নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৯
গাজীপুরের কালীগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড, কিছু দূর এগোলেই খঞ্জনা গ্রাম। গ্রামটির সরু মেঠো পথ ধরে হাঁটলে পাওয়া যায় খট খট শব্দ। যে দিকেই তাকাই না কেন, চোখে পড়ে প্রতিটা বাড়ির আঙিনায় নানান রঙের সুতা। বাঁশ টাঙিয়ে শুকানো হচ্ছে সেগুলো। প্রস্তুত করা হচ্ছে তোয়ালে বানানোর জন্য।
এ চিত্র শুধু খঞ্জনার নয়। আশেপাশের বড়নগর, উত্তরগাঁও, কুমারটেক, বালিগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামে তৈরি হচ্ছে তোয়ালে। এসব গ্রাম ‘তোয়ালের গ্রাম’ হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। এসব গ্রামের অর্ধ-শতাধিক মালিকের ৩ শতাধিক বিদ্যুৎচালিত পাওয়ার লুম রয়েছে। আর এই সকল পাওয়ার লুমে স্থানীয় এবং আশপাশের উপজেলার কয়েক হাজার শ্রমিক তোয়ালে বুননের কাজ করে থাকে।
মালিকপক্ষ বলছে- দক্ষ শ্রমিক আর বিদ্যুতের কারণে অত্যন্ত লাভজনক এ শিল্পটি অলাভজনক খাতে পরিণত হচ্ছে।
অন্যদিকে শ্রমিকরা বলছে- তোয়ালে শিল্পের মাধ্যমে মালিক লাভবান হলেও উপযুক্ত মজুরি এবং পাওয়ার লুমের পরিবেশ ভালো না থাকায় অনেকেই এ শিল্প ছেড়ে অন্যত্র কাজ করছে।
সভ্যতার ক্রমবিকাশে পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুরই। এরই সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতে বোনা তোয়ালে হারিয়ে ফেলছে তার পুরনো ঐতিহ্য। ফলে এ পেশায় যারা জড়িত তাদের জীবনে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। তবুও তারা স্বপ্ন দেখেন একদিন আবার কদর বাড়বে তোয়ালে শিল্পের, আবার ফিরে আসবে সেই সুখ-শান্তি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন