নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২১
লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বোপন ও জৈব ও সুষম সারের ব্যবহারের ফলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এ জেলায়। এখন চারদিকে চলছে ফসল কাটার ধুম। মাঠের ধান গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
এদিকে করোনা মহামারির কারণে ধান কাটা শ্রমিক নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ার কথাও জানালেন কেউ কেউ। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে ভালোভাবেই ধান কেটে গোলায় তুলতে পারবেন বলে জানালেন কৃষকেরা। এদিকে ফলন ভালো হলেও ধানের ন্যায্য দাম পেতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারীভাবে ধান ক্রয়ের দাবি কৃষকদের।
লক্ষ্মীপুরের বিস্তৃর্ণ সোনালী ধান ক্ষেতই বলে দেয় এবার বাম্পার ফলনের কথা। এখন মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বোপন ও জৈব ও ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের ফলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এ জেলায়। এতে খুশি কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে এবার জেলায় ৩০ হাজার ৫শ’হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গেল বছর ধানের বাজার দর বাড়তি পাওয়ায় এবার আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ৭শ’ ৮৩ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী জাতের ২১ হাজার ২৭০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ১৪ হাজার ৫১৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন। আর ফলন ভালো হওয়ায় এবার দুই লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা।
কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ বোপন, পাচিং পদ্ধতি অবলম্বন ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম থাকাসহ এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দরও গতবারের চেয়ে ভালো। তবে সরকারীভাবে সরাসরি তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় হলে তারা লাভবান হবেন বলেন জানান কৃষকেরা।
সদর উপজেলার মজুচৌধুরীহাট এলাকার কৃষক কামরুল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে এবার তিন একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছেন তিনি। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে এবার লাভবান হবেন তিনি।
কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন এলাকার কৃষক সানু মিয়া জানান, এবার বৃষ্টিপাত না হওয়া ও তীব্র গরমে ফসলের মাঠ নিয়ে প্রথমে কিছুটা দুঃশ্চিন্তা থাকলেও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তিনি। তবে করোনা মহামারির কারণে ধান কাটা শ্রমিক নিয়ে বিড়ম্বনা পড়ার কথাও জানান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে ভালোভাবেই ধান কেটে গোলায় তুলতে পারবেন বলে জানালেন এই কৃষক।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন খাঁন জানালেন, কৃষকদের মাঝে সরকারীভাবে বীজ সহায়তা প্রদান, সময়মতো বীজ বোপন, পাচিং পদ্ধতি অবলম্বন ও জৈব ও সুষম সারের ব্যবহারের ফলে এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সরকারীভাবে বীজ সহায়তা প্রদান ও কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় এবার কৃষকদের সহায়তা করায় ধান চাষাবাদের আওতা বাড়ার কথা জানান কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
তবে, ধানের ন্যায্য মূল্য পেতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।