কালার ইনসাইড

মিশন “স্ট্যান্টবাজি”

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail মিশন “স্ট্যান্টবাজি”

আজ আপনাদের একটি মিশনের গল্প শোনাব। যে গল্পটি রোলার কোস্টারের মতো গতিময়।

পাঠক!! তাহলে নিজ দায়িত্বে বেধে নিন আপনাদের সিটবেল্টগুলো। চলুন ভেতরে ঢোকা যাক একটি শ্বাসরুদ্ধ মিশনের।

কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক বাংলা সিনেমার গ্রুপে একজনের একটি ফেসবুক পোস্ট দেখেছিলাম। সেখানে তিনি মুক্তির দৌড়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী সিনেমার পোস্টারের একটি কোলাজ দিয়েছিলেন। যেখানে সাম্প্রতিককালের দুর্দান্ত পোস্টার ডিজাইনারদের বদৌলতে অসাধারণসব পোস্টারের কল্যাণে মনে হচ্ছিলো আহা এই বুঝি বদলে যেতে শুরু করলো আমাদের বাংলা সিনেমা। আমরা আবারো হয়তো ফিরে পাবো আমাদের হারানো সেই স্বর্ণযুগ। ততদিনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই সিনেমা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর “আয়নাবাজী”, দীপঙ্কর দীপনের “ঢাকা অ্যাটাক” আর রায়হান রাফীর “পোড়ামন ২” সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়াতে দর্শকেরাও খুব বেশি আশাবাদী হতে শুরু করেছিলো মুক্তি পেতে চলা সিনেমাগুলো নিয়ে। এরপরে আঘাত হানলো বৈশ্বিক মহামারী করোনা। বন্ধ হয়ে গেলো হলগুলো। ধুকতে থাকা ঢাকাই সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির অবস্থা চলে যেতে শুরু করলো আরো তলানির দিকে।

করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে উঠলো বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করলো প্রেক্ষাগৃহগুলো। করোনা ঝড় কিছুটা কাটিয়ে ঊনপঞ্চাশ বাতাস দিয়ে শুরু হয়ে একে একে মুক্তি পেতে শুরু করলো চন্দ্রাবতী কথা, নোনা জলের কাব্য, রেহানা মরিয়ম নূর, পদ্মাপুরানের মতো সিনেমাগুলো। কিন্তু তারপরেও কিছু একটা যেন জমছিলোনা। কারণ ঢাকাই সিনেমাতে অনেক রঙয়ের অনেক ঢঙয়ের গল্প বলা হলেও বাণিজ্যিক বা মাসালা সিনেমাই যে দর্শকদের হলমুখী করতে বড় একটা অবদান রাখে সেটি কারো অজানা না।

চলুন এবার মূলগল্পে ঢোকা যাক।

দীপঙ্কর দীপনের প্রথম সিনেমা “ঢাকা অ্যাটাকের” একদম শেষভাগে পর্দায় লেখা উঠেছিলো “ঢাকা অ্যাটাক এক্সট্রিম” আসছে। যদিও অজানা কারনে সেই সিনেমা আর আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু আগের সিনেমার কাহিনীকার সানী সানোয়ার ও প্রধান সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ এবার একসাথে বসলেন পরিচালকের সিটে। ঘোষণা এলো আরো একটি পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার যার নাম হবে “মিশন এক্সট্রিম”। প্রথমে দর্শক হিসাবে এটা বেশ ভালো লেগেছিলো, কারন আগের সিনেমা থেকে ঢাকা অ্যাটাক ফেলে মিশন শব্দটি যোগ করে হয়ে গেলো সিনেমার নাম। ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের সুপারস্টার আরেফিন শুভ থাকায় দর্শক উৎসাহী হয়ে উঠতে শুরু করলো, কারণ নাম যা ই হোক ঢাকা অ্যাটাকের কারনে আরেফিন শুভর উপরে এতোদিনে ভরসা এসেছে মানুষের যে শুভ আছে তাই ভালো কিছু সম্ভব।

করোনার কারনে কয়েকবার সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে গেলো। অবশেষে ঘোষণা এলো ডিসেম্বরের ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এবার বুঝি অপেক্ষার পালা শেষ হলো! এরমাঝে মিশন এক্সট্রিমের জন্য আরেফিন শুভর শরীর গঠনের ভিডিও সাড়া ফেলেছিলো বেশ। সিনেমা মুক্তির আগে সিনেমাটির প্রিমিয়ারে নায়ক এলেন তার নির্মিতব্য সিনেমা বঙ্গবন্ধুর লুক নিয়ে। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বললেন “মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটি অনেক পরিশ্রম করে করেছি। যেখানে একটি সিনেমা এক মাসে কাজ সম্পন্ন করা যায়, সেখানে আমরা ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেড় বছরেরও বেশি সময় নিয়ে কাজ করেছি”। তিনি আরো যুক্ত করলেন “মুখে বড় বড় কথা বলার চেয়ে, ‘আন্তর্জাতিক-আন্তর্জাতিক মুখ দিয়ে বলার থেকে একবার করে দেখালাম আন্তর্জাতিক মানে কি। সংজ্ঞা ও উদাহরণসহ”। নায়কের এই আকাশচুম্বী আত্মবিশ্বাস দেখে আশার পারদ তুঙ্গে নিয়ে দর্শকেরা অপেক্ষায় বসলো ৩ ডিসেম্বরের।

অবশেষে মুক্তি পেলো সিনেমাটি। সিনেমার এই দুর্দিনে আর দর্শক ক্ষরার এই সময়ে প্রথমেই ৫০টি হল পাওয়া যেন ছিলো গোটা টিমের জন্য ঈদের মতোই খুশীর উপলক্ষ্য। কারণ সাম্প্রতিককালে ঈদের সময়টাতেই ২০০ হল বিষয়ে সিনেমাপাড়ায় কথা শোনা যায়। 
তবে আসলে কেমন হলো এই বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি? কেমন হলো নায়ক আরেফিন শুভর দ্বিতীয় পুলিশ থ্রিলার অ্যাকশন ইন্টারন্যাশনাল। নামেই বুঝাচ্ছিলো এটি একটি মিশনকে নিয়ে তৈরী গল্পের সিনেমা। হ্যা “মিশন এক্সট্রিম” সত্যিই একটি মিশনের গল্প, তবে গল্পের ভাজে ভাজে আপনি থাকবেন ধোঁয়াশায় পূর্ণ একটি মিশনের গল্পে। হতে পারে এটি একটি হতে চলা জঙ্গি গোষ্ঠীর জঙ্গি দল হয়ে ওঠার গল্পের মিশন। হতে পারে সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের পরিচালক হয়ে ওঠার মিশন, অথবা এমনও হতে পারে হারাতে বসা বাংলা সিনেমাকে খানিকটা অক্সিজেন দিয়ে আবার বাঁচিয়ে তোলার মিশন।

যদিওবা গল্পের ভাজে ভাজে এতোটাই অগোছালো আর বেক্ষাপ্পা চিত্রনাট্যের খেলা চলছিলো যে দর্শকমাত্রই মিশনের গল্পে চলতে থাকা বড় পর্দার বাম কোনায় কিছুক্ষন পর পর উঠতে থাকা “দিন ৩০০”, “দিন ৬৫” বা “দিন ৯৫” এর চক্করে পড়ে গল্পে মনোযোগ হারেতে হারাতে হিসাব মেলাতে পারেন। ঠিক যখন আপনার মনে হবে ধুর ছাই সময় বাড়ছে না কমছে অথবা আপনার মনে হবে সিনেমাটা হয়তো ৪ ঘন্টার তাই কেটে অর্ধেক করে দেয়াতে সামনের দৃশ্যেই হয়তো মিলে যাবে এই সংখ্যা সাংঘাতিকের হিসাব। না হিসাব মিলে না মধ্যবিরতিতেও। আপনার বিরক্তি কাটাতে ভরে দেওয়া হবে বাংলা সিনেমার সিগনেচার কল্পনার স্বপ্নে চলে যাবার গান। যদিও আরেফিন শুভ আর নায়িকা ঐশীর পরিচয় (একজন পুলিশ আরেকজন সাংবাদিক এই পরিচয় বাদে) নিয়ে কনফিউশনে পড়লেও পড়তে পারেন দর্শকেরা। কখনো মনে হবে তারা ছোটকালের খালাতো ভাইবোন, আবার মনে হবে পাশের ফ্ল্যাটের দুষ্টু মেয়েটা।

ওদিকে এ সময়ের দেশসেরা অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু হয়তো গল্প আর পরিচালকের কথায় বিদেশে বসে নায়কের ফোনের ইন্সট্রাকশনেই কাজ করছেন কিন্তু এই কাজের কোনো শেষ নেই। মুখ বুজে পর্দায় এলেন দেশসেরা আরেক অভিনেতা শহিদুজ্জামান সেলিম। পর্দায় এলেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা শামস সুমন। সেইসাথে এই সময়ের জনপ্রিয় হতে থাকা দ্বীপ, সুমিত, পরীক্ষিত অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু সহ নাটকের পরিচিত অনেক অনেক জনপ্রিয় মুখ। যারা এক একজন চাইলেই অভিনয়গুনে এক একটা সিনেমা টেনে নেবার যোগ্যতা হয়তো রাখতে শুরু করেছেন। ঠিক যেমন পর্দায় দর্শক দেখলো সৈয়দ নাজমুস সাকিবের অসাধারণ অভিনয়। গল্পে এতো এতো চরিত্র দেখে দর্শকরা হয়তো প্রায় ভেবেই ফেলছিলো যে এই বুঝি বর্তমানের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাশার চলে আসবেন পর্দায়। তবে কোথা থেকে এলেন কিভাবে গল্পে চরিত্র হয়ে আগালেন সেটি কাহিনী যিনি লিখেছিলেন তিনি ছাড়া অনেকের পক্ষেই হয়তো বলা খানিকটা কঠিন। কারণ এক দৃশ্যে সীমান্তবর্তী এক রেলস্টেশনে দুজন অভিনেতা নামার পরেই আবার তাদের দেখা গেলো ঢাকা শহরেই । হয়তো সিনেমার এডিটর এবং পরিচালক ভেবেছিলেন গল্প ঠিকঠাকই আছে। পরের সিকুয়ালে আছে বলে এডিটর ভুলে গিয়েছিলেন পুরো সিনেমা তিনি কেটেছেন বলে তিনি নিজে গল্প জানলেও দর্শক কিন্তু গল্প জানে না পুরোটা। তাই সিনেমাকে সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে যেভাবে দর্শক পরের কিস্তি ছাড়াই গল্প বুঝতে পারেন।

জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ পুরনো একটি বিষয়। কারন এদেশের মানুষ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবির কথা জেনেছিলো ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে। বর্তমানের বাংলাদেশে জঙ্গিদের ঠাই নেই। বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপে এখন জঙ্গিবাদের ঘটনা শোনা যায় কালেভদ্রে। আর গুলশান অ্যাটাকের সময়ের পরে এই ডিজিটাল যুগে এসে তরুণ প্রজন্মকে কি এভাবেই ব্রেইনওয়াশ করা যায় কিনা তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরাই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু সিনেমাতে রাইসুল ইসালাম আসাদকে জঙ্গি কোনো গোষ্ঠী মেরে ফেললো। হ্যা মেরে ফেলার দৃশ্য থাকতেই পারে কিন্তু নাস্তিক এই শিক্ষকের টকশোতে কথা বলায় মেরে ফেলার ভুল ঢাকতেই কি নাস্তিক লেখকের ফাঁসি চাই লেখা পোস্টারের ইনসার্ট শট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো কিনা তা পরিচালক সাহেব ও এডিটর ভালো বলতে পারবেন।

ট্রাই নাইট্রো টলুইন (TNT) একটি শক্তিশালী এক্সপ্লোসিভ, যার গাঠনিক সংকেত C6H2(NO2)3CH3। জঙ্গি গোষ্ঠী এটা দিয়েই হয়তো জাতীয় সংসদ ভবনে থার্টি ফাস্ট নাইটে হামলা চালাবার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু সিনেমার পর্দায় নায়ক যেভাবে ডিফিউজ না করেই ফাকা মাঠে ছুড়ে দিলেন তাতে টিএনটির শক্তিমত্তার উপরে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস উঠে যাবার কথা। হ্যা আমাদের দেশের সিনেমায় হয়তো পাশের দেশ ভারতের রোহিত শেট্টি নির্মিত “সুরিয়াভানসির” মতো বাজেট নেই যা দিয়ে অনেকগুলো হেলিকপ্টার এনে মিশন এক্সট্রিমে দেখানো সেই থার্টি ফার্স্ট নাইটেই পার্টির বিল্ডিংটি তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সংসদের পরিকল্পনা পাল্টে গুলশানের এক ক্লাবে শিফট হওয়া প্ল্যান বি এর গল্পের গাঁথুনিটা একটু মজবুত হলেই লোকের বলতে হতো না আমরা কি আর অতো বাজেট পাই নাকি। দেশীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্বমানের সিনেমা এটাই অথবা বলতে শোনা যেতনা যে ইহাই ইন্টারন্যাশনাল কিন্তু মুখে বললাম না। শুধু একটু মনে করতে হবে তারেক মাসুদের “রানওয়ে” সিনেমাটির কথা। যারা বলছেন যে জঙ্গিবাদ নিয়ে যেহেতু সিনেমাটি তাই প্রশংসা পাবে মিশন এক্সট্রিম, তাদের “রানওয়ে” সিনেমাটি দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইলো।


তবে পরিচালক এবং এই সিনেমা সংশ্লিষ্ট কারো ফোনে যদি কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রাইব করা থাকে এবং ওবেব সিরিজ নামক টার্মের সাথে যদি পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো কোনো একতা দিন কোনো একটা সময় তারা নিজে বসে চা খেতে খেতে ভাববেন ওয়েব সিরিজের মতো বিশাল গল্পকে মধ্য থেকে কেটে দিয়ে দুইভাগ করে দিয়ে ইহাই ইন্টারন্যাশনাল বলে গলা ফাটালেই তা ইন্টারন্যাশনাল হয়ে ওঠে না।

আমাদের এই ছোট ও মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কালেভদ্রে দর্শকেরা যে কয়জন মানুষের উপরে আশা নিয়ে বসে থাকেন তাদের মধ্যে আরেফিন শুভ অন্যতম একজন। হয়তো অচিরেই আরেফিন শুভ তার অসাধারণ অভিনয় নিয়ে হাজির হবেন জাতির পিতার উপরে শ্যাম বেনেগালের নির্মিত “বঙ্গবন্ধু” সিনেমা দিয়ে। কিন্তু গল্পে ভরসা না থাকলে শুধু মুখে মুখে সিনেমার ব্যবসার স্বার্থে দর্শকদের সাথে এ ধরনের প্রতারণা আরেফিন শুভর জন্য অবশ্যই মানানসই নয়।

পরিশেষে পরিচালক ও প্রযোজকদেরকে “ মিশন স্ট্যান্টবাজি” শিরোনামের ওবেব সিরিজ নির্মানের আহ্বান জানিয়ে মিশন এক্সট্রিম জার্নি শেষ করছি। কারণ হয়তো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এই যুগে ওয়েব সিরিজে চার পাচ ঘন্টার বড় বড় গল্পে কাজ করা হয় যেখানে ছোট ছোট চরিত্রগুলোও ফুটিয়ে তোলা যায় সময় নিয়ে, কিন্তু পরিচালকের মনে রাখতে হবে এটা সিনেমা!!!! এটা “বিগ স্ক্রিন”।

মিশন এক্সট্রিম   আরিফিন শুভ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে অনেক কাজই সহজ হয়ে গেছে মানুষের জন্য। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে নিউজ প্রেজেন্টিং, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ - সবই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা।

এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি মডেলদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসি)। মূলত বিশ্বজুড়ে এআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতেই এমনটা করা হচ্ছে।

আয়োজন সংস্থা জানায়, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হবে - সৌন্দর্য, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যেমন এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক ইত্যাদি দেখা হবে।

জানা গেছে, যে মডেল জিতবেন, তাকে মিস এআই শিরোপা দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার এন্ট্রি। যারা এই ধরনের এআইভিত্তিক মডেল বানিয়ে থাকেন তারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

তবে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ করতে হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে ডব্লিউএআইসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া।

সুন্দরী প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এআইভিত্তিক ফ্যাশন সামগ্রী এবং পুরুষ মডেলের ওপরও জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।

এআই সুন্দরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নগ্ন পুরুষ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিদ্যা বালানের

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ২০০৩ সালে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন এই নায়িকা। বিদ্যা বালানের পরবর্তী সিনেমা ‘দো আউর দো পেয়ার’।

সম্প্রতি এই সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই নগ্ন পুরুষদের নিয়ে মন্তব্য করেন বিদ্যা বালান। অভিনেত্রী জানান, এখন নগ্ন পুরুষদেরও বাহবা পাওয়ার সময় এসেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালে নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং। সেসময় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। অভিনেতার এই ফটোশুটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে রণবীরের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বিদ্যা বালান।

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আগে যা বলেছি এখনও একই কথা বলব। আপনি যে কোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, ‘প্লেবয়’ বা ‘ডেবোনেয়র’-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে।

কিন্তু আমাদের মতো যারা আছেন, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ কিংবা ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই এখনও ঠিক সেটাই বলছি— আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনও হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদেরও বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এই বিষয়টি নিজের অভিমত জানিয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের নানান বিষয় উঠে এসেছে বিদ্যা বালানের নতুন সিনেমায়। অভিনেত্রী বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানও হয়নি। এর বাইরের অনেক বিষয়ও রয়েছে। আমরা তো নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

সূত্র: আনন্দবাজার

নগ্ন পুরুষ   বিদ্যা বালান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার কোনো ভয় নেই: নিপুন

প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।

এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।

নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো ভয় নেই।’

নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা যায়নি।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।

এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   ডিপজল   নিপুন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘ডিপফেক’ ভিডিও দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার, থানায় মামলা করলেন আমির খান

প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।

সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।

২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক থাকতে বলতে দেখা গেছে। আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি এমন কোনও প্রচার ভিডিও শুট করেননি।

আমির খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


ডিপফেক ভিডিও   রাজনৈতিক প্রচার   মামলা   আমির খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।

এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।

এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন