঘটনা নিয়ে কাউকে এক্সপ্লেনেশন দিতে চাই না তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আর দর্শকদের যদি এই ঘটনা বিব্রত করে, কষ্ট দেয় আমি মন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করছি।

ভিডিওকে কিছু গণমাধ্যম গোপন বলায় আপত্তি জানিয়েছেন তিশা। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, এই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, অনালাইন নিউজে, ফেসুবকে গ্রুপে, কমেন্টে বলা হচ্ছে/লেখা হচ্ছে ‘‘শরীফুল রাজের সঙ্গে  তিশার আপত্তিকর বা গোপন  ভিডিও ফাঁস’’।  যথাযথ সম্মান নিয়েই আপনাদের বলছি, এই ভিডিওর মধ্যে শরীফুল রাজ কোথা  থেকে এলো? কী গোপনীয়তা এখানে?  তার ফেসবুক আইডি থেকে এটি প্রকাশ পেয়েছে বলেই কেন ভাবছেন সেখানে আমি তার সাথে আছি। ভিডিওতে আমি একা এবং সেটা কোনও আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও না, বরং সেটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ৷ সুতরাং ‘‘আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও ফাঁস’’ শব্দগুলো কারেকশন করা উচিত। এটা বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক। 

পরীমণির নাম উল্লেখ না করে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে তানজিন তিশা বলেন, এমন অভিমত জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, তৃতীয়ত—একজন মানুষের প্রাইভেসি, হেম্পার  করা , হ্যারেজমেন্ট করা  বা পারসোনাল ভিডিও অনুমতি ছাড়া পাবলিকলি প্রকাশ করা , এটা বিগ ক্রাইম। সো যার আইডি বা যিনি এটি আপ করেছেন বাংলাদেশে ফিরে আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে ইতিমধ্যেই অনেকই ধারণা করতে পারছেন,অনেকের মুখে মুখেও এটি শোনা যাচ্ছে  কে বা কারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি এখানে কারোর নাম উল্লেখ করতে চাই না, আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে পদক্ষেপ নেব। সেই আইনই বলে দেবে কে বা কারা এই ব্যাক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে, কে বা কারা এই ভয়ংকর অপরাধে জড়িত। 

শরীফুল রাজের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,  চতুর্থত- শরীফুল রাজের আইডি থেকে ভিডিওগুলো আপ করা হয়েছে এবং রাজ তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু দুঃখ প্রকাশেই কেন ঘটনা শেষ করতে চাইছ রাজ?  এই যে তোমাকে জড়িয়ে কয়েকটা মেয়ের সম্মান নষ্ট হলো, তাদের ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল সবাই, পরিবারের সামনে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে, এত  সিলি সিলি ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভিডিও গুলোকেও আপত্তিকর বানানো হলো, এই দায়ভার কী তোমার না? কারণ তুমিই তো বলেছ তোমার আইডি হ্যাক করা হয়েছে। তোমার দায়িত্বশীলতার জায়গায় তুমি কী করছ?  কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছ না? কেন এর পিছনের মূল হোতাকে খুঁজে বের করছ না? 

দেশে ফিরেই ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে তানজিন তিশা বলেন, যদিও দেশে এসেই আমি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব, তবুও রাজ আমি তোমার কাছ থেকে এতটুকু দায়িত্বশীল মনোভাব আশা করেছিলাম সত্যি। আসলে তানজিনা তিশা তার কাজ দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং কাজ নিয়েই এই পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে আছে দর্শকের মনে কাজ নিয়েই থেকে যেতে চায়। তাই দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের তানজিন তিশা কে কাজের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখুন। 

যেহেতু সুনেরাহ বিনতে কামাল স্পষ্টতই পরীমনির নাম বলেছেন, সেহেতু পরীমনির নামই শোনা গেছে। আর তানজিন তিশা আইনি ব্যবস্থা নেবেন, নাম না বলেও প্রচ্ছন্নভাবে পরীমনির নাম উল্লেখ করলেন সেটা তো স্পষ্ট।  

পরীমণি   রাজ   ভিডিও ফাঁস   মা   সন্তান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রয়াণ দিবসে প্রকাশ পেলো কে কে'র শেষ মারাঠি গান

প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ভারতীয় সংগীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কে কে) দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন ঠিক এক বছর আগে এই দিনে। তার রেকর্ড করা শেষ মারাঠি গানটি প্রকাশ হয়েছে তার প্রয়াণ দিনে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কে কে’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ গানটি প্রকাশ করেছে মারাঠি সিনেমা ‘আমব্রেলা’ টিম। ‘একান্ত হাওয়া’ শিরোনামের গানটি ‘আমব্রেলা’ সিনেমার জন্য কে কে রেকর্ড করেছিলেন মৃত্যুর দুই মাস আগে।

‘একান্ত হাওয়া’ গানে সুর করেছেন সন্তোষ মুলেকর। গান রেকর্ডের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, “কে কে ওই সময়ে অনেক ব্যস্ত ছিলেন। অত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের গানের রেকর্ড করার জন্য তিনি যে সময় বের করতে পেরেছিলেন সেটি আমাদের সৌভাগ্য। “

মুলেকর এই সংগীত শিল্পীকে একজন ‘চমৎকার’ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, মারাঠি সিনেমার প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ছিল, আর মারাঠি গাইতেনও দারুণ।

গত বছরের ৩১ মে কলকাতায় এক কনসার্টে গান গাওয়ার পরপরই অসুস্থ হয়ে ৫৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান কে কে। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগুসহ নানা ভাষায় গাইতে পারা এই শিল্পী লাইমলাইটে চলে আসেন পাল, ইয়ারো গানগুলোর মাধ্যমে।

চলচিত্রে তিনি অবদান রেখেছেন ‘তাড়াপ তাড়াপ’, ‘ডোলা রে’, ‘ক্যায়া মুঝে প্যায়ার হ্যায়’, ‘সাচ কেহ রাহা হ্যায় দিওয়ানা’, ‘জিন্দেগি দো পাল কি’, ‘আলবিদা’, ‘তু হি মেরি সাব হ্যায়’, ‘খুদা জানে’, ‘আঁখোমে তেরি’সহ নানা গানের মাধ্যমে।

কে কে তার ক্যারিয়ারে পাঁচবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। 

সংগীতশিল্পী   কে কে  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সিনেমা দেখতে গিয়ে সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পরীমণি

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

‘আলোটা নেভান, বাচ্চার চোখে লাগছে। আমার বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে, আপনারা কি পাগল’-এভাবেই ইউটিউবারদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঢালিউডের লাস্যময়ী নায়িকা পরীমণি। তবে কেউ পরীর এই আকুতি শোনেননি। এমন পরিস্থিতিতে মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় পুত্র রাজ্যকে নিয়ে বাধ্য হয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন পরী।

বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় নিজের অভিনীত সিনেমা ‘মা’ দেখতে পুত্র রাজ্যকে নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে হাজির হন পরীমণি। দর্শক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বসে সিনেমাটি উপভোগ করেন তিনি। তবে বিপত্তি বাধে শো শেষ হতেই। সেখানেই ক্ষেপে যান পরীমণি।

বাসায় ফিরে মধ্যরাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরী লেখেন, আজ আমি একসাথে অনেক কষ্ট আর অনেক আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরলাম ‘মা’ সিনেমা দেখতে গিয়ে! কষ্ট পেয়েছি কারণ, আমার বাচ্চাটা অনেক ভয় পেয়েছে। রাজ্য যখন অনেক ছোট তখন থেকেই আমি ওকে নিয়ে হলে গিয়ে ছবি দেখেছি অনেক বার। শো শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছি সবসময় সুন্দর শৃঙ্খলা পরিবেশে। কিন্তু আজকে এমন উচ্ছৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করল কেউ কেউ তাতে বাজে ভাবে আমার বাচ্চাটা ভয় পেলো। 

আফসোস প্রকাশ করে অভিনেত্রী লেখেন, কত কাছের মানুষজনকে দাওয়াত করে একটা হ্যালোও করতে পারি নাই তাদের সাথে আমি! অথচ আমি আপনাদের সবার সাথে সিনেমা দেখব, কথা বলব বলেই তো গিয়েছিলাম। হল থেকে বেড়ানোর সিঁড়িটার মুখে এত এত ক্যামেরা আর লাইট দিয়ে আটকে রাখলেন কেউ কেউ। আমি বার বার রিকোয়েস্ট করলাম বের হওয়ার পথটা ছেড়ে দেয়ার জন্য। আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলছিল আমাকে পথ ছেড়ে দিয়ে লবিতে ক্যামেরা সেট করার জন্য। এই নিয়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করলেন যেটাতে বাচ্চাটা ভয় পেয়ে গেলো। আপনারা বাচ্চাটার জন্যে একটু সহনশীল হতে পারতেন। কেন যে এমন করলেন! আর খুশি এই জন্য যে, আপনাদের মধ্যেই কত মানুষ আমাকে মন থেকেই কত ভালোবাসেন, কেয়ার করেন। থ্যাংক ইউ।

অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত সিনেমা ‘মা’-এর মাধ্যমে প্রথমবার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমণি। এটি ২৬ মে (শুক্রবার) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির যখন শুটিং হয় সেই সময়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন পরী, কিন্তু যখন এটি মুক্তি পেল তখন তার কোলে রাজ্য। তাই সন্তানকে কোলে নিয়ে সিনেমাটি দেখতে আসা।

বলে রাখা ভালো, বুধবার কোনও স্পেশাল শো কিংবা প্রিমিয়ার শো ছিল না। এদিন সন্ধ্যার শো দেখতে নিজ উদ্যোগে কাছের মানুষজন ও মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানান পরী নিজেই। যথারীতি শো শুরু হয়। কিন্ত বিষয়টি জানতে পারেন বেশ কিছু ইউটিউবার। তবে টিকিট না পেয়ে শো চলাকালীন সময়ে তারা হলের বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন।

রাত সাড়ে নয়টার পর শো শেষ হতেই পরীর মন্তব্য জানতে হলের গেটের বাইরে টেলিভিশন ক্যামেরার সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান ইউটিউবাররা। তাদেরকে বারবার সাইট দিতে বললেও শুনেননি। টেলিভিশনের ক্যামেরাগুলো সরে দাঁড়ালেও ইউটিউবারা পরীর সামনে পেছনে হুড়োহুড়ি করে ছুটতে থাকেন। এসময় তার কোলেই ছিল রাজ্য। একদিকে গরম, অন্যদিকে লোকজনের হুড়োহুড়ি ও ক্যামেরার লাইট সব মিলিয়ে ভয় পেয়ে যায় ছোট্ট রাজ্য।

এমন পরিস্থিতিতে তাদেরকে পরী থামার আকুতি জানালেও তারা তা শুনেননি। বরং ফুটেজ ধারণ করতে একই গতিতে ছিলেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় স্থান ত্যাগ করেন পরী। ইউটিউবারদের এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে সিনেমার আয়োজনগুলোতে। যা নিয়ে এদিন মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীরাও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। 

প্রসঙ্গত, ‘মা’ সিনেমার গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। সাজিয়ে-গুছিয়ে তা সিনেমা আকারে পর্দায় তুলে আনছেন নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। আর সেই মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।

অরণ্যে পুলক (এপি)-এর ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, সাজু খাদেম, রোবেনা রেজা জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, সেতু, লাবণ্য, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

পরীমণি   রাজ   ভিডিও ফাঁস   মা   সন্তান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আমাদের একজন চঞ্চল চৌধুরী আছেন

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

সময়ের নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুর। তিনি একজন অভিনেতা, যাকে দেখে অন্যরা মেপে নিতে পারেন অভিনয়ের পরিধি, সীমারেখা। কখনো তিনি সোনাই হয়ে দর্শকদের বুকে প্রচণ্ড এক হাহাকার বইয়ে দেন, আবার কখনো আয়না কিংবা মিসির আলি হয়ে ছড়িয়ে দেন রহস্যের জাল।

আজ (১ জুন) সেই সোনাই, আয়না কিংবা পর্দার মিসির আলি চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন। ১৯৭৪ সালের ১ জুন পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। কিন্তু ভেতরে গান-বাজনা ও অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ চঞ্চলকে তাড়িত করেছে সংস্কৃতির দুনিয়ায়।

নিজের এলাকা থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকায় আসেন চঞ্চল চৌধুরী। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে। এখান থেকেই শুরু হয় চঞ্চলের স্বপ্নময় জীবনের পথচলা।

১৯৯৬ সালে বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দেন চঞ্চল। সেখানে ‘কালো দৈত্য’ নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়। এরপর আরণ্যকের হয়ে ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘শত্রুগণ’ ইত্যাদি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করে নিজেকে ঝালিয়ে নেন।

বছর চারেক মঞ্চনাটক করার পর ২০০০ সালে টিভি নাটকে ডাক আসে চঞ্চল চৌধুরীর। ফরিদুর রহমান নির্মিত ‘গ্রাস’ চঞ্চল অভিনীত প্রথম টিভি নাটক। তবে তিনি আলোচনায় আসেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘তালপাতার সেপাই’ নাটকে অভিনয় করে। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

চঞ্চল চৌধুরী মূলত গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত নাটকে অভিনয়ের জন্যই বেশি জনপ্রিয়। কমেডি ধাঁচের নাটকে তিনি একজন সফলতম অভিনেতা। এছাড়া ভার্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে তিনি সব ধরনের নাটকেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

২০০৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চঞ্চল চৌধুরীর। তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রূপকথার গল্প’। তবে চঞ্চল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা ও সাফল্য পান গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। ট্র্যাজেডি ঘরানার সেই চলচ্চিত্র দেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত।

এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’, কলকাতার গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’ ও অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়।

চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে চঞ্চল চৌধুরী বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা। তার স্ত্রীর নাম সান্ত্বনা সাহা।

বড় পর্দা, ছোট পর্দার পাশাপাশি চঞ্চল এখন সমান তালে ব্যস্ত আছে ওটিটির কাজ নিয়েও। সম্প্রতি এই তারকা ব্যস্ত আছেন সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন সৃজিত মুখার্জির নির্মাণে মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ নিয়ে। 


চঞ্চল চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন