নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়কের নলকার ঝুকিপূর্ণ সরু সেতুর কারণে সড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ থেমে থেমে যানজট হলেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্ত্বর থেকে ভূইয়াগাঁতী, হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়কের সলঙ্গা পর্যন্ত ও হাটিকুমরুল-পাবনা সড়কের বোয়ালিয়া পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর সেতুর উপর যানজট দেখা দেয়ায় অটোমেটিক টোল আদায় বন্ধ রাখা হচ্ছে।
দিনভর যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীসহ কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তীব্র গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা এবং খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার চলাচলের অন্যতম রুট বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে নলকা সরু সেতু। সেতুটি বার বার সংস্কার করলেও তা টিকছে না। এ কারণে মহাসড়কের নলকার সেতুটি যানজট ও দুর্ভোগের প্রধান কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
দেখা যায়, যানবাহনগুলো নলকা সেতুর ওঠেই গতি কমিয়ে দিতে হচ্ছে। এ কারণে সেতুর উভয়প্রান্তে সব সময় শত শত যানবাহনকে আটক থাকতে হচ্ছে। এতে কখনো কখনো দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতুতে ছিদ্র দেখা দেয়। ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এ অবস্থায় সওজ বৃহস্পতিবার সকাল একলেন বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ শুরু করে। এতে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থেকে নলকা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার, নলকা থেকে হাটিকমুরুল মোড় ৭ পর্যন্ত এবং হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত এবং গোল চত্ত্বর থেকে বোয়ালিয়া পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার যানজট ছাড়িয়ে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। যানজট এড়াতে পুলিশ কিছু কিছু যাত্রীবাহী বাস বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েও সিরাজগঞ্জ শহর মধ্য দিয়ে চলাচল করতে দেয়ায় শহরের মধ্যেও যানজট দেখা দিয়েছে।
বাসচালক হায়দার আলী ও ইব্রাহীম সেখ জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় মহাসড়কের নলকা সেতুটি বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটিতে গাড়ি ওঠার আগেই গতি কমিয়ে পার হতে হয়। সেতুর উপর ১০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালালেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। সেতুর কারণে গত ১০ বছর যাবৎ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সেতু পার হয়েছি। বিকাল ৫টায় নলকা সেতু পার হতে পারলাম। ২০ মিনিটের রাস্তা পার হতে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগছে।
যাত্রী নাইমুল ইসলাম, শুভ সেক, রিংকি পারভীন জানান, টাঙ্গাইলের পর থেকেই যানজটের কবলে পড়তে হয়। মাত্র সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ নলকা পর্যন্ত আসতে প্রায় ২০ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। তীব্র গরমের কারণে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খাবার-পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সেতুটির কারণে এই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ যানজট নিরসনে সার্বক্ষুণিক চেষ্টা করছে।
সিরাজগঞ্জ সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার জানান, স্টিল দিয়ে সেতুটি মেরামত করায় তা একদিনেও টিকেনি। তাই সেতুর উপরের অংশ তুলে ফেলে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। এ কারণে একলেন বন্ধ রাখায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর সংস্কার কাজ শেষ করে দুইলেন খুলে দেয়া হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে যানজট কমে গেলে দুর্ভোগ কমে যাবে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী পাভেল আহসান জানান, বঙ্গবন্ধুর সেতুর উপর যানজট দেখা দেয়ায় অটোমেটিক টোল আদায় বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করে টোল আদায় বন্ধ রাখেনি। যানজট থাকলে বন্ধ রাখা হচ্ছে। কমলে আবার টোল নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।
এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।
অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।
এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।
ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’
জুয়ার আসর নীলকন্ঠ শিব পূজা মাদক বিক্রি ও সেবন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
মন্তব্য করুন