কালার ইনসাইড

নরেন্দ্র মোদিকেও টপকালেন ক্যাটরিনা

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বলিপাড়ার বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের কাছে হেরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। জনপ্রিয়তার নিরিখে ক্যাটরিনাই সবার ওপরে। 

সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন ফিচারের সংযোজন হয়েছে। সেটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। সেখানেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ক্যাটরিনা। মাত্র কয়েক দিনেই ১৫ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি অনুরাগী যুক্ত হয়েছেন তার চ্যানেলে। 

দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ তার অনুরাগী সংখ্যা প্রায় এক কোটি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরাগী সংখ্যা অভিনেত্রীর প্রায় অর্ধেক। প্রায় ৭৭ লাখ অনুরাগী যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চ্যানেলে।

২০০৩ সালে ‘বুম’ ছবির মাধ্যমে বিনোদনের জগতে পা রাখেন ক্যাট। তার পর কেটে গেছে ২০ বছর। এতদিনের কর্মজীবনে একাধিক ওঠাপড়া প্রত্যক্ষ করেছেন ক্যাট। কম চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি তাকে। 

ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী তিনি। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল নয়, ইনস্টাগ্রামে তার অনুরাগী সংখ্যা প্রায় ৭৭ মিলিয়ন। যদিও এই দিকে অবশ্য আলিয়া ভাট ও প্রিয়াংকা চোপড়া এগিয়ে ক্যাটরিনার তুলনায়। 

তবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন অভিনেত্রী। ক্যাটরিনা ছাড়াও যেসব ভারতীয় তারকা রয়েছেন এই সামাজিকমাধ্যমে, তারা হলেন— অক্ষয় কুমার, সানি লিওন।

মাস কয়েক ধরেই নিজেকে অন্তরালে রেখেছেন ক্যাটরিনা। শোনা যাচ্ছে, ‘টাইগার ৩’-এর কারণেই নাকি নিজেকে সামনে আনতে চাইছেন না অভিনেত্রী। 

এ ছাড়া খুব শিগগির ‘মেরি ক্রিসমাস’ ছবির মাধ্যমে দ্বিভাষিক ছবিতে অভিষেক ঘটবে তার। ছবিটি হিন্দি ও তামিল ভাষায় মুক্তি পাবে।

সূত্র: আনন্দ বাজার 


নরেন্দ্র মোদিকে   ক্যাটরিনা   মার্ক জুকারবার্গ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মাধ্যমিক পাশ করার আগেই যারা বাংলা সিনেমার নায়িকা হয়েছে!

প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তার অন্যতম একটি কারণ এদেশের অভিনেত্রী তথা নায়িকাদের অভিনয়গুণ ও সৌন্দর্য। আর এ অভিনেত্রীদের অনেকেই রয়েছেন যারা খুব অল্প বয়সে এমনকি স্কুর পর্যায় তথা মাধ্যমিক পাশের আগেই সিনেমার পর্দায় নায়িকা হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। এদেশের দর্শকদের নজর কেড়েছেন, তাদেরকে মাতিয়ে রেখেছেন পাশাপাশি তাদের হৃদয়ের মণিকোটায় আসনও গেড়ে নিয়েছেন। তেমনই কয়েকজন অভিনেত্রীর পরিচয় জানবো এই আয়োজনে যারা অল্প বয়সে নায়িকা হিসেবে ধরা দিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রে।

শাবানা
১৯৬৭ সালে 'চকোরি' সিনেমায় চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে শাবানার। এ অভিনেত্রীর প্রকৃত নাম রত্না। ভালো নাম আফরোজা সুলতানা। তবে পরিচালক এহতেশাম তাকে শাবানা নামটি প্রদান করেন। শাবানার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাই ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে। আর পর্দায় অভিষেক ১৫ বছর বয়সে। বলা যায়, স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন ১১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী। শাবানা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল 'ঘরে ঘরে যুদ্ধ'।

ববিতা
৭০ এর দশকে অভিনয়ের মাধ্যমে গোটা দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেত্রী ববিতা।  ’শেষ পর্যন্ত’ নামক সিনেমা দিয়ে ১৯৬৯ সালে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় এ অভিনেত্রীর। যেখানে তিনি প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তি পায় এবং ঐদিন তার মা মারা যান। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি তার ভগ্নিপতি জহির রায়হানের পথ প্রদর্শনে চললেও পরবর্তীতে একাই পথ চলেছেন। ববিতা পড়াশোনা করেছেন যশোর দাউদ পাবলিক বিদ্যালয়ে। সেখানে অধ্যয়নকালে বড় বোন কোহিনুর আক্তার চাটনীর (সুচন্দা) চলচ্চিত্রে প্রবেশের সূত্রে পরিবারসহ চলে আসেন ঢাকায়। গেণ্ডারিয়ার বাড়িতে শুরু হয় কৈশোরের অবশিষ্টাংশ। চলচ্চিত্রে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জন না করলেও ববিতা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলেন। দক্ষতা অর্জন করেন ইংরেজিসহ কয়েকটি বিদেশি ভাষায়। নিজেকে পরিমার্জিত করে তোলেন একজন আদর্শ শিল্পীর মাত্রায়।

শাবনূর
১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেত্রী। পারিবারিকভাবে তার নাম রাখা হয় কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরে স্বনামধন্য নির্মাতা এবং তার মেন্টর এহতেশাম তার নাম রাখেন শাবনূর। শাবনূর শব্দের অর্থ রাতের আলো। শাবনূরের পিতার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনি। শাবনূরের প্রথম সিনেমা 'চাঁদনী রাতে'। তার বিপরীতে নায়ক ছিলেন সাব্বির। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। যা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। উইকিপিডিয়া অনুসারে মাত্র ১৩ বছর বয়সে এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাবনূর। শাবনূরের পড়াশোনা সম্পর্কে জানা যায়, তিনি আইএ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে নায়িকা হিসেবে শুরুটা যে স্কুল পেরোনোর আগেই ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রত্না
২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় 'কেন ভালোবাসলাম' সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রত্না। সেলিম আজম পরিচালিত এ সিনেমায় তিনি ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন রত্না, কাজ করেন শীর্ষ নায়কদের সঙ্গেও। কিন্তু চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার জোয়ার বইতে শুরু করলে নিজেকে গুটিয়ে নেন চলচ্চিত্র থেকে। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। নতুনভাবে চলচ্চিত্রে ফিরে আসার চেষ্টাও করছেন রত্না। দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন এ অভিনেত্রী। তার বাবা মান্নান কবির একজন মুক্তিযোদ্ধা।

পূর্ণিমা
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত 'এ জীবন তোমার আমার' সিনেমার মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে, তখন তিনি মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়েন। ড. তুহিন মালিক পরিচালিত 'ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ২০১০ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এ অভিনেত্রী।

অমৃতা খান
২০০২ সালে মডেল ও  নৃত্যশিল্পী হিসেবে মিডিয়াতে প্রথম পা রাখেন অমৃতা খান। তিনি একাধারে অভিনেত্রী এবং মডেল।  তিনি একটি নাটকেও কাজ করেছেন, যার নাম 'উনিশ বছর পরে'। ২০১৩ সালে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তার অবির্ভাব ঘটে রয়েল এবং অনিক দুজন নতুন পরিচালকের যৌথ পরিচালনায় 'গেইম' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ও’লেভেলে পড়ছিলেন। 

পূজা চেরি
পোড়ামন-২ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে পূজা চেরির অভিনয় শুরু। তবে তার আগে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পোড়ামন ২ এর কাজ শুরু না হতেই আসে নতুন খবর। কলকাতার আদিত্যর বিপরীতে 'নূরজাহান'  নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেন।  কলকাতার রাজ চক্রবর্তী প্রডাকশনের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ছিল বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া। আলোচিত মারাঠি সিনেমা 'সাইরাত'-এর রিমেক 'নূরজাহান'। তবে শাকিবের সঙ্গে গলুই সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল আলোচিত হন পূজা চেরী।


শাবানা   ববিতা   শাবনুর   পূর্ণিমা   পূজা চেরি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সিনেমায় হাফ সেঞ্চুরি! কি রহস্য নিয়ে আসছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা?

প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কলকাতা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রসেনজিৎ- ঋতুপর্ণা জুটি এযাবৎকালের সবচেয়ে হিট জুটির একটি। তাদের জুটি মানেই বক্স অফিস বাম্পার। বলা হয় থাকে উত্তম-সুচিত্রা জুটির পরই বাংলা সিনেমার দর্শকদের মনে এই জুটির স্থান। সেই ধারাবাহিকতায় এই জনপ্রিয় জুটি এবার তাদের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করতে যাচ্ছেন। ‘অযোগ্য’ নামক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে ম্যাজিক্যাল ৫০ টি সিনেমায় একসাথে জুটির রেকর্ড করছেন। আর এই ম্যাজিক তৈরি করলেন টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।

গতকাল প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমাটির প্রথম পোস্টার। সেখানে নায়ক-নায়িকার মুখ দেখা যাচ্ছে না। বোঝা যাচ্ছে সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দু’জনে। সিনেমাটির পোস্টার শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘সিনেমার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, দুই অভিনয়শিল্পী একসঙ্গে হয়েছেন তাদের ৫০ তম চলচ্চিত্র নিয়ে।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও লিখেন, আমার ৫০ তম সিনেমা; পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে আসছে।’

নব্বই দশকের মাঝামাঝি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির সফর শুরু হয়। প্রথম সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তারপর একে একে ‘মায়ার বাঁধন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘স্বামীর ঘর’, ‘মনের মানুষ’-এর মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দুজনে। তবে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমার মুক্তির পর প্রায় ১৫ বছর একসঙ্গে কোন কাজ করেননি ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিৎ। কিন্তু দুজনের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। তার প্রমাণ ছিল নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রাক্তন’। এই সিনেমার মাধ্যমে আবারও পুরনো জুটিকে নতুন ভাবে পান দর্শক। তার পর ‘দৃষ্টিকোণ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাদের।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে সিনেমাটি প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেছেন, ‘হাফ সেঞ্চুরি বলে কথা। এই ভার বহন করার জন্য একটা সঠিক কাঁধ দরকার ছিল। সেটা অবশ্যই কৌশিক। ৫০তম সিনেমা অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ক্যারিয়ারে। কথা দিচ্ছি, ভাল লাগবে। অপেক্ষা করে আছি সকলের প্রতিক্রিয়ার।’

অন্যদিকে, ঋতুপর্ণাও সিনেমাটি নিয়ে আনন্দবাজারকে জানান, ‘ এ সম্পর্কে বলতে পরিচালকের নিষেধ আছে। সিনেমার গল্প সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি আবারও একটা রহস্য নিয়ে আসছে। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললাম। আমি নিশ্চিত দর্শক নিরাশ হবেন না।’


প্রসেনজিৎ   ঋতুপর্ণা   অযোগ্য   টলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

১ কোটি অর্গানিক ভালবাসায় সিক্ত পূর্ণিমা

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলা শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা জামান পূর্ণিমা। সম্প্রতি নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। তার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার্স সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে তার পেজে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, ফলোয়ার্স ১০ মিলিয়ন প্লাস! তবে এগুলো নেহাত ফলোয়ার্স নয়, পূর্ণিমার কাছে বিষয়টি ‘১ কোটি ভালোবাসা’। তার ভাষ্য, এগুলো আসলে অর্গানিক ভালোবাসা।

কোটির মাইলফলক প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, পুরোটাই অর্গানিক ফলোয়ার্স। যেটাকে আমি অর্গানিক ভালোবাসা বলতে চাই। যখন পেজটি ওপেন করি তখন জানতাম না এতদূর আসবে। যারা এডমিন তারা দেখভাল করতো। আগে পেজ-ফলোয়ার্স এসব ব্যাপারে খুব বেশি জানাশোনা ছিল না। সময় সবকিছু শিখিয়েছে। ঘোরাঘুরি বা বেড়াতে গেলে ছবি ভিডিও বেশি পোস্ট হয়। আবার অনেকসময় গ্যাপ থাকে। এডমিনরা আমাকে ছবি ভিডিও পোস্ট দিতে উৎসাহিত করে।

এই ১ কোটি দৃশ্যমান ভালোবাসার চেয়েও যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যান তখন তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা সামনাসামনি আরও বেশি অনুভব করেন বলে জানান পূর্ণিমা। তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ আমাকে পছন্দ করে, ভালোবাসা জানায়; এমনটা নয়। এর চেয়ে বেশি ভালোবাসা মানুষের সামনে গেলে পাই। এমনও দেখেছি মানুষ আছে যারা ফেসবুক বা ইন্টারনেটে নেই তারা আমাকে কাছে পেলে বেশি ভালোবাসা দেন। 

‘মনের মাঝে তুমি’ খ্যাত এই নায়িকা আরও বলেন ‘সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর বাইরে যারা আমাকে পছন্দ করেন দুই মাধ্যম থেকেই আলাদা ভালোবাসা অনুভব করি এবং আমি এগুলো খুব উপভোগ করি।’  

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী সব তারকাই কাজের বাইরে খানিকটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটান। সেখানে নিজেদের কাজের খবর প্রকাশ থেকে শুরু করে নানা মুহূর্তই অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন তারা। পূর্ণিমাও সেরকম করেই তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন।


পূর্ণিমা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শরীরে নেই এক টুকরো কাপড়! রণবীরের সঙ্গে অর্ধনগ্ন দৃশ্য নিয়ে কি বললেন তৃপ্তি?

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত ১ ডিসেম্বর ভারতসহ বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় রণবীর কাপুরের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘অ্যানিম্যাল’। মুক্তির পরই ভারতীয় বক্স অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে সিনেমাটি। কারণ সিনেমাটি মুক্তির মাত্র মাত্র ৬ দিনেই বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে। তবে এত ব্যবসাসফলতার মাঝেও সিনেমাটির কিছু বিষয় নিয়ে চলছে সমালোচনা। ক্রাইম ড্রামা সিনেমাটিতে জোয়া চরিত্রে অভিনয় করা তৃপ্তি দিমরির সঙ্গে রণবীরের নগ্ন এবং অন্তরঙ্গ দৃশ্য সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।

এই দৃশ্যে তৃপ্তিকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে। অনেকে দৃশ্যটি নিয়ে তৃপ্তিকে রীতিমতো কটাক্ষও করছেন। তবে কেউ কেউ রণবীর আর তৃপ্তির উষ্ণ রসায়ন দারুণ পছন্দ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা সেই দৃশ্যের নানান সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃপ্তি। এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বিশেষ এই দৃশ্যের পর্দার পেছনের কথা।

তিনি ই-টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘শুরুতে এসব আমাকে অস্বস্তিতে ফেলত। আমি বিরক্ত বোধ করতাম। আমি এমন একজন যাকে সমালোচনার মুখোমুখি খুব কমই হতে হয়েছে। আমি খুব সামান্যই সমালোচিত হয়েছি। আমার প্রথম কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে আমি ১০ শতাংশ সমালোচিত হয়েছি, আবার ৯০ শতাংশ প্রশংসিত হয়েছি। এই সিনেমার ক্ষেত্রে আমি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। তাই শুরুতে আমি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আর নিজেকে সবার থেকে দূরে রাখছিলাম। কিন্তু পরে আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আর এ ব্যাপারে ভেবেছি।’

অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শ্যুটিং করার সময় কিভাবে তাকে সবদিক থেকে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল এমন প্রশ্নে তৃপ্তি বলেন, ‘শুটিং সেটে সেদিন আক্ষরিক অর্থে চারজন লোক ছিল; আমি, রণবীর, সন্দীপ স্যার এবং ডিওপি। প্রতি ৫ মিনিটে তারা জিজ্ঞাসা করছিল আমায় 'তুমি ঠিক আছো? এটা কি তুমি চাও? তুমি কি কমফোর্টেবল? যখন তোমার আশেপাশের লোকেরা তোমাকে এতটা সহায়তা করে, তখন সেই কাজে কনফিডেন্স পাওয়া যায়। সেই কাজে কোনভাবেই অস্বস্তি বোধ হবে না।

তিনি আরও বলেন, যারা জানেনা কিভাবে সেটে কাজ হয় এবং কিভাবে এই দৃশ্যগুলি শ্যুট করা হয়, আর সেটের পরিবেশ কেমন থাকে। তারা এসব কল্পনা করতে থাকে।’ তাদের কল্পনাশক্তি এক অন্য দিশায় নিয়ে যায়। আসল সত্যিটা সেসব মানুষের কাছে নিশ্চয় আশ্চর্যজনক। সত্যি বলতে আমি সেই দৃশ্যের সময় স্বচ্ছন্দ ছিলাম। আর আমার চরিত্র যা দাবি করবে, আমি নিশ্চয় তা করব।’

তৃপ্তি আরও বলেছেন, ‘আমি নিজেই অভিনেত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ জোর করেনি। আমি এটা বেছে নিয়েছিলাম। কারণ, অভিনয় পেশা আমাকে রোমাঞ্চিত করে। আমি অভিনয় করতে শুরু করি। আর নিজের অভিনীত চরিত্রের মাধ্যমে আমি আনন্দ খুঁজে নিই। অভিনয় আমাকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। চরিত্রের মাধ্যমে নানান চ্যালেঞ্জ নিতে আমি ভালোবাসি।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার যদি মনে হয়, এটা করা আমার জন্য ভুল হবে না, তাহলে আমি সেটা অবশ্যই করি। আমি শুধু দেখি সেটে আমি স্বচ্ছন্দ কি না। আমার আশপাশের মানুষের সঙ্গ আমাকে স্বচ্ছন্দে থাকতে সাহায্য করছে কি না, এসব আমি দেখি। তাহলে বুঝি আমি ঠিক পথে হাঁটছি।’ সিনেমাটির সাফল্য নিয়ে তৃপ্তি বলেছেন, ‘সবার বিপুল সাড়া পেয়ে আমার দারুণ লাগছে। সত্যি বলতে, এতটা ভাবিনি। আমাকে যারা ভালোবাসা দিচ্ছেন, তাদের প্রতি আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, সিনেমাটিতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। পাশাপাশি ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় হাতে গোনা কয়েকটি দৃশ্যে ছিলেন তৃপ্তি দিমরি। কিন্তু তাতেও মাতিয়ে দিয়েছেন তৃপ্তি। অনেকে আবার রাশমিকার থেকে তৃপ্তিকে এগিয়ে রেখেছেন। সিনেমার নায়িকা রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বারবার আলোচনায় উঠে আসছেন তৃপ্তি দিমরি।


তৃপ্তি দিমরি   অ্যানিম্যাল   রণবীর কাপুর   রাশ্মিকা মান্দানা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাসার দেওয়ালে বাংলা বর্ণমালা, শাকিব খানের নায়িকা বললেন ‘আমি শিখছি’

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

‘প্রিয়তমা’ সিনেমার ব্যবসায়িক সফলতা ও সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়ার পরেই শাকিব খানকে নিয়ে ‘রাজকুমার’ নামে নতুন সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন পরিচালক হিমেল আশরাফ। নায়িকা হিসেবে বাছাই করা হয় সুদূর আমেরিকার মডেল ও অভিনেত্রী কোর্টনি কফি কে। তবে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত শুটিং শুরু না হওয়ায় সিনেমাটি নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। সেই শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমাটির শুটিং। ৫ দিন পর  আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শুটিং।

শুটিংয়ে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের মডেল ও অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। পরিচালক হিমেল আশরাফ জানান, ৭ ডিসেম্বর তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা দুই দিন পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন  তিনি। বাংলা ভাষার কোন সিনেমায় কোর্টনি কফির এটি প্রথম কাজ। আর তাই বাংলা ভাষায় দক্ষতা অর্জনে বিভিন্ন পদ্ধতির অবলম্বন করছেন তিনি।

বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের বাড়িতে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কোর্টনি। এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। বাসার দেওয়ালে বাংলা বর্ণমালা–সংবলিত সাদা বোর্ড টাঙিয়ে তা নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি শিখছি।’

কোর্টনি কফির বাংলা শেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিচালক হিমেল আশরাফ বলেন, ‘কোর্টনি তো আর অনর্গল বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারবেন না। তবে স্ক্রিপ্টে যা আছে, তা ভালোভাবে আয়ত্ত করেছেন। কয়েক মাস আগে থেকে বাংলা ভাষা আয়ত্তের চেষ্টা শুরু করেছিলেন তিনি। তার সিরিয়াসনেস মুগ্ধ করার মতো।’ এছাড়াও একজন সহকারীর সহযোগিতায় নিয়মিত বাংলা শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি  অনলাইন টিউটোরিয়াল এবং বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যও নিচ্ছেন। নিয়মিত বাংলা সিনেমাও দেখছেন।’

জানা যায়, কোর্টনি কফি যুক্তরাষ্ট্রে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ফিচার ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত ‘ডমিনোস’ এবং ‘প্লিজেন্ট গ্রোভ’ নামের দুটি ফিচার ফিল্ম মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সের ফ্ল্যাশিংয়ে ওয়ার্ল্ডস ফেয়ার মেরিনা কনভেনশন হলে ‘রাজকুমার’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কোর্টনি কফি বলেন, ‘এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। খুব সুন্দর একটি গল্পে সিনেমাটি হতে যাচ্ছে। শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি ভাগ্যবতী।’ আধো বাংলায় তিনি আরও বলেন, ‘সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভালো করতে পারি। ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, মহরতের কয়েক মাসের মধ্যেই ‘রাজকুমার’ সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শাকিব অন্য সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এর শুটিং করতে পারেননি। সিনেমাটি ভার্সেটাইল মিডিয়া থেকে বর্তমানে প্রযোজনা করছেন আরশাদ আদনান।


রাজকুমার   শাকিব খান   কোর্টনি কফি   প্রিয়তমা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন