নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ১১ জুন, ২০২১
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার মেহেরাজ খান ঘাটা এলাকায় কাজী মো. সালাহউদ্দীন নামের পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাদকবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১১ জুন) ভোর চারটার দিকে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সালাউদ্দিন চাঁদগাও থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার দক্ষিণ জয়পুর এলাকার কাজী নাদের জামানের ছেলে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুরপাড় থেকে সিঅ্যান্ডবি ও আশপাশ এলাকায় রাত্রিকালীন ডিউটিতে ছিলেন সালাউদ্দিন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন, একটি কালো মাইক্রোবাসে করে (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৩৬৬৫) পার্বত্য এলাকা থেকে চোলাই মদ চট্টগ্রাম শহরে নেওয়া হচ্ছে। সালাউদ্দিন ও চালক কনস্টেবল মো. মাসুম চান্দগাঁও থানাধীন মেহেরাজ খান ঘাটা পেট্রল পাম্পের সামনে ওই গাড়িটিকে থামার জন্য সংকেত দেন। চালক থামানোর মতো করে গাড়ির গতি কমিয়ে আনলে ওই দুই পুলিশ সদস্য গাড়ির সামনে যান। কিন্তু গাড়ির চালক আবারও গতি বাড়িয়ে দেন। এতে সালাউদ্দীন ধাক্কা খেয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায়, কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। মাসুমও আঘাত পান।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান সালাউদ্দিন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাসুম। গাড়িটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এর চালক ও তাঁর সঙ্গীরা পালিয়েছেন। গাড়িটি থেকে ৭৩০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চীন চীনা রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।