ইনসাইড বাংলাদেশ

আমি এখন থেকে কাউকেই পরোয়া করি না: কাদের মির্জা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি এখন থেকে কাউকেই পরোয়া করি না। যারা মওদুদ আহমেদের শোকসভায় বাধা দিয়ে তাদের জানাজায় এক হাজার লোকও হবে না।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বাজার পরিদর্শন শেষে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘আই আর কেয়ারে ভয় করিনা। আই এসব নেতা-পেতা এমপি-মন্ত্রী মানিনা। এমপি নীতির ভেতর থাকলে তার পূজা করুম, মন্ত্রী নীতির ভেতর থাকলে হাতের পূজা করুম।’

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘মওদুদ সাহেবের প্রোগ্রাম করেছি। তাতে একটি পক্ষ বাধা দিয়েছে। যারা বাধা দিয়েছে জানাজায় এক হাজার মানুষও অইতো নয়।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূস কেন ইসরায়েলের পক্ষে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে। 

শুধু গাজায় হামলা নয়, এখন তারা লেবাননেও আক্রমণ করছে। এই যখন অবস্থা তখন ইসরায়েলের বন্ধুর সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। শুধু কমছে না, ইসরায়েল বিশ্বে রীতিমতো বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে। কিন্তু বন্ধুহীন হলে হবে কী? ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বরা এখনও ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন এবং ইসরায়েল তাকে বন্ধু হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিচ্ছে। 

সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনবী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে একটি সম্মাননা স্মারক দেন ইসরায়েলি ভাস্কর হেদভা সার। ইসরায়েলি ভাস্কর হেদভা সার যে ভাস্কর্যটি উপহার দেন, তার ছিল ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের প্রতি ভালোবাসার স্মারক। যদিও ড. ইউনূস এটি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছিলেন। ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ নামে একটি পুরস্কার দিয়েছে এবং ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছিল। 

কিন্তু গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান যে, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পদাধিকার বলে তিনি ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর বিএনসিইউ এর চেয়ারম্যান এবং ইউনেস্কো এই ধরনের কোন পদক ড. ইউনূসকে প্রদান করেনি। ড. ইউনূসকে ইউনেস্কোর ট্রি অব পিস তো তো দূরের কথা, কোন রকম সম্মাননাও জানাননি। আসল ব্যাপার হল ইসরায়েলি হেদভা সার তাকে একটি ভাস্কর্য উপহার দিয়েছে, যে ভাস্কর্যটির নাম হল ট্রি অব পিস। 

এখন প্রশ্ন দাঁড়াল যে, মধ্য প্রাচ্যে যখন চরম বিভীষিকা, যখন ইসরায়েলের পৈশাচিকতা, বর্বরতা মানবতাকে লজ্জিত করেছে, যখন মানুষকে মারা হচ্ছে নির্বিচারে ঠিক সেই সময়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে কেন ট্রি অব পিস পুরস্কার দেওয়া হল? ইসরায়েলের ভাস্কর হেদভা সার কেন ইউনূসকে শান্তির দূত বললেন। কারণ তিনি ইসরায়েলের পক্ষে। 

আমরা যদি লক্ষ্য করে দেখি মধ্যপ্রাচ্যের এই গাজা ইস্যুতে ড. ইউনূসের ভূমিকা রহস্যময়। তিনি গাজার নিপীড়িত মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়াননি, তাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াননি। এমনকি এই গণহত্যার নিন্দা জানানোর কোন আহ্বান জানাননি। তাহলে ড. ইউনূস কি ইসরায়েলের পক্ষের ব্যক্তি? ইসরায়েলের গণহত্যাকে কি তিনি সমর্থন করেন? এজন্যই তিনি ইসরায়েলের ভাস্কর তাকে এ পুরস্কার দিলো? ড. ইউনূসকে এই পুরস্তার নিয়ে প্রতারণা এবং এর আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার করতে হবে। কারণ ইসরায়েল তাকে যে পুরস্কার দিয়েছে সেটি আড়াল করার জন্যই তিনি ইউনেস্কোর মতো একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে যে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন সেটি কি নিছক অবজ্ঞা নাকি ইচ্ছাকৃত প্রতারণা?

ড. ইউনূস   ইসরায়েল   গাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেও তীব্র যানজট

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। একদিকে ইফতারের আগে চাকরিজীবীদের ঘরে ফেরার তাড়া, অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া মানুষের চাপ। সব মিলে অফিস শেষে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে রাজধানীবাসীর। অফিস শুরু ও শেষের সময় অবধারিতভাবেই পুরো রাজধানীজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। সপ্তাহের শুরু ও শেষ কর্মদিবসে তা কয়েকগুণ তীব্র রূপ ধারণ করে। সাধারণত বিকালের যানজট শুরু হতো ৫টার পর থেকে। কিন্তু রমজানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করায় এখন বিকাল ৩টা থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটের এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, আড়ং, ধানমন্ডি ২৭, ধানমন্ডি ৩২, কলাবাগান, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, শান্তিনগর, কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড়, গুলিস্তান, ওয়ারি, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কুড়িল, নতুনবাজার, বাড্ডা, প্রগতি সরণি, রামপুরা, মিন্টুরোড, গুলশান-১, গুলশান-২ এলাকার সড়কগুলোতে তীব্র যানজট রয়েছে। একেকটি সিগন্যাল পার হতে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকি যানজট সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বৃষ্টি আর কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের বাড়তি চাপের কারণে কিছুটা যানজট তৈরি হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সড়কে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা।

শেষ কর্মদিবস   তীব্র যানজট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের পর সমাধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে এক মাসের জন্য আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন বেতন-ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এই চিকিৎসকরা হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখে। তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চিকিৎসকদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হবে। ওরা কাজে যোগদান করুক। কিছুদিন সময় লাগবে। ঈদের পর হয়তো বলতে পারবো কতদিনের মধ্যে বেতন বাড়বে।

এর আগে গত শনিবার (২৩ মার্চ) চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যৌথ ৪টি দাবি হলো :-

১. ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।

২. পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে।

৩. ১২টি প্রাইভেট ইন্সটিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে।

৪. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী   ইন্টার্ন চিকিৎসক   ডা. সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায়  প্রধান অতিথি  হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমুল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে। 



মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, জলজসম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। তিনি জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। 

সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীন জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন। 

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের পুরস্কার বিতর্কে যা বললেন আইনজীবী

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ড. ইউনূস দেশে ফিরলে, আসল কাহিনী জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অপমান ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যিনি নিজেই সমুদ্র তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূস যে বাকু সম্মেলনে গিয়েছিলেন সেখানে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। নয় দেশের সাবেক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিলিতভাবে তাকে এ অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখন ইউনূস সেন্টার থেকে কোনো কর্মচারী এই পুরস্কার নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। ড. ইউনূস তো সেখান থেকে এটা প্রকাশ করেননি। তিনি দেশে আসলেই এ বিষয়ে জানা যাবে। 

তিনি বলেন, পুরস্কারের বিষয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এটাকে প্রতারণার নাম দেয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই।

এর আগে গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টেও তার এই পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে এ খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


ড. ইউনূস   পুরস্কার বিতর্ক   দ্য ট্রি অব পিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন