কালার ইনসাইড

পলিটিকাল থ্রিলার, চরকি এবং ২১ আগস্ট প্রসঙ্গ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

২১ আগস্ট ২০০৪!!!
রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন সময়ের সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে তৎকালীন বিরোধী দল। ওদিকে আগে থেকেই কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে মাস্টারমাইন্ডের সকল পরিকল্পনা অনুসারে আশেপাশের বিল্ডিংয়ের ছাদ সহ সভাস্থলে অবস্থান নেয় মূল ঘটনার বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা আততায়ীরা। ধীরে ধীরে দুপুর গড়িয়ে বিকাল নামতে শুরু করলো। অনুষ্ঠানসূচীতে সমাবেশ শেষে মিছিলের পরিকল্পনা থাকায় স্থায়ী মঞ্চের পরিবর্তে ট্রাকের উপরে স্থাপিত মঞ্চের আশেপাশে ভিড় জমাতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। দলের প্রায় প্রতিটি নেতাকর্মী আজ বেশ উচ্ছ্বসিত, কারণ দলের সভানেত্রী থাকছেন প্রধান অতিথি হিসাবে থাকছেন। 

পশ্চিমের আকাশে হেলে পড়েছে রোদ। ঘড়িতে বিকাল ৫ টা ২ মিনিট। 
অন্যান্য নেতাকর্মীদের বক্তব্য শেষে মঞ্চে মাইকের সামনে আসলেন প্রধান অতিথি। ২০ মিনিটের বক্তব্য শেষ করে তিনি ঘুরলেন। ঘড়িতে ৫ টা ২২ মিনিট! শ্লোগান লেখা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে মাইক ছেড়ে পিছিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় একজন সাংবাদিক তাকে ছবির জন্য একটি পোজ দিতে অনুরোধ করেন। ঘুরে দাঁড়ালেন প্রধান অতিথি। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই দক্ষিণ দিক থেকে তাকে লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। মুহূর্তেই গ্রেনেড আর প্রধান অতিথিকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিরামহীন গুলিতে কেপে উঠলো সভাস্থল, একসাথে ১৩টি গ্রেনেডের আঘাতের সাথে চলতে থাকলো গুলি। ঘটে গেলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা।

বর্তমান যুগকে বলা হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের যুগ। বৈশ্বিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স থেকে শুরু করে অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টার, অ্যাপল টিভি, ডিজনি প্লাস, জি ফাইভসহ পাশের দেশ ভারতের হৈচৈ সহ নতুন নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে এবং একের পর এক মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দিয়ে দর্শকের ভরসার জায়গাতে পৌঁছে গিয়েছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও, দেশীয় টেলকোর সহায়তায় বায়স্কোপ, বাংলাফ্লিক্স, টফি সহ বেশ কয়েকটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি বঙ্গবিডি, বিঞ্জ, আই থিয়েটার, সিনেস্পট সহ বেশ কয়েকটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাথে সম্প্রতি প্রতিযোগিতায় সামনে আসে চরকি নামের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। 

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির শুরু থেকেই বেশ প্রত্যাশা ছিলো দর্শকদের। শুরুর দিকের কন্টেন্টেই তারা মরীচিকার মতো কন্টেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছিলো। আরফান নিশো, সিয়াম, জোভান ও মাহিয়া মাহীর মতো স্টারদের এক করে শুরুতেই ধামাকা দেখায় চরকি। এক্ষেত্রে তারা বেছে নিয়েছিলো আলোচিত মডেল তিন্নির বিচারাধীন একটি হত্যা মামলার ঘটনাকে। যেহেতু মামলাটি বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং এই মাসের ১৫ তারিখে মামলাটির বিচারের তারিখ নির্ধারিত তাই চরকির প্রথম কন্টেন্ট মরীচিকা নিয়ে অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিলো। সুন্দর নির্মাণ, মাল্টিস্টার এবং সুন্দর স্ক্রিনপ্লে থাকায় চরকির কন্টেন্ট মরীচিকা সামনে নিয়ে এসেছিলো মডেল তিন্নির জীবনের নানান দিক। যদিও এক্ষেত্রে মামলাটির বিচারক বা বিচার সংশ্লিষ্ট কেউ চরকির এই অসাধারণ নির্মাণটির নির্মাণ ও গল্পে প্রভাবিত হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে অবশ্যই কন্টেন্ট নির্মাণের জায়গা থেকে চরকি হাতে তালি পাবার যোগ্য। কারণ অস্ত্র হিসাবে সিনেমা আর নাটকের ব্যবহার পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শুরু করে পাশের দেশ ভারতেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে অনেক কাল ধরেই। সে হিসাবে কন্টেন্টকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে দর্শকের মনে নাড়া দিয়ে ফল পাল্টে দেবার পথিকৃৎ হিসাবে চরকির এই যাত্রাকে দর্শক কিভাবে মাপবেন সেটি সময়ই বলে দেবে। 

এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। লেখার একদম শুরুতে যে গল্পটি বলছিলাম সেটি নিতান্তই একটি পলিটিকাল থ্রিলার গল্পের প্লট। একটি পরিচ্ছন্ন বাংলা থ্রিলার হিসাবে আপাতদৃষ্টিতে গল্পটি ঠিকঠাকই বলা যায়। কিন্তু সমস্যা অন্য যায়গাতে! ধরুন এই গল্পটিকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে পালটে দিয়ে চরকির বৈশিষ্ট্য অনুসারে মাল্টিস্টার কাস্টের মাধ্যমে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করলেই হয়ে গেলো পর্দা কাঁপানো একটি ওটিটি কন্টেন্ট। জয় জয় রব উঠলো চরকির, শেয়ারে শেয়ারে পৌঁছে গেলো সাধারণ মানুষের কাছে। মানুষের সামনে সুন্দর নির্মাণে উপস্থাপিত এই কন্টেন্টটি প্রভাব ফেললো। তখন কিন্তু ঘটনাটি বা কন্টেন্টটি আর নিরীহদর্শন থাকছে না। সমস্যাটি এই জায়গাটিতেই। সম্প্রতি বাংলাদেশের আশা জাগানিয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু অভিনীত সিনেমা “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি”। যার পরিচালনায় ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত ও পরীক্ষিত পরিচালক রায়হান রাফি। ওই কন্টেন্টটি নিয়েই আজকের এই মাথাব্যথা!

চলুন স্ক্রিনপ্লের গতি পাল্টে আবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যাক।
আচ্ছা বলুনতো আমাদের দেশের কোন জিনসটির প্রতি মানুষের মাঝে অনীহা আর ঘৃণা খুব বেশি কাজ করে? অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন এটা আবার তেমন কঠিন কি প্রশ্ন! রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে গুলশান, বনানীতে বাস করা মানুষেরা চোখ বন্ধ করে একটাই উত্তর দিবেন যে এটি হচ্ছে আমাদের দেশের রাজনীতি। রাজনীতিকে মানুষের কাছে ঘৃণিত আর নোংরা বিষয় হিসাবে উপস্থাপন করার প্রয়াস হুট করেই শুরু হয়নি। একটি স্লো প্রসেসের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র, যুবক, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে রাজনীতিকে তুলে ধরা হয়েছে একটি নোংরা বস্তু হিসাবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রফাইলে শোভা পায় ”আই হেইট পলিটিক্স”। একটি বিশেষগোষ্ঠী অনেক আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সুকৌশলে এবং খুবই ধীর প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে বহু বছর ধরেই এই বিরাজনীতিকরনের প্রক্রিয়াকে রেখেছে চলমান।  

ওহহ!! পাঠক চলুন আবার প্রসঙ্গে ফেরা যাক। এবার আর ফ্ল্যাশব্যাক বা ভিন্ন ঘটনা না টেনে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম  চরকির কন্টেন্টের শেষভাগের ঝলকের মতো একদমে শেষ করবো আজকের এই লেখার বিষয়বস্তু। শুধু চাইবো মিলিয়ে নিন নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের মতো করে। তো ঘটনাটি ঘটেছে চরকির নতুন কন্টেন্ট ”খাচার ভেতর অচিন পাখি” নিয়ে। গল্প, স্ক্রিনপ্লে ও পরিচালনায় রায়হান রাফির নাম দেওয়া এই সিনেমাটি নির্মাণে যে গল্পের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে সেটি আমার আপনার খুবই পরিচিত একটি ঘটনা। এ দেশের সরকারী বা বিরোধী দল থেকে শুরু করে এক রুমের অফিস ভাড়া নিয়ে দল পরিচালনা করা যে কোনো ছোট রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীও সম্ভবত এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানেন। বাংলাদেশের রাজনীতির মেরুকরণের ঘটনাও বলা যেতে পারে এটিকে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো। ঘটানো হয়েছিলো বলছি এই কারণে যে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের অনেকের সম্মতিতেই ঘটেছিলো এই ঘটনাটি এবং ওই ঘটনার পেছনে ছিলেন একজন মাস্টারমাইন্ড, যার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এবং পরিকল্পনাতেই পরিচালিত হয়েছিলো গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি। বিচারাধীন মামলাটির বিভিন্ন সময়ের তথ্য উপাত্ত থেকে এমনটাই ধারনা করা যায়। যদিওবা এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাজানো হয়েছিলো জজমিয়া নাটক, ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো নিরপরাধ অনেককেই। তবে আইন তার নিজের গতিতে চলতে চলতে সত্যকে সামনে নিয়ে আসবেই। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটিও তার নিজের গতিতে সত্যানুসন্ধানের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মামলাটির রায় হয়তো অচিরেই দেখতে পাবে দেশের জনগণ। কিন্তু চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত কন্টেন্টটিতে দেখানো হয়েছে ভিন্ন চিত্র। এখানে শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুকে দেখানো হলো মানিকগঞ্জের একজন সাংসদ হিসাবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চরিত্রে দেখানো হলো ফখরুল বাশার মাসুমকে, যিনি ঘটনাটি জানেন এবং তার সহকারী ইন্তেখাব দিনারের পরামর্শেই চলেন। ইন্তেখাব দিনার যা বলেন তাই করেন এই মন্ত্রী, কারণ গল্পের পেছনের মানুষদের মতে বাংলাদেশ নামক দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো নিজের বুদ্ধিতে চলেন না, অথবা তিনি চান বিরোধীদলের নেতাকে খুন করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে। অথচ গল্পের পেছনের মানুষদের হয়তো এটা জানা ছিলোই না যে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইলেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আবার কন্টন্টে দেখা গেলো দেশে সরকারীদল আর বিরোধীদলের মধ্যে কি অসাধারণ  সম্পর্ক, যে সম্পর্ক দেখার জন্য বছরের পর বছর ধরে দেশের মানুষের এতো অপেক্ষা, এতো আক্ষেপ। সেই মধুর সম্পর্ককেই যেন পর্দায় এনেছে চরকি। কিন্তু এই সম্পর্ক এতোই ভয়াবহতা ছড়িয়েছে যেখানে বিরোধীদলের বা সরকারীদলের নেতা ফজলুর রহমান বাবু বা সুমন আনোয়ারের বিন্দুমাত্র মায়াবোধ কাজ করলো না কর্মীদের প্রতি। এই কন্টেন্টে নেই কোনো আইন, কোনো পুলিশ নেই, এমনকি নেই কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের উপস্থিতি। কেউ চাইলো আর গুম করে রাখা গেলো একজন সরকার দলীয় ক্ষমতাধর এমপিকে। স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনাও কি বৈচিত্রতাপূর্ণ। তমা নির্জাকে একবার দেখা গেলো সাংবাদিকের ভূমিকাতে, আবার দেখা গেলো একটি রাজনৈতিক দলের নেতা সুমন আনোয়ারের দাবার চাল হিসাবে ব্যবহৃত আন্ডারকভার এজেন্ট হিসাবে। কন্টেন্ট দেখতে গিয়ে তাই মাঝে মাঝেই ক্রিস্টোফার নোলানকে মনে পড়বে বাধ্য হবেন দর্শকেরা। 

তবে গল্পে গল্পে সময় কেটে গিয়ে সমাপ্তিতে আসলেও চরকির উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কারণ মডেল তিন্নির বিচারাধীন মামলার পরে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো আরো একটি বিচারাধীন মামলা নিয়ে আবারো চরকির কন্টেন্ট নির্মাণ এবং রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের চরিত্রহরনের চেষ্টার সাথে সাথে কি বিরাজনীতিকরণের স্লো পয়জন ছড়ানো হলো চরকির এই কন্টেন্টটিতে। কিংবা দেখানো হলো কি এমন এক ঘৃণার রাজনীতির উপাখ্যান যেখানে সরকারীদলের নেতা কর্মী বা বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা রাজনীতির নামে একে অন্যকে খুন আর হত্যার মধ্যদিকে ক্ষমতার লালসায় আশ্রয় নেবে রাজনীতির। কারণ ওয়ান ইলেভেন সময়কালীন ঘটনার দিকে ফ্ল্যাশব্যাকে গেলে চরকির স্রষ্টা প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের বিরাজনীতিকরনের ঘৃণ্য চেষ্টার ঘটনা কি সহজেই ভুলে যাবে এদেশের জনগণ।

ওটিটি কন্টেন্ট আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে আশার আলো। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রচুর বাজেট আর সুন্দর নির্মানের হাত ধরেই হয়তো সামনের দিনগুলোতে আমরা পাবো বলতে না পারা গল্প নির্ভর কন্টেন্ট। হয়তো অচিরেই এদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর হাত ধরেই নির্মিত হবে অপারেশন সূর্যদীঘলবাড়ি, হলি আর্টিজান বা পিলখানার গল্পের উপর ভিত্তি করে শক্তিশালী কন্টেন্ট। তবে কন্টেন্ট নির্মানের এই স্বাধীন প্ল্যাটফর্মের আশ্র‍য় নিয়ে ইতিহাস পাল্টে দেবার এই প্রয়াস বন্ধ না হলে কে জানে হয়তো এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর হাতেই খুন হবে ইতিহাস। গুটিকয়েক গোষ্ঠির স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হবে বিনোদনের নতুন জনপ্রিয় এই মাধ্যম।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন