নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ০১ জুন, ২০১৯
শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে নয়দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বেনাপোল শুল্কভবনের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন বলেন, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর রোববার ২ জুন শবে-কদর এবং ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটিতে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সব কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। মাঝে সোমবার ৩ জুন বন্দর খোলা থাকলেও ঈদের আগের দিন হওয়ায় কাজকর্ম তেমন একটা হবে না। আবার শুক্রবার ও শনিবার ৭ ও ৮ জুন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ে যাওয়ায় ওই দুইদিনও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। রোববার ৯ জুন থেকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আকরাম হোসেন জানান।
দীর্ঘ বন্ধের কারণে উভয় বন্দর এলাকায় তীব্র ‘ট্রাকজটের’ আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ছুটির এ কয়দিন কাস্টমস ও বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার জানিয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, লম্বা ছুটিতে বন্দর ও কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তা বাড়ি চলে যান। ফলে ৯ জুনের আগে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে না। তবে সরকারি ছুটি ছাড়া অন্যান্য দিন বন্দর ও কাস্টমসে কাজ হলে বন্দরে পণ্যজট কমবে বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে বলে পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং
এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী
জানিয়েছেন। বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে । যেগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে তিনশ থেকে চারশ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোলে ঢোকে। আবার বেনাপোল দিয়ে দুইশ থেকে তিনশ’ ট্রাক রপ্তানি পণ্য চালান যায় ভারতে। লম্বা ছুটির কারণে বন্দরে পণ্যজট তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় অফিস খুলে দ্রুত পণ্যচালান ডেলিভারি দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।