কালার ইনসাইড

পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দিলেন তানজিন তিশা!

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে এক পোস্তের মাধ্যমে তানজিন তিশা নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পোস্টে তিশা ভিডিওকে একান্ত ব্যক্তিগত বলে দাবি করে কারো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন। এছাড়াও ভিডিওটি পরীমনি ফাঁস করেছেন এমন ইঙ্গিত দিয়ে শরীফুল রাজ কেন অ্যাকশন নিচ্ছেন না সে প্রশ্নও তুলেছেন।

দেশে ফিরতে যে বা জড়িত, যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তানজিন তিশা। তানজিন তিশা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জানিয়ে বলেন দুটি শো-তে অ্যাটেন্ড করার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আমি আমেরিকাতে আছি । বাংলাদেশে যখন সকাল তখন এখানে গভীর  রাত। এজন্য বাংলাদেশের খবরাখবর খুব বেশি জানি না আমি।

আমাকে জড়িয়ে যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, সেটি পরে আমি দেখেছি, জানতে পেরেছি।ভিডিওটি ব্যক্তিগত, এটার ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই- এমনটাই জানিয়ে বলেন, প্রথমত, বিষয়টি দুঃখজনক।  এটা নিয়ে আমি বলতে চাই, স্যোশাল মিডিয়াতে আমার যে ভিডিও আপ করা হয়েছে সেটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত ভিডিও । ৬-৭ বছর আগে আমরা বন্ধুরা ফান করে ভিডিওটি করেছিলাম।

যেহেতু এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও, তাই এটার এক্সপ্লেনেশন দেয়ার কিছু আছে বলে মনে করিনা। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জীবন আছে, পার্সোনালিটি আছে, ব্যক্তিগত ব্যাপার আছে যেটাকে জাজ করার অধিকার অন্য কাউকে আমি দিতেও চাইনা। তাই আমার দর্শক ও অনুরাগীদের উদ্দেশ্য এতটুকুই বলব ৬-৭ বছর আগের সামান্য একটা ক্লিপ দিয়ে ব্যক্তি তানজিন তিশাকে জাজ করে ফেলবেন না, প্লিজ। 
দর্শকদের উদ্দেশ্য করে তিশা বলেন, আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়ায় আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি... আমার অভিনয় আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখবেন , আমি আমার অভিনয় দিয়েই আপনাদের কাছে বেঁচে থাকতে চাই সবসময়, প্রিয় হয়ে থাকতে চাই। যদিও আমি বলেছি  আমার এই ঘটনা নিয়ে কাউকে এক্সপ্লেনেশন দিতে চাই না তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আর দর্শকদের যদি এই ঘটনা বিব্রত করে, কষ্ট দেয় আমি মন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করছি।

ভিডিওকে কিছু গণমাধ্যম গোপন বলায় আপত্তি জানিয়েছেন তিশা। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, এই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, অনালাইন নিউজে, ফেসুবকে গ্রুপে, কমেন্টে বলা হচ্ছে/লেখা হচ্ছে ‘‘শরীফুল রাজের সঙ্গে  তিশার আপত্তিকর বা গোপন  ভিডিও ফাঁস’’।  যথাযথ সম্মান নিয়েই আপনাদের বলছি, এই ভিডিওর মধ্যে শরীফুল রাজ কোথা  থেকে এলো? কী গোপনীয়তা এখানে?  তার ফেসবুক আইডি থেকে এটি প্রকাশ পেয়েছে বলেই কেন ভাবছেন সেখানে আমি তার সাথে আছি। ভিডিওতে আমি একা এবং সেটা কোনও আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও না, বরং সেটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ৷ সুতরাং ‘‘আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও ফাঁস’’ শব্দগুলো কারেকশন করা উচিত। এটা বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক। 

পরীমণির নাম উল্লেখ না করে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে তানজিন তিশা বলেন, এমন অভিমত জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, তৃতীয়ত—একজন মানুষের প্রাইভেসি, হেম্পার  করা , হ্যারেজমেন্ট করা  বা পারসোনাল ভিডিও অনুমতি ছাড়া পাবলিকলি প্রকাশ করা , এটা বিগ ক্রাইম। সো যার আইডি বা যিনি এটি আপ করেছেন বাংলাদেশে ফিরে আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে ইতিমধ্যেই অনেকই ধারণা করতে পারছেন,অনেকের মুখে মুখেও এটি শোনা যাচ্ছে  কে বা কারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি এখানে কারোর নাম উল্লেখ করতে চাই না, আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে পদক্ষেপ নেব। সেই আইনই বলে দেবে কে বা কারা এই ব্যাক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে, কে বা কারা এই ভয়ংকর অপরাধে জড়িত। 

শরীফুল রাজের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,  চতুর্থত- শরীফুল রাজের আইডি থেকে ভিডিওগুলো আপ করা হয়েছে এবং রাজ তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু দুঃখ প্রকাশেই কেন ঘটনা শেষ করতে চাইছ রাজ?  এই যে তোমাকে জড়িয়ে কয়েকটা মেয়ের সম্মান নষ্ট হলো, তাদের ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল সবাই, পরিবারের সামনে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে, এত  সিলি সিলি ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভিডিও গুলোকেও আপত্তিকর বানানো হলো, এই দায়ভার কী তোমার না? কারণ তুমিই তো বলেছ তোমার আইডি হ্যাক করা হয়েছে। তোমার দায়িত্বশীলতার জায়গায় তুমি কী করছ?  কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছ না? কেন এর পিছনের মূল হোতাকে খুঁজে বের করছ না? 

দেশে ফিরেই ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে তানজিন তিশা বলেন, যদিও দেশে এসেই আমি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব, তবুও রাজ আমি তোমার কাছ থেকে এতটুকু দায়িত্বশীল মনোভাব আশা করেছিলাম সত্যি। আসলে তানজিনা তিশা তার কাজ দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং কাজ নিয়েই এই পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে আছে দর্শকের মনে কাজ নিয়েই থেকে যেতে চায়। তাই দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের তানজিন তিশা কে কাজের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখুন। 

যেহেতু সুনেরাহ বিনতে কামাল স্পষ্টতই পরীমনির নাম বলেছেন, সেহেতু পরীমনির নামই শোনা গেছে। আর তানজিন তিশা আইনি ব্যবস্থা নেবেন, নাম না বলেও প্রচ্ছন্নভাবে পরীমনির নাম উল্লেখ করলেন সেটা তো স্পষ্ট।  

পরীমণি   রাজ   ভিডিও ফাঁস   মা   সন্তান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রুক্ষ চুল-দাড়ি, ক্ষত-বিক্ষত মুখ! চেনা যায় উনি কে?

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রকাশ্যে এসেছে দেবের নতুন লুক। গায়ে ছেঁড়া-ফাটা কম্বল, মুখে অজস্র দাগ, একগোছা দাড়ি, মাথায় উস্কো-খুস্কো চুল! এবার ভিক্ষুকের বেশ নিয়েছেন তিনি। বলে না দিলে কেউ বুঝতেই পারবে না যে এটা দেব। ঠিক কী কারণে এমন বেশ?

আসলে এটি ‘বাঘা যতীন’ সিনেমায় দেবের নতুন লুক। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তার এই বিশেষ লুক প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা। ব্রিটিশ শাসনামলে প্রায়ই ছদ্মবেশ ধরতেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। এর ফলে এক দিকে যেমন শাসকের নজর এড়ানো যেত, তেমনি সমান্তরালে চলত আন্দোলনের কর্মসূচি। এই সিনেমায় বিট্রিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীনের ভূমিকায় তাই দেবকেও তাই একাধিক লুক দেখা যাবে।

এর আগে, খাকি পোশাকে কাঁধে বন্দুক নিয়ে শিখের বেশে দেবের লুক দেখেছেন দর্শকরা। তারও আগে সাধুর বেশে এই সিনেমায় তার একটি লুক প্রকাশ করেও চমকে দিয়েছিলেন অভিনেতা। সিনেমায় নাকি আরও কয়েকটি লুকে দেখা যাবে দেবকে। তার এই বিশেষ লুকের পেছনে রয়েছেন মেকাপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু।

চরিত্রের প্রয়োজনে এর আগেও নিজেকে একাধিকবার ভেঙেছেন দেব। কিন্তু কোনো একটি সিনেমায় এই প্রথম এতগুলো লুকে দর্শকদের সামনে হাজির হতে চলেছেন তিনি। 

এই বিশেষ লুক প্রসঙ্গে দেব বলেন, এই সিনেমায় এমন এক মানুষের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি, যিনি মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ছদ্মবেশ ধারণের গুরুত্ব বুঝতেন। একইভাবে আমার চরিত্রটিও সিনেমায় একাধিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে।

পাশাপাশি এই সিনেমাকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি তার শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবেই উল্লেখ করেছেন দেব। এবারের দুর্গাপূজায় মুক্তি পাবে অরুণ রায় পরিচালিত দেবের ‘বাঘা যতীন’ সিনেমাটি।


দেব   বাঘা যতীন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

'শাবনূর থেকে সায়ন্তিকা সবাই আমাকে পছন্দ করেন'

প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রথমবারের মতো ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে বাংলাদেশে এসে তুমুল আলোচনার ঝড় তুলে কলকাতায় ফিরে গেছেন টালিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিযোগ, প্রযোজকের অপেশাদারি আচরণের কারণে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি তার। ফলে শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় ফিরে গেছেন তিনি।

প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কলকাতার গণমাধ্যমে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার নায়ক জায়েদ খানের বেশ প্রশংসা করেছেন সায়ন্তিকা।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, আমি যেসব নায়িকাদের সঙ্গে ৩৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছি, তাদের সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক আছে। দেশের খ্যাতিমান নায়িকা শাবনূর থেকে শুরু করে সায়ন্তিকা—সবাই আমাকে পছন্দ করেন। তার কারণ, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছি। কারো সঙ্গে এমন ব্যবহার করি না যে তারা আমাকে পছন্দ করবেন না।

জায়েদ খান বলেন, শুটিংয়ে সায়ন্তিকার নাস্তা থেকে শুরু করে অনেক কিছুর ঠিকঠাক ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার প্রশংসা না করে তো তাদের উপায় নেই। বাইরে থেকে একজন নায়িকা আমাদের দেশে এসেছেন, বাংলাদেশের সম্মান জড়িয়ে আছে এখানে।


শাবনূর   সায়ন্তিকা   জায়েদ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

'সেই ভয়ংকর মানুষকেই তো বিয়ে করে বাচ্চা নিলো পরী'

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডিভোর্সের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরীমনি। পাশাপাশি রাজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেন। তাকে ভয়ংকর মানুষ বলেও মন্তব্য করেন পরীমনি। অবশেষে এসব বিষয়ে মুখ খুললেন শরিফুল রাজ।

এ অভিনেতা বলেন— আমরা কেউই শিশু নই। আমার স্বার্থটাই বা কিসের? আমি যেহেতু ভয়ংকর মানুষ, সেই ভয়ংকর মানুষকেই তো দেখছি বিয়ে করল, সংসার করে বাচ্চাও নিল! আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে ভালো কথা, কিন্তু আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার না করলে ভালো হয়। কারণ আমার একটা পরিবার আছে। সেখানে মা–বাবা, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশী সবাই আছেন।

রাজের দাবি পরীমনি মিথ্যাচার করছেন। তার ভাষায়, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি বিয়ের পর পরী বা বাবুকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি। একটা বছর আমি আমার কাজ থেকে দূরে ছিলাম। আশপাশের কারও ফোন কল ধরিনি। কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করিনি। যতটুকু পেরেছি স্ত্রী ও সন্তানের যত্ন করার চেষ্টা করেছি। আমাকে নিয়ে পরীর এ ধরনের মিথ্যাচার করার সুযোগ নেই। আমি এমন কিছু করিনি, যার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। আমি বারবার হেনস্তা হয়েছি। এসব নিয়ে আর বলতেও চাই না। পরী এখন যেটা চাচ্ছে, সেটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। এর বাইরে অন্য অভিযোগ এলে তা প্রশ্রয় দিতে চাই না।

পরীমনি তার স্ট্যাটাসের এক জায়গায় লিখেছেন, ঘটনার সে পুনরাবৃত্তি করেছে। বারবার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও, আর হবে না— এমনকি সুইসাইডের মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে।

পরীমনির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ বলেন, আমি এসবের কিছুই করিনি। আমার নামে এসব মিথ্যাচার। এটা পরীমনি, তার সঙ্গে বারবার এ রকম কিছু হবে; বারবার সে ক্ষমা করে দেবে! এটা পরীমনি নয়। আমি স্ট্রংলি বলছি, পরীমনির সঙ্গে এমন কিছু করিনি যে বারবার আমাকে অনুতপ্ত হতে হবে। তালাকের নোটিশের পর পরীমনি যে ধরনের মিথ্যচার করছে, এগুলো ঠিক না। এগুলো বাদে সে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা–ভক্তি সবই আছে।

তিনি আরও বলেন, পরীমনি আমার এক্স ওয়াইফ, আমার সন্তানের মা, তাকে নিয়ে আমি আসলে এর বাইরে কোনো কথা বলতে চাই না। সন্তানের মা বলেই তো কখনও কোনও কিছু নিয়ে মুখ খুলিনি। আমি আসলে কখনও কিছু বলতে চাইনি বলেই, এটার সুযোগ সবাই সব সময় নিয়েছে। পরীমনি আমার সন্তানের মা, ওকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত। পরীমনি যেভাবে এখন ভালো থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবেই থাকুক।

পরীমনির পাঠানো ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়েছেন রাজ। বাকি যে প্রক্রিয়া তা নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম হয়।



পরীমনি   রাজ   রাজ্য   ডিভোর্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীমণির ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে রাজ বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

১৮ সেপ্টেম্বর স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ। তিনি পরীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়েছেন জানিয়ে রাজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি (ডিভোর্স লেটার) হাতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরীকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেওয়ার জন্য। রাজ্যের জন্য যা কিছু ভালো, বাবা হিসেবে আজীবন তা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে অনুরোধ, আমার বাচ্চার মায়ের অসম্মান হয় এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। একই সঙ্গে আগামীতে আমার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার থাকবে, সেই চেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি ‘

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে শরিফুল রাজ-পরীমণির পরিচয় ও প্রেম হয়। একই বছরের ১৭ অক্টোবর ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। এর এক বছর পরই আলাদা হয়ে গেল এই দম্পতি।

শরীফুল রাজ   চিত্রনায়িকা পরীমণি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীর ডিভোর্স লেটার গ্রহণ করেছেন রাজ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পরীমণির বিচ্ছেদ নোটিশ হাতে পেয়েছেন শরিফুল রাজ। গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এ অভিনেতা। রাজ বলেন, ‘আমার প্রাক্তনের পাঠানো চিঠি হাতে পেয়েছি। তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে আমার জীবনের সেরা অর্জন রাজ্যকে উপহার দেওয়ার জন্য। রাজ্যের জন্য যা কিছু ভালো, বাবা হিসেবে আজীবন তা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন,  ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে অনুরোধ, আমার বাচ্চার মায়ের অসম্মান হয়, এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। একইসঙ্গে আগামীতে আমার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার থাকবে। সেই চেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি।’

এর আগে ১৮ আগস্ট শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠান পরীমণি। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি জানাজানি হয়। 

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তির কথা উল্লেখ করেছেন পরীমণি। এ ছাড়া পরে গণমাধ্যমের কাছে তার আইনজীবী জানান, রাজের নারী আসক্তিও বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ। 

মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর এই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে। তবে চাইলে এখনও নতুনভাবে সংসার শুরু করতে পারবেন রাজ-পরী। 

২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। সংসারজীবনের ১০ মাসের মাথায় তাঁর কোলজুড়ে আসে সন্তান তাদের প্রথম সন্তান রাজ্য। 

দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছেন এই তারকা দম্পতি। কখনও বিদ্যা সিনহা মিম, কখনও সুনেরাহ বিনতে কামালসহ অন্য কাউকে ঘিরে রাজের প্রতি সন্দেহের তির ছুড়েছেন পরীমণি। এসব নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি।



পরী   ডিভোর্স   রাজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন