নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১
নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলায় ২৫০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ বুধবার উপজেলার কুজাইল বাজার মাঠে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা।
খাদ্যসামগ্রী পেয়ে রহিম মিয়া নামের এক উপকারভোগী বলেন, আমি পঙ্গু। এই পাও নিয়ে কোনো কাম করা পাই না। কষ্টে কনোমতে দিন যায়। সরকার নাকি সাহায্য করে সেই সাহায্যও পাই না। ভাতার ট্যাকা দিয়া খরচ চালাই। তোমরা হামাঘরের জন্যে যা করলিন তা ভুলবার পারমু না। সবার ভালো হোক।
জিন্না খাতুন নামের এক উপকারভোগী বলেন, তোমাঘের বসুন্ধরা গ্রুপ মোকে সাহায্য দিল। এলা দিয়া মোর মেয়েক নিয়ে অনেক দিন খাবার পারমু। আমার খুব উপকার হইলো বা। দোয়া থুই, মোক আরো দিবার পারবি তোরা।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে নওগাঁ ৬ আসনের (আত্রাই রাণীনগর) সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই সারাদেশে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমাদের জেলায়ও তারা তিন হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। এর জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই তাদের। আমরা চাই তাদের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আপনারা সতর্ক থাকবেন। কেউ অযথা ঘর থেকে বের হবেন না। সবাই করোনার টিকা নিবেন। আত্মীয়-স্বজনের নিতে উৎসাহিত করবেন।
রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রী সুশান্ত কুমার মাহতো, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি বাবুল আখতার রানা, শুভসংঘ রাণীনগর শাখার সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাকারিয়া সরল, পিন্টু খন্দকার, এনামুল হক, সাজুল, এরশাদ, কুদ্দুস, শাহিনুর, মিজানুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দু`পায়ের একটি নেই দোলে বেগমের। চলাফেরা করেন লাঠিতে ভর দিয়ে। স্বামী বেঁচে নেই। হয়নি কোনো ছেলে সন্তান। তাই এক মেয়েকেই নিয়েই অন্যের ভিটায় মাথার ঠাঁই গুঁজেছেন। সঙ্গে মেয়ের জামাইও থাকেন। রিকশা চালিয়ে সামান্য উপার্জন তার। কোনভাবে দুই বেলা খেয়ে বেঁচে আছেন। আজ চন্ডিপুর মাদরাসা মাঠে এসেছেন শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী নিতে। শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে বস্তা আঁকড়ে ধরে কেঁদে দিলেন দোলে বেগম। বলেন, কি কমু বা দুঃখের কথা। মেয়েত জামাই দিন আনে দিন খায় তা দিয়াই মোক কষ্টত চলে যায়। তোমাঘর খাবার পানু, দোয়া করি। আল্লা আরো দিবার তৌফিক থুক।
আব্দুল লতিফ বলেন, মুই আগে ডেকোরেটর দোকানত কাম করতাম। এলা করোনায় দোকান বন্ধ। কাম করবা পারি না৷ খাওয়া কষ্ট হয়। এলা চাল-ডাল দিয়া ১০ দিন খায়ে থাকপা পারুম৷ তোমাঘরক আল্লা সুস্থ থুক।
শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমেনা বেগম নামের এক উপকারভোগী বলেন, মোর স্বামী মারা গেছে। বেটা আর বেটার বউ ভিনো খায়। মোর এটা ১৪ বছরের বেটি আচে। ওর বিয়া দিচু নতুন। মানুষের বাইত কাম করে দিন চলে। নতুন বেটির বাইত অনেক কিচু দিবা হয় কিন্তু মুই নিজেই একন খাওয়া পাচোনা বেটিক কি দিমু? করোনা না হলে তাও মানসের বাইত কাম কিরে দিন চলত। একন তো খাওয়ার কষ্ট। তোমরা আজকা এলা না দিলে আজকাও না খায়ে থাকপা হলোহিনি। তোমরা যারা ত্রান দেচিন হামাঘরক আল্লা বেকের ভালো থুক।
আজ বুধবার নওগাঁ জেলার সদর উপজেলায় তাদের মতো ৫০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সকলের মাঝে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা দেওয়া হয়।
নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩০০ ও চন্ডিপুর বোর্ড মাদরাসা মাঠে ২০০ পরিবারকে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলম কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হারুণ-অর-রশীদ বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের এমন একটি উদ্যোগের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জেলার অসংখ্য অতিদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিবে তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানাই। করোনা মোকাবেলায় আগামী ৭ তারিখ থেকে আপনাদের মাঝে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। আপনারা সবাই টিকা গ্রহণ করবেন। এছাড়া সবাই সঠিকভাবে মাস্ক পরে থাকবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
চন্ডিপুর বোর্ড মাদরাসা মাঠে উপস্থিত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে এখন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কিছুদিন নিশ্চিতে খেতে পারবে তারা। আমি বসুন্ধরা গ্রুপ এবং শুভসংঘের সবার মঙ্গল কামনা করি। আগামীতেও আপনাদের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা করি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুল, কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. মামুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি বাবুল আক্তার রানা, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, নওগাঁ জেলার সভাপতি এড. বুলবুল আহমেদ, আতিক শাহরিয়ার, মুমিনুল ইসলাম, শাকিল হোসেন ও উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ সেচ্ছাসেবী নিয়ন, নিশান, রূপক, সেতু, জয়, রায়হান, সাব্বির, মুন্না, সজল, রবিউল, রাজকুমার।
বগুড়া জেলার আত্রাই উপজেলয় ২৫০ অতিদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। তাদের মাঝে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলার কাশিয়াবাড়ী বাজার মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।
হুইল চেয়ারে বসা মহি আক্তার। বয়স ষোলোর ঘরে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কথা বলে মনের ভাবও প্রকাশ করতে পারে না। বাবা কৃষক। মহি ছোট বেলা থেকে বেড়ে ওঠেছে নানার কাছে। কাশিয়াবাড়ী বাজার মাঠে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে এসেছেন নানা। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তার কাছে। মহি কথা বলতে না পারলেও খাদ্য সহায়তা পেয়ে আনন্দিত হয়েছেন নানা। তিনি বলেন, ‘তোমাঘরক অনেক ধন্যবাদ হামাক ত্রাণ দেওয়ার জন্য। দোয়া করি দুধেভাতে থাকো। আল্লা ভালো করবে।’
মোসলেম মিয়া নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘হামি ভ্যান চালাই। দিন আনি দিন খাই। কিন্তু লকডাউনের তঙ্কে ভ্যান চালাও বন্ধ। এখন ঘরত বসে আচি কিন্তু পেটতো আর কেচুই মানেনা। প্রতিদিন খাবা তো হবে। হামরা দিন আনে দিন খাওয়া মানুসেরা বিপদে পড়ে গেচি। তোমরা হামাঘরের বিপদের দিনত পাশে দাঁড়াইচিন। তোমাঘরের ভালো হক।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানবাক্স বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘ আমাদের উপজেলাসহ সারা দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই দোয়া করি তাদের যেন আল্লাহ মঙ্গল করে। করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখেন। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো দেশের সকল বড় প্রতিষ্ঠান অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে লকডাউনে দেশের সকল অসহায় মানুষ ঘরে বসে খেতে পারতো। আমাদের করোনা মোকাবেলা করতে সহজ হত। তাই আমি সবাইকে বসুন্ধরা গ্রুপের মতো মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানাই।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন- কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, আত্রাই উপজেলা শাখার সভাপতি মুজাহিদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি বাবুল আখতার রানা, শুভসংঘ রাণীনগর শাখার সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলামসহ সেচ্ছাসেবী আব্দুস সাত্তার, আব্দুল খালেদ, সাদ্দাম, মনোয়ার হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১ম ধাপের ৮ মে এর নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জের জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্ধ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
বেলকুচি উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুদ্বীপ কুমার রায় জানান, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্ধকৃত প্রতীকের মধ্যে রয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম (দোয়াত-কলম), বদিউজ্জামান ফকির (মোটর সাইকেল), মীর সেরাজুল (আনারস)।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইউসুফ আলী শেখ (উড়োজাহাজ), এস এম ফারুক সরকার (টিয়া পাখি), আব্দুল আলীম (মাইক) এবং উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না বেগম (ফুটবল), রাজিয়া সুলতানা মিলন (প্রজাপতি)।
উপজেলা নির্বাচন প্রতীক বরাদ্দ চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেপি দেওয়ান, সম্রাট খিসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইসলাম।
এসময় বক্তারা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সব নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত অবহিতকরণ সভা
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই)। মাত্র ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে বন্ধুদের কাছে মামাতো বোন সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেন ফুফাতো ভাই ছাব্বির। পরে বন্ধুদের সাথে নিজেও ধর্ষণ করে হত্যা করে মামাতো বোনকে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিশু সুবর্ণাকে (৭) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য সাত বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি শিশুর ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।'
সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেনকে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সে সহ সবাই মিলে দলবেধে ধর্ষণ করে শিশুটিকে।
এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং পরনের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।
পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, শিশু সুবর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।
পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেনকে (২০) ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রপ্তার করা হয়। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, ফুফাতো ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে মামাতো বোন শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। এছাড়াও ফুফাতো ভাই ছাব্বির অন্যান্যদের সাথে সে নিজেও তার মামাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'
শিশু ধর্ষণ রহস্য উন্মোচন ৭ বছর
মন্তব্য করুন
কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিলে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিমুল হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শেষে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিগুলো হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়া শ্রমশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনা উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
কাতার বাংলাদেশ ৫ চুক্তি ৫ সমঝোতা স্মারক সই
মন্তব্য করুন