নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
আসছে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কক্সবাজার চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র পার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছেন। সরকার দলের নৌকা প্রতীকের পার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী তার এক কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের জিয়াবুল হকের বিরুদ্ধে। তবে মেয়রের এ অভিযোগ একেবারেই সত্য নয় বলে দাবি করেন জিয়াবুল হক। পাশাপাশি ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে নির্বাচনী সহিংসতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
গতকাল সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজ কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ এনে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন নৌকার প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল প্রমূখ। এ সময় দলের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুলকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরণের উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
এ সময় তারা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং আলমগীর চৌধুরীর কর্মী ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সবুজের ওপর হামলায় জড়িত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুলসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করতে হবে। তা না হলে এর দায়ভার প্রশাসনের ওপর বর্তাবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুলকে সন্ত্রাসী হিসেবেও উল্লেখ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
সম্মেলন শেষে দলের এবং নিজের কর্মী-সমর্থক নারী-পুরুষকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নৌকার প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী। এ সময় লাঠিসোটা ও ঝাঁড়ু শোভা পাচ্ছিল তাদের হাতে। মিছিল থেকে জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও সন্ত্রাসীদের আস্তানাসহ নানা ধরণের শ্লোগান শোনা যায়। এ সময় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার কমিউনিটি সেন্টার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশও করা হয়।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হক সরকার দলের প্রার্থীর করা অভিযোগ মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
জিয়াবুল হক তার ফেসবুক পেইজে এই সংক্রান্তে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন থেকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে নারীদের উত্ত্যক্ত করছিল সবুজ নামের বহিরাগত এক ইভটিজার। এ কারণে সে গণপিটুনির শিকার হয়। ইতোপূর্বেও নারী সংঘটিত এমন ঘটনায় এলাকাবাসী তাকে পিটুনি দেয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা একেবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে। আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে প্রতিপক্ষ সরকার দলের প্রার্থী ও তাঁর লোকজনের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তাই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে নির্বাচনী ফায়দা হাসিলের জন্য ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে নির্বাচনী সহিংসতায় রূপ দিতে নাটক শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের চাওয়া হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন। সম্প্রতি নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায়ও প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জোর দিয়ে বলেছেন এবং সেই নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করলেও সরকার দলের প্রার্থী চাচ্ছেন যেনতেনভাবে নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে। এমন কিছু করার চেষ্টা হলে আমার কর্মী-সমর্থকেরা ঘরে বসে থাকবে না। এর কঠোরতম জবাব দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এর পরও কোনপক্ষ যাতে সহিংসতায় না জড়ায় সেজন্য পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এর পরও কেউ শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশী টহল ব্যবস্থা জোরদার করাসহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় জেলায় তিনজনের মৃত্যু
হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) তাদের মৃত্যু হয়।
পাবনা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, পাবনায়
তীব্র গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের
শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত
হয়ে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দর্শনা থানার সীমান্তসংলগ্ন ঠাকুরপুর
গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার
দামুড়হুদায় হিটস্ট্রোকে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এই দাবদাহে জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে সপ্তাহজুড়ে।
মন্তব্য করুন
চলমান তীব্র দাবদাহের ফলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় হিট স্ট্রোকে
একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম জাকির হোসেন। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে
মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
নিহত জাকির দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর
গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন।
নিহতের বাবা আমির হোসেন জানান, ‘রোদ গরমে মাঠের ধান মরার অবস্থা।
ধানের জমিতে সেচ (পানি) দেয়ার জন্য জাকির সকাল ৭ টার দিকে মাঠে যায়। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক
পর খবর পাই সে মাঠে স্ট্রোক করেছে। মাঠে থাকা অন্য কৃষকরা তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক
জামিনুর রহমান জানান, আজ শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ এবং বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা
ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বিকেল ৩ টায়
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রির ঘরে দাঁড়ায়।
মন্তব্য করুন
শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন করেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জেলা ক্রীড়া অফিসার ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী খেলায় সবুজসেনা স্পোর্টিং ক্লাব ও সাইকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ক্রিকেট লীগে মোট ৫ টি দল অংশগ্রহণ করছে।
শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।
এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন