নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৪ জুন, ২০২১
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় দু’জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে। পোষ্য কোটা না মেনে টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বঞ্চিতরা অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন দু’জন নিয়োগ প্রার্থী।
এরা হলেন- চৌহালীর খাষ কাউলিয়া মধ্য জোতপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও ঘোরজান ইউনিয়নের দক্ষিণ তেঘড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ। অভিযোগকারীরা উভয়ে চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া গ্রাম পুলিশের সন্তান।
লিখিত অভিযোগে মোহাম্মদ আলী জানান, তার বাবা হারুন-অর-রশিদ খাষ কাউলিয়া ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশের চাকরি করতেন। ২০২০ সালে চাকরি করা অবস্থাতেই মারা যান তিনি। বাবার মৃত্যুর পর টানা এক বছর বিনা বেতনে চাকরি করেছেন তিনি। এ অবস্থায় গ্রাম পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে আবেদন করেন তিনি। বুধবার (২৩ জুন) তিনি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ইউএনও অফিসে মাস্টাররোলে কাজ করা আব্দুর রহিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আব্দুর রহিম আড়াই লাখ টাকা দিয়ে গ্রাম পুলিশের চাকরি পেয়েছেন। আমার কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিতে পারিনি। এ জন্যই আমার চাকরি হয়নি।
অপর একটি অভিযোগে দক্ষিণ তেঘরি গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান, ঘোড়জান ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় গত বছর মারা যান তার বাবা আব্দুস সালাম। এরপর ওই পদে চেয়ারম্যান রমজান আলী তাকেই নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য তাকে দেড় লাখ টাকাও দিয়েছিলেন আব্দুল মজিদ। এ পদে তিনি ও তার স্ত্রী দু’জনেই আবেদন করেন। কিন্তু বুধবার (২৩ জুন) পরীক্ষা শেষে তাদের কাউকে নিয়োগ না দিয়ে নাসির উদ্দিন নামে অন্য এক জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আব্দুল মজিদ বলেন, প্রার্থী নাসির উদ্দিনের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে এই নিয়োগ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী।
এ বিষয়ে জানতে খাষ কাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান শহিদ এবং ঘোড়জান ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলীকে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা ইয়াসমিন বলেন, আবেদনকারীদের শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা নেওয়ার পর রেজাল্টের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানরা কারও কাছে টাকা নিয়েছেন কি-না তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।