নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১
হেফাজতের তাণ্ডবের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করার অপরাধে হাতকড়া পড়িয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করা হয়। আর এই ঘটনায় ধর্মপাশা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে সুরামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগেও এই ঘটনায় দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়।
জানা গেছে, ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সম্পাদক ও এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল খানকে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে লাঞ্ছিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের গোষ্ঠীর চাচা আবুল হাসেম আলমের ছেলে আল মোজাহিদ তার সমর্থকদের নিয়ে আফজল খানকে লাঞ্ছিত করে। গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। এসময় পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রলীগ নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমা চাওয়ায়। এসময় ওই ছাত্রের বাবাকেও তারা লাঞ্ছিত করে।
এই খবর পেয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করে। বিকেলে আওয়ামী লীগ থেকে আবুল হাসেম আলমকে বহিষ্কার করার পর তাকে আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যায় থানার ওসি দিলোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।