ইনসাইড বাংলাদেশ

এ কেমন নিষ্ঠুরতা! লাশ নিল না স্বজনরা, শিক্ষকের দাফন ভিন গাঁয়ে 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ১২ জুন, ২০২০


Thumbnail

জ্বর ও শ্বাসকষ্টে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক কলেজ শিক্ষকের মৃত্যুর পর রাউজানে তার নিজ গ্রামে দাফন করতে নিয়ে যাওয়া হলে গ্রামবাসী তার লাশ দাফন করতে দেয়নি। এমনকি ওই শিক্ষকের স্বজনরাও তার লাশ গ্রহণ করেনি। পরে ওই শিক্ষকের লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কর্মস্থল রাঙ্গুনিয়ায়। সেখানেও লাশ দাফনের কোনো উপায় না দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় পরিবারটির সদস্যরা। খবর পেয়ে গভীর রাতে পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে ওই শিক্ষকের লাশ দাফন করা হল। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে ঘটলো এমন ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত আটটার দিকে রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম (৫৯) শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। তিনি ওই কলেজের কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তার বাড়ি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় হলেও তিনি কর্মসূত্রে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এরপরও ৯ জুন তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন এখনও আসেনি।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় নিজ উপজেলা রাউজানের নোয়াপাড়ায়। কিন্তু সেখানে তার স্বজনদের কেউই সেই লাশ গ্রহণ করেনি। এমনকি প্রতিবেশীরাও এ সময় খারাপ আচরণ করেন। লাশ দাফনে এমন অভাবনীয় বাধা পেয়ে ওই শিক্ষকের পরিবার লাশ নিয়েই আবার রাঙ্গুনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর রাত একটার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে ফেরত আসে। সেখানেই ওই শিক্ষক ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু সেখানেও লাশ দাফনে বাধা পায়। কোনো উপায় না দেখে পাগলা মামার মাজার এলাকায় লাশ নিয়ে অসহায় পরিবারটির সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির সদস্যরা এগিয়ে আসে। এলাকার উদ্যমী তরুণদের সঙ্গে নিয়েই খোঁড়া হয় কবর। সব রীতি মেনেই তাকে দাফন করা হয়।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আবারো ৩ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পবা উপজেলার চর শ্যামপুর পানি শোধনাগার সংলগ্ন পদ্মা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলো, রেন্টুর ছেলে যুবরাজ, নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান এবং লিটনের ছেলে আরিফ। তারা সবাই কাটাখালী পৌরসভার বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মৃতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও যুবরাজ, নুরুজ্জামন ও আরিফ পানির নিচে তলিয়ে যায়। অন্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, ৩ জন নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা সবাই শিশু। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।


পদ্মা নদী   পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বানারীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত দিনমজুরের বসতঘর

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বরিশালের বানারীপাড়ায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে দিনমজুর ইকবাল হোসেনের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অগ্নিকান্ডে ইকবাল হোসেন নামের এক দিনমজুরের বসতঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু হারিয়ে দরিদ্র এ পরিবারটি নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েছে।

 

ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ইকবাল হোসেনের তালাবদ্ধ বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তারা সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ায় ওই রাতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।

 

এদিকে আগুনে নিঃস্ব দরিদ্র পরিবারটির পাশে কেউ না থাকায় স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিয়ে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর ইকবাল হোসেন।


এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগুন আমাদের সবকিছু কেড়ে নিল, এখন বাচ্চাদের কোন জামাকাপড় নাই, ঘুমানোর কোন জায়গা নেই, কোন খাবারও নেই, কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমরা গরীব মানুষ আল্লাহ তারপরও আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। কিভাবে আবার একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করবো ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা।’

 

তাই তিনটি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা কামনা করে তারা।


অগ্নিকান্ড   নিঃস্ব ও রিক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এদিকে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় ডিবিতে কর্মরত ছিলেন।

 

শনিবার (২০ এপ্রিল) তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়৷ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তিনি হিটস্ট্রোক করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেন।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, তিনি শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়।


হিট স্ট্রোক   পুলিশ সদস্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন। থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা এই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে বলে জানান ইসি সচিব।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।

এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন। 


বান্দরবান   উপজেলা   ভোট   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন