নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ২২ মার্চ, ২০২১
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনে সমাবেশ করছে না বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিলেও হঠাৎ তা থেকে সরে আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিএনপি সমাবেশ থেকে পিছু হটলেও ওই দিন সকাল ৬টা থেকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনে চান্দগাঁও থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) ‘মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সমাবেশ’ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একই স্থানে আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
একই স্থানে একাধিক সংগঠনের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হলেও গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে নগর পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তবে বিএনপি এবং চান্দগাঁও থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতারা জানান, তাঁরা কর্মসূচি পালনের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) অনুমতি চেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি ২৭ মার্চ বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এবং চান্দগাঁও থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড থেকে ২৭ মার্চ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির যেখানে সমাবেশ করার কথা, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স (পার্ক) কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নেওয়ায় সেখানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দিতে প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনে সমাবেশের জন্য বিএনপি অনুমতি চেয়েছে কি না জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘২৭ মার্চ কর্মসূচি পালনের জন্য কেউ অনুমতি চায়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে সমাবেশ হবে না। সমাবেশ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বেতার কেন্দ্রে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এর জন্য আমরা গত সপ্তাহে প্রস্তুতিসভা করেছি।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।