কালার ইনসাইড

মিশন “স্ট্যান্টবাজি”

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail মিশন “স্ট্যান্টবাজি”

আজ আপনাদের একটি মিশনের গল্প শোনাব। যে গল্পটি রোলার কোস্টারের মতো গতিময়।

পাঠক!! তাহলে নিজ দায়িত্বে বেধে নিন আপনাদের সিটবেল্টগুলো। চলুন ভেতরে ঢোকা যাক একটি শ্বাসরুদ্ধ মিশনের।

কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক বাংলা সিনেমার গ্রুপে একজনের একটি ফেসবুক পোস্ট দেখেছিলাম। সেখানে তিনি মুক্তির দৌড়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী সিনেমার পোস্টারের একটি কোলাজ দিয়েছিলেন। যেখানে সাম্প্রতিককালের দুর্দান্ত পোস্টার ডিজাইনারদের বদৌলতে অসাধারণসব পোস্টারের কল্যাণে মনে হচ্ছিলো আহা এই বুঝি বদলে যেতে শুরু করলো আমাদের বাংলা সিনেমা। আমরা আবারো হয়তো ফিরে পাবো আমাদের হারানো সেই স্বর্ণযুগ। ততদিনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই সিনেমা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর “আয়নাবাজী”, দীপঙ্কর দীপনের “ঢাকা অ্যাটাক” আর রায়হান রাফীর “পোড়ামন ২” সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়াতে দর্শকেরাও খুব বেশি আশাবাদী হতে শুরু করেছিলো মুক্তি পেতে চলা সিনেমাগুলো নিয়ে। এরপরে আঘাত হানলো বৈশ্বিক মহামারী করোনা। বন্ধ হয়ে গেলো হলগুলো। ধুকতে থাকা ঢাকাই সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির অবস্থা চলে যেতে শুরু করলো আরো তলানির দিকে।

করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে উঠলো বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করলো প্রেক্ষাগৃহগুলো। করোনা ঝড় কিছুটা কাটিয়ে ঊনপঞ্চাশ বাতাস দিয়ে শুরু হয়ে একে একে মুক্তি পেতে শুরু করলো চন্দ্রাবতী কথা, নোনা জলের কাব্য, রেহানা মরিয়ম নূর, পদ্মাপুরানের মতো সিনেমাগুলো। কিন্তু তারপরেও কিছু একটা যেন জমছিলোনা। কারণ ঢাকাই সিনেমাতে অনেক রঙয়ের অনেক ঢঙয়ের গল্প বলা হলেও বাণিজ্যিক বা মাসালা সিনেমাই যে দর্শকদের হলমুখী করতে বড় একটা অবদান রাখে সেটি কারো অজানা না।

চলুন এবার মূলগল্পে ঢোকা যাক।

দীপঙ্কর দীপনের প্রথম সিনেমা “ঢাকা অ্যাটাকের” একদম শেষভাগে পর্দায় লেখা উঠেছিলো “ঢাকা অ্যাটাক এক্সট্রিম” আসছে। যদিও অজানা কারনে সেই সিনেমা আর আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু আগের সিনেমার কাহিনীকার সানী সানোয়ার ও প্রধান সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ এবার একসাথে বসলেন পরিচালকের সিটে। ঘোষণা এলো আরো একটি পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার যার নাম হবে “মিশন এক্সট্রিম”। প্রথমে দর্শক হিসাবে এটা বেশ ভালো লেগেছিলো, কারন আগের সিনেমা থেকে ঢাকা অ্যাটাক ফেলে মিশন শব্দটি যোগ করে হয়ে গেলো সিনেমার নাম। ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের সুপারস্টার আরেফিন শুভ থাকায় দর্শক উৎসাহী হয়ে উঠতে শুরু করলো, কারণ নাম যা ই হোক ঢাকা অ্যাটাকের কারনে আরেফিন শুভর উপরে এতোদিনে ভরসা এসেছে মানুষের যে শুভ আছে তাই ভালো কিছু সম্ভব।

করোনার কারনে কয়েকবার সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে গেলো। অবশেষে ঘোষণা এলো ডিসেম্বরের ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এবার বুঝি অপেক্ষার পালা শেষ হলো! এরমাঝে মিশন এক্সট্রিমের জন্য আরেফিন শুভর শরীর গঠনের ভিডিও সাড়া ফেলেছিলো বেশ। সিনেমা মুক্তির আগে সিনেমাটির প্রিমিয়ারে নায়ক এলেন তার নির্মিতব্য সিনেমা বঙ্গবন্ধুর লুক নিয়ে। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বললেন “মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটি অনেক পরিশ্রম করে করেছি। যেখানে একটি সিনেমা এক মাসে কাজ সম্পন্ন করা যায়, সেখানে আমরা ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেড় বছরেরও বেশি সময় নিয়ে কাজ করেছি”। তিনি আরো যুক্ত করলেন “মুখে বড় বড় কথা বলার চেয়ে, ‘আন্তর্জাতিক-আন্তর্জাতিক মুখ দিয়ে বলার থেকে একবার করে দেখালাম আন্তর্জাতিক মানে কি। সংজ্ঞা ও উদাহরণসহ”। নায়কের এই আকাশচুম্বী আত্মবিশ্বাস দেখে আশার পারদ তুঙ্গে নিয়ে দর্শকেরা অপেক্ষায় বসলো ৩ ডিসেম্বরের।

অবশেষে মুক্তি পেলো সিনেমাটি। সিনেমার এই দুর্দিনে আর দর্শক ক্ষরার এই সময়ে প্রথমেই ৫০টি হল পাওয়া যেন ছিলো গোটা টিমের জন্য ঈদের মতোই খুশীর উপলক্ষ্য। কারণ সাম্প্রতিককালে ঈদের সময়টাতেই ২০০ হল বিষয়ে সিনেমাপাড়ায় কথা শোনা যায়। 
তবে আসলে কেমন হলো এই বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি? কেমন হলো নায়ক আরেফিন শুভর দ্বিতীয় পুলিশ থ্রিলার অ্যাকশন ইন্টারন্যাশনাল। নামেই বুঝাচ্ছিলো এটি একটি মিশনকে নিয়ে তৈরী গল্পের সিনেমা। হ্যা “মিশন এক্সট্রিম” সত্যিই একটি মিশনের গল্প, তবে গল্পের ভাজে ভাজে আপনি থাকবেন ধোঁয়াশায় পূর্ণ একটি মিশনের গল্পে। হতে পারে এটি একটি হতে চলা জঙ্গি গোষ্ঠীর জঙ্গি দল হয়ে ওঠার গল্পের মিশন। হতে পারে সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের পরিচালক হয়ে ওঠার মিশন, অথবা এমনও হতে পারে হারাতে বসা বাংলা সিনেমাকে খানিকটা অক্সিজেন দিয়ে আবার বাঁচিয়ে তোলার মিশন।

যদিওবা গল্পের ভাজে ভাজে এতোটাই অগোছালো আর বেক্ষাপ্পা চিত্রনাট্যের খেলা চলছিলো যে দর্শকমাত্রই মিশনের গল্পে চলতে থাকা বড় পর্দার বাম কোনায় কিছুক্ষন পর পর উঠতে থাকা “দিন ৩০০”, “দিন ৬৫” বা “দিন ৯৫” এর চক্করে পড়ে গল্পে মনোযোগ হারেতে হারাতে হিসাব মেলাতে পারেন। ঠিক যখন আপনার মনে হবে ধুর ছাই সময় বাড়ছে না কমছে অথবা আপনার মনে হবে সিনেমাটা হয়তো ৪ ঘন্টার তাই কেটে অর্ধেক করে দেয়াতে সামনের দৃশ্যেই হয়তো মিলে যাবে এই সংখ্যা সাংঘাতিকের হিসাব। না হিসাব মিলে না মধ্যবিরতিতেও। আপনার বিরক্তি কাটাতে ভরে দেওয়া হবে বাংলা সিনেমার সিগনেচার কল্পনার স্বপ্নে চলে যাবার গান। যদিও আরেফিন শুভ আর নায়িকা ঐশীর পরিচয় (একজন পুলিশ আরেকজন সাংবাদিক এই পরিচয় বাদে) নিয়ে কনফিউশনে পড়লেও পড়তে পারেন দর্শকেরা। কখনো মনে হবে তারা ছোটকালের খালাতো ভাইবোন, আবার মনে হবে পাশের ফ্ল্যাটের দুষ্টু মেয়েটা।

ওদিকে এ সময়ের দেশসেরা অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু হয়তো গল্প আর পরিচালকের কথায় বিদেশে বসে নায়কের ফোনের ইন্সট্রাকশনেই কাজ করছেন কিন্তু এই কাজের কোনো শেষ নেই। মুখ বুজে পর্দায় এলেন দেশসেরা আরেক অভিনেতা শহিদুজ্জামান সেলিম। পর্দায় এলেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা শামস সুমন। সেইসাথে এই সময়ের জনপ্রিয় হতে থাকা দ্বীপ, সুমিত, পরীক্ষিত অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু সহ নাটকের পরিচিত অনেক অনেক জনপ্রিয় মুখ। যারা এক একজন চাইলেই অভিনয়গুনে এক একটা সিনেমা টেনে নেবার যোগ্যতা হয়তো রাখতে শুরু করেছেন। ঠিক যেমন পর্দায় দর্শক দেখলো সৈয়দ নাজমুস সাকিবের অসাধারণ অভিনয়। গল্পে এতো এতো চরিত্র দেখে দর্শকরা হয়তো প্রায় ভেবেই ফেলছিলো যে এই বুঝি বর্তমানের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাশার চলে আসবেন পর্দায়। তবে কোথা থেকে এলেন কিভাবে গল্পে চরিত্র হয়ে আগালেন সেটি কাহিনী যিনি লিখেছিলেন তিনি ছাড়া অনেকের পক্ষেই হয়তো বলা খানিকটা কঠিন। কারণ এক দৃশ্যে সীমান্তবর্তী এক রেলস্টেশনে দুজন অভিনেতা নামার পরেই আবার তাদের দেখা গেলো ঢাকা শহরেই । হয়তো সিনেমার এডিটর এবং পরিচালক ভেবেছিলেন গল্প ঠিকঠাকই আছে। পরের সিকুয়ালে আছে বলে এডিটর ভুলে গিয়েছিলেন পুরো সিনেমা তিনি কেটেছেন বলে তিনি নিজে গল্প জানলেও দর্শক কিন্তু গল্প জানে না পুরোটা। তাই সিনেমাকে সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে যেভাবে দর্শক পরের কিস্তি ছাড়াই গল্প বুঝতে পারেন।

জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ পুরনো একটি বিষয়। কারন এদেশের মানুষ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবির কথা জেনেছিলো ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে। বর্তমানের বাংলাদেশে জঙ্গিদের ঠাই নেই। বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপে এখন জঙ্গিবাদের ঘটনা শোনা যায় কালেভদ্রে। আর গুলশান অ্যাটাকের সময়ের পরে এই ডিজিটাল যুগে এসে তরুণ প্রজন্মকে কি এভাবেই ব্রেইনওয়াশ করা যায় কিনা তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরাই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু সিনেমাতে রাইসুল ইসালাম আসাদকে জঙ্গি কোনো গোষ্ঠী মেরে ফেললো। হ্যা মেরে ফেলার দৃশ্য থাকতেই পারে কিন্তু নাস্তিক এই শিক্ষকের টকশোতে কথা বলায় মেরে ফেলার ভুল ঢাকতেই কি নাস্তিক লেখকের ফাঁসি চাই লেখা পোস্টারের ইনসার্ট শট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো কিনা তা পরিচালক সাহেব ও এডিটর ভালো বলতে পারবেন।

ট্রাই নাইট্রো টলুইন (TNT) একটি শক্তিশালী এক্সপ্লোসিভ, যার গাঠনিক সংকেত C6H2(NO2)3CH3। জঙ্গি গোষ্ঠী এটা দিয়েই হয়তো জাতীয় সংসদ ভবনে থার্টি ফাস্ট নাইটে হামলা চালাবার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু সিনেমার পর্দায় নায়ক যেভাবে ডিফিউজ না করেই ফাকা মাঠে ছুড়ে দিলেন তাতে টিএনটির শক্তিমত্তার উপরে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস উঠে যাবার কথা। হ্যা আমাদের দেশের সিনেমায় হয়তো পাশের দেশ ভারতের রোহিত শেট্টি নির্মিত “সুরিয়াভানসির” মতো বাজেট নেই যা দিয়ে অনেকগুলো হেলিকপ্টার এনে মিশন এক্সট্রিমে দেখানো সেই থার্টি ফার্স্ট নাইটেই পার্টির বিল্ডিংটি তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সংসদের পরিকল্পনা পাল্টে গুলশানের এক ক্লাবে শিফট হওয়া প্ল্যান বি এর গল্পের গাঁথুনিটা একটু মজবুত হলেই লোকের বলতে হতো না আমরা কি আর অতো বাজেট পাই নাকি। দেশীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্বমানের সিনেমা এটাই অথবা বলতে শোনা যেতনা যে ইহাই ইন্টারন্যাশনাল কিন্তু মুখে বললাম না। শুধু একটু মনে করতে হবে তারেক মাসুদের “রানওয়ে” সিনেমাটির কথা। যারা বলছেন যে জঙ্গিবাদ নিয়ে যেহেতু সিনেমাটি তাই প্রশংসা পাবে মিশন এক্সট্রিম, তাদের “রানওয়ে” সিনেমাটি দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইলো।


তবে পরিচালক এবং এই সিনেমা সংশ্লিষ্ট কারো ফোনে যদি কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রাইব করা থাকে এবং ওবেব সিরিজ নামক টার্মের সাথে যদি পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো কোনো একতা দিন কোনো একটা সময় তারা নিজে বসে চা খেতে খেতে ভাববেন ওয়েব সিরিজের মতো বিশাল গল্পকে মধ্য থেকে কেটে দিয়ে দুইভাগ করে দিয়ে ইহাই ইন্টারন্যাশনাল বলে গলা ফাটালেই তা ইন্টারন্যাশনাল হয়ে ওঠে না।

আমাদের এই ছোট ও মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কালেভদ্রে দর্শকেরা যে কয়জন মানুষের উপরে আশা নিয়ে বসে থাকেন তাদের মধ্যে আরেফিন শুভ অন্যতম একজন। হয়তো অচিরেই আরেফিন শুভ তার অসাধারণ অভিনয় নিয়ে হাজির হবেন জাতির পিতার উপরে শ্যাম বেনেগালের নির্মিত “বঙ্গবন্ধু” সিনেমা দিয়ে। কিন্তু গল্পে ভরসা না থাকলে শুধু মুখে মুখে সিনেমার ব্যবসার স্বার্থে দর্শকদের সাথে এ ধরনের প্রতারণা আরেফিন শুভর জন্য অবশ্যই মানানসই নয়।

পরিশেষে পরিচালক ও প্রযোজকদেরকে “ মিশন স্ট্যান্টবাজি” শিরোনামের ওবেব সিরিজ নির্মানের আহ্বান জানিয়ে মিশন এক্সট্রিম জার্নি শেষ করছি। কারণ হয়তো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এই যুগে ওয়েব সিরিজে চার পাচ ঘন্টার বড় বড় গল্পে কাজ করা হয় যেখানে ছোট ছোট চরিত্রগুলোও ফুটিয়ে তোলা যায় সময় নিয়ে, কিন্তু পরিচালকের মনে রাখতে হবে এটা সিনেমা!!!! এটা “বিগ স্ক্রিন”।

মিশন এক্সট্রিম   আরিফিন শুভ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সুখবর দিলেন শবনম ফারিয়া

প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অভিনয়ে আর আগের মতো নিয়মিত নন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। নতুন খবর হলো, সদ্যই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল একটি মুঠোফোন কোম্পানিতে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শবনম ফারিয়া। এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন ভক্তদের এই সুখবরটি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেশের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি চাই না এটি নিয়ে নিউজ হোক। তাই বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথাও বলিনি। ফেসবুকে শুধু একটু জানিয়েছি, আর কিছুই না।’

এর আগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া এবং কমিনিকেশন্স’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাহকের করা মামলায় আদালতের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাকে।

শবনম ফারিয়া  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীকে পাল্টা জবাব দিলেন অপু

প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে নিজেকে এখনো শাকিব খানের স্ত্রী দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বলেছেন, তারা দু’জনই সময় নিচ্ছেন। এছাড়াও তার নিজের ক্যারিয়ার, সন্তান শেহজাদ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ খোলাখুলি বেশ কিছু কথা বলেন এই নায়িকা। 

শাকিব খানের বাসায় কখনো অপু বিশ্বাসের সাথে দেখা গিয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, ‘দেখা হয় আমাদের। খুব স্বাভাবিক। যখন দেখা হয়েছে, আমি সর্বোচ্চ সম্মানটা দিতে চেষ্টা করেছি।’

এমনকি একদিন শেহজাদ ও শাকিব খানকে নিয়ে তিনি যখন রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন, তখন সেখানে আবরামকে নিয়ে নাকি অপু বিশ্বাসও হাজির হয়েছিলেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে জানান বুবলী। এটি প্রকাশের পর থেকে এ নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমে এরই মধ্যে খবর এসেছে বুবলীর এমন কথায় নাকি বিরক্ত শাকিব খান আর অভিমান করেছেন অপু। 

এ নিয়ে মুখও খুলেছেন অপু। তার মতে, বুবলীর সঙ্গে দেখা হওয়ার দিন ছিল প্রথম রমজান। আর সেদিন আগে থেকেই জয়কে নিয়ে শাকিব খানের বাসায় ছিলেন অপু। আর বুবলী সেদিন শাকিবের বাসায় না অফিসে এসেছিলেন। এমনটাই দাবি করলেন অপু। 

অপু আরও বলেন, আসলে এসব কথার ব্যাখ্যা দেওয়ার রুচি আমার নেই। কারণ প্রত্যেক মানুষেরই একটা ব্যক্তিত্ব থাকে। তো এ বিষয়ে কথা বলার আগে কিছু কথা সবার জানা দরকার। মূলত সেদিন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও শাকিবের সঙ্গে আমাদের ইফতারের আয়োজন ছিল। যেহেতু এবার রোজায় খান (শাকিব) ঢাকায় ছিলেন। তো সেভাবে আমাদের আয়োজন করা হয়। পরে ইফতারের পরে যতদূর মনে পড়ে-সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাবার খাবে বলে শাকিব তার অফিস থেকে ফোনকলে আমাকে জানায়। আমি এর ৩০-৪০ মিনিট পর যখন শাকিবের বাসা থেকে সেই খাবারটা নিয়ে অফিসের দিকে যাই, তখনই বুঝে ফেলি যে শেহজাদ হয়তো বাবার (শাকিব) কাছে এসেছে। কারণ দরজা খুলতেই দেখি বুবলীর মেকআপম্যান/কেয়ারটেকারকে যে সব সময় শেহজাদের টেককেয়ার করে। তো খাবারটা নিয়ে শাকিবের অফিসে যেয়েই দেখি শেহজাদের সাথে তিনিও (বুবলী) অফিসে এসেছেন। এ সময় আমার ও জয়ের সঙ্গে আমার ননদের মেয়েও ছিল। কিন্তু এটা বুবলী ভিন্নভাবে মিডিয়ায় উপস্থাপন করেছেন। সেখানে রুমে কোয়ালিটি টাইমের কথা কেন বলা হয়েছে তা আমি বুঝিনি। তিনি এসব বলে কি মিন করতে চাইছেন তাও জানি না।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অপু আরও বলেন, অফিস ফ্লোরের দরজা খুলে ভেতরে যেতেই আমি দেখি- শেহজাদ টিভিতে কার্টুন দেখছে আর বুবলী একটা চেয়ার বসে আছেন। আর শাকিব খান ঘুমিয়ে আছেন। তাদের সাথে ওই অফিসে তখন শাকিব খানের দু’জন ব্যক্তিগত সহকারীও উপস্থিত ছিলেন। এভাবেই বুবলী ও শেহজাদের সঙ্গে দেখা হয়।

‘এরপরও এটাকে কেন তিনি কোয়ালিটি টাইম বলেছেন জানি না। বিষয়টি হচ্ছে উনি এসব বলে নিজে ছোট হচ্ছেন, না অন্যকে ছোট করার চেষ্টা করছেন-আমি জানি না। উনি বারবার একই কথা বলছেন- আমরা একটা কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছি। শেহজাদের উপস্থিতিতে তার এই কোয়ালিটি টাইমের কথা সামনে আনার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। এসবই মিথ্যা। তিনি কিভাবে বলতে পারেন- শেহজাদ তাদের (শাকিব-বুবলী) স্পেস দেয়। কি অদ্ভূত! সেই ছোট্ট বাচ্চা কিভাবে বুঝে নেয়, তার বাবা-মা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে? আমি শুধু এটুকুই বলবো আল্লাহ যেন উনাকে হেদায়েত দান করেন। আমি খুবই লজ্জিত ও দুঃখিত যে-এই সময়ে এসেও এসব নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে বলেও যোগ করেন অপু বিশ্বাস।


শবনম বুবলী   শাকিব খান   অপু বিশ্বাস  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গুলির ঘটনায় সালমানের বাড়িতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) এই ঘটনার পরই মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাইয়ের অপরাধ দমন শাখা। মুম্বাই পুলিশের বিশেষ টিম গুজরাটে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত দুজনের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই যুবকই বিহারের চম্পারণের। দুজনই শ্যুটার হিসেবে কুখ্যাত। তাদের বিরুদ্ধে হার ছিনতাই, চুরির মতো একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরেই মঙ্গলবার বিকেলে সালমানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।

বলিউ ভাইজানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, গোটা ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি সালমানসহ তাঁর গোটা পরিবারকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই মর্মে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে।

এর আগে একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন সালমান খান। গত বছর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সালমান খান ১০টি গ্যাংয়ের টার্গেট তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর নামও। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তার পর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নজরে।

এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। বিষ্ণোই এর আগেও বলেছিল যে তার বন্ধু সম্পাত নেহরা সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির দিকে নজরদারি চালিয়েছে। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য সঠিক উপায় তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল সে। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সে-ও রয়েছে কারাগারে। 

২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি কানাডাভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়। গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা।

বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন, ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন।’

এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিল। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকের তালিকায়।


সালমান খান   বলিউড   ভারত   মুখ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারুকীর চোখে ‘মনোগামী’ বনাম ‘ব্যাচেলর’

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ওয়েবফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ স্ট্রিমিং শুরু হয় চাঁদরাতে। এতে মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান। ওয়েব ফিল্মটি চরকিতে মুক্তির পর থেকেই নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। বিশেষ করে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালিত সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তার ঠিক ২০ বছর পর ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘মনোগামী’। অনেক দর্শক মনোগামী দেখে ব্যাচেলর সিনেমার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এবারে সদ্যমুক্তি পাওয়া ওয়েবফিল্ম ‘মনোগামী’ নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা নিজেই। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে ‘মনোগামী’ ওয়েবফিল্ম নিয়ে লিখেছেন, ‘কোন সন্দেহ ছাড়াই ব্যাচেলরের এক ধরনের কম্প্যানিয়ন পিস বলা যায় মনোগামীকে। ব্যাচেলরে ঢাকার কিছু ব্যাচেলরের লাইফ দেখানোর চেষ্টা করেছি। আর মনোগামীতে ডিজায়ার আর গিল্ট ফিলিংয়ের মল্লযুদ্ধে ক্লান্ত এক মানুষকে ফলো করার চেষ্টা করছি। কাজটা করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। অ্যাকচুয়ালি, আমার শেষ কাজগুলো অনেকটা সিরিয়াস টোনের ছিল। ফলে যারা আমার হিউমার পছন্দ করত, তারা প্রায়ই আমাকে কমপ্লেইন করতো এটা নিয়ে। তাদের কমপ্লেইন বাদ দিলেও, আমি নিজেও আসলে এই হিউমার ডিল করাটাকে মিস করছিলাম।’ 

দর্শকের প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘মনোগামীর কারণ একটা বিশাল অডিয়েন্সকে ফিরে পেয়েছি। যারা সত্যিকার অর্থে পিপড়াবিদ্যা থেকে শুরু করে এর পরের কাজগুলোতে আমার ওপর অভিমান করেছিল যে, আমি কেন ওই হিউমারগুলা আর ডিল করছি না। সেই অডিয়েন্সরা ফিরে আসছে এবং তারা অনেকেই চিঠি লিখেছে। এটা জেনে আমি খুবই আনন্দিত। ব্যাচেলরের পরে যেরকম তর্ক-বিতর্ক হতো। এটির ক্ষেত্রেও সেটা হচ্ছে। এটি আসলেই খুব ভালো। মনোগামী নিয়ে মানুষের ভালো, মন্দ, প্রশংসা, সমালোচনা- সবকিছুই আমি সাদরে গ্রহণ করছি। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গতবছরের শেষে মুক্তি পায় ফারুকীর ওয়েবফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। এই ওয়েবফিল্মটির মধ্য দিয়ে প্রথমবার পর্দায় আসেন ফারুকী। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী   চঞ্চল চৌধুরী   জেফার রহমান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ছেলেকে নিয়ে শাকিবের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তে হয়তো উনিও এসেছেন: বুবলী

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবারের ঈদে একগুচ্ছ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘মায়া’ সিনেমা। সম্প্রতি ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন এ নায়িকা।

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান, তার প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস এবং নায়কের দুই ছেলে জয়-বরীকে নিয়ে কথা বলেছেন বুবলী। একইসঙ্গে চিত্রনায়কের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বুবলী জানান, শাকিব খানের সঙ্গে এখনো ডিভোর্স হয়নি তার। সময় নিচ্ছেন তারা। আর সাক্ষাৎকারে এমনটা জানানোর পরই খবর উঠে আসে অভিনেত্রীর এমন বক্তব্যে বিরক্ত শাকিব খান।

এবার অন্য একটি টেলিভিশনে হাজির হয়ে শাকিব খান-অপু বিশ্বাসকে নিয়ে কথা বললেন বুবলী। এসময় বুবলী বলেন, সন্তান বীর ও তার বাবাকে নিয়ে যখন রুমে সময় কাটাই, তখন সেখানে জয়কে নিয়ে হয়তো উনিও এসেছেন।

ভাইরালিজম প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘আসলে এটা প্রয়োজন নেই। অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখন কাজকে ফোকাস করছি, তখন দর্শকরা প্রশংসা করছেন সেটির। দর্শকরা ভালোবাসার জায়গা থেকেই বিভিন্ন সময় আমাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে জানতে চান। এটাও ঠিক আছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘দর্শকরা জানতে চান শেহজাদ কী করছে বা কী রকম সময় কাটছে ওর। ওই সময় হয়তো আমি কিছু ভিডিও ক্লিপস শেয়ার করছি। তবে সব কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকা প্রয়োজন। আবার আমাদের ভাষাগত দিক থেকেও সীমাবদ্ধ থাকা উচিত যে―আমরা একজন আরেকজন শিল্পীকে কীভাবে মূল্যায়ন করছি’।


শাকিব খান. বুবলী   অপু বিশ্বাষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন