নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২৩ জুন, ২০১৯
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় চেয়ারে বসার অপরাধে এক মাদ্রাসাছাত্রের কব্জি কেটে দিয়েছেন শিক্ষক। আহত ছাত্রের নাম মো. সাব্বির হোসেন (১৪)। উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক, মো. ফোরকান হোসেন নৃশংস ত কাজটি করেছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রের মা তাসলিমা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে আহত শিক্ষার্থীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওই শিক্ষক।
সাব্বির হোসেন বলেছে, আমাদের মাদ্রাসার দরজা-জানালা না থাকায় ঘটনার দিন আমি দুই বন্ধুকে নিয়ে মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে চেয়ারে বসেছিলাম। এ সময় হুজুর এসে চেয়ারে বসার কারণে আমাদের গালমন্দ করেন। যখন আমরা মাদ্রাসা থেকে চলে যাচ্ছিলাম, হুজুর তখন আমাকে ধরে প্রথমে চড়থাপ্পড় মারেন। এর পর হুজুরের হাতে থাকা দা দিয়ে আমাকে কোপ দিতে গেলে আমি হাত দিয়ে তা থামাই। এ সময় আমার বামহাতের কব্জি কেটে যায়।
আহত সাব্বিরের মা তাসলিমা বেগম জানান, শিক্ষকের দায়ের কোপে আহত হওয়ার পর আমার ছেলেকে রাজাপুর হাসপাতালে না এনে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। ফলে ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। এ ঘটনার বিচার চাই। তবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কোথাও কোনো অভিযোগ করতে পারিনি। অভিযোগ করলে গ্রামে থাকাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
শিক্ষক ফোরকান হোসেন বলেছেন, আমি সাব্বিরকে কোপ দিইনি। ঘটনার দিন মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মাদ্রাসার পাশের একটি সবজি ক্ষেতে আমি কাজ করছিলাম।
তখন মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়ে গান-বাজনা করছিল সাব্বির ও তার বন্ধুরা। তখন আমি সেখানে গিয়ে সাব্বিরকে গালমন্দ করি ও চড়থাপ্পড় দিই। এ সময় আমার হাতে থাকা দায়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে সাব্বিরের হাত কেটে যায়। ওর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমি বহন করছি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।