নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা ঘটতে যাচ্ছে। সেখানে সবাইকে মাতাতে আসছেন জি-বাংলা ‘সা রে গা মা পা’ কাঁপানো গোপালগঞ্জের মাঈনুল আহসান নোবেল।
প্রতি বছরের মতো এবারো ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় এক মঞ্চে বসছে দুই বাংলার মিলনমেলা। এবারে আয়োজন করছে দুই বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি। ঐদিন সকালে অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিনব্যাপি অনুষ্ঠান।
‘আমার প্রতিরোধ আমার সংগ্রাম আমার স্বাধীনতা আমার অধিকার আমার ৫২ আমার বর্ণমালা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপি থাকছে ভাষা শহীদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, পতাকা বিনিময়, দুই বাংলার বিশিষ্টজনদের মধ্যে ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছা, অতিথি আপ্যায়ন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন এমপি, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী, যশোরের জেলা প্রসাশক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঈনুল হক প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে প্রধান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন বনগাঁ লোকসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর, রাজ্যসভার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি শ্রীমতি বীনা মন্ডল, বনগাঁ পৌর মেয়র শংকর আঢ্য প্রমুখ।
আরও থাকবেন ভাষা সৈনিক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এস আর মাহবুব, আবৃত্তি শিল্পী শাহদত হোসেন নিপু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমি ও ভারতের বঁনগা ২১ পালন কমিটি দুই বাংলার যৌথ একুশ পালনের এই যাত্রা শুরু করে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।