নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০২১
নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলামকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম। লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে নিজের ইচ্ছেমতো সম্মেলন করার অভিযোগে এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১ মার্চ) শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই সতর্কবার্তা বুধবার (৩ মার্চ) পাঠানো হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পৃথক চিঠি পাঠান।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র না মেনে নিজের ইচ্ছেমতো লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করছেন। তিনি এসব সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ইচ্ছেমতো কমিটি ঘোষণা করছেন। গঠনতন্ত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগকে ইউনিয়ন এবং ইউনিয়নকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু সাংসদ শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কিছু না বলে একের পর এক সম্মেলনের নামে নতুন কমিটি ঘোষণা করছেন। এতে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটছে। এমনকি সম্মেলনস্থলে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম এই অভিযোগ যাচাই করেন। ঘটনার সত্যতা পেলে তিনি সাংসদ শহিদুলকে লিখিতভাবে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ১ মার্চ নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলামকে লেখা সতর্ক বার্তায় সাক্ষর করেন।
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চীন চীনা রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।