নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২১
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ৬৫ দিন পর সাগরে নেমেছেন ভোলার উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিনগত রাত থেকে কেউ আবার শনিবার (২৪ জুলাই) ভোর থেকে জাল, ফিশিং বোট এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সাগরে নেমে পড়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে জেলার শতাধিক মাছঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে রওনা দেন জেলেরা।
এদিকে, মাছ ধরাকে কেন্দ্রে করেই ফের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে মাছের আড়তগুলোতে। অন্যদিকে, বরফকলগুলোও সচল হয়ে উঠছে। সাগরে ইলিশ মাছ শিকার করে বিগত ২ মাসের ধার-দেনা পরিশোধের পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলেও আশাবাদী জেলেরা। পরিবার-পরিজন নিয়েও ভালোভাবে দিন কাটাবেন স্বপ্ন তাদের চোখ-মুখে।
লালমোহন উপজেলার বাতির খাল মৎস্য ঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘাট থেকে সারি সারি ফিশিং বোট গভীর সাগরে নেমেছে। একেকটি বোটে গড়ে ১৫ থেকে ২০ বা তার বেশি জেলে। জাল, খাদ্যসামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ নিয়ে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য সাগরে যাত্রা করেছেন তারা। বিকেলেও বোটে করে সাগরে যাবেন অনেকে। অনেকে আবার বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে সাগরে যাবেন।
লালমোহনের বাতির খাল এলাকার জেলে ওসমান মাঝি বলেন, গত দুই মাস সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। ফলে কেউ মাছ শিকারে যেতে পারিনি। ধার-দেনা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ, তাই সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের ফিশিং বোটে ১৮ জন জেলে রয়েছেন। আগামী দু’দিনের মধ্যে আমরা সাগরে যাবো। তাই মাছ শিকারে যেতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
সূত্র জানায়, সাগরে মাছ ধরেন জেলায় এমন নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। এদের মধ্যে সদরে ৩ হাজার ৬৯৮ জন, বোরহানউদ্দিনে ৭ হাজার ৬৫০ জন, দৌলতখানে ১১ হাজার ৫৫০ জন, লালমোজনে ৮ হাজার ৮০৪ জন, তজুমদ্দিনে ৪ হাজার ৫০৬ জন, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭ হাজার ৫৬১ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১০ হাজার ১৮৫ জন। এর বাইরেও অনেক জেলে রয়েছে তারাও মাছ শিকার যাবার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জেলে ও মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি এরশাদ মাঝি বলেন, সাগরে মাছ ধরা শুরুর প্রথমদিনে জেলার ৮০ ভাগ জেলে মাছ শিকারে গেছেন। তারা এদিন জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, এখন অপেক্ষার অবসান হলো। নদীতে ইলিশ পড়া শুরু হয়েছে, আশা রাখছি সাগরেও ঝাঁকে ঝাঁকে মিলবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।