গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা)
চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিম্ন
আদালদের যে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ
দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জিএম কাদেরের দলীয় দায়িত্ব পালনে
আর কোনো বাধা রইলো না।
নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জিএম
কাদেরের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি
শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি
করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে
নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদা
খাতুন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কোহিনুর আক্তার লাকী ও সাবিনা পারভীন।
জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কারের পর গত
৪ অক্টোবর সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার
আলোকে জিএম কাদেরকে দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন আদালত।
৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (প্রথম
আদালত) মাসুদুল হক এ আদেশ দেন।
১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের) ২০১৯ সালের
২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে পারেন
এবং কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।
পরে এই আদেশ প্রত্যাহারে জিএম কাদেরের
আবেদন গত ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম
বলেন, এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এই
আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম
৯ জানুয়ারি রাখাতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয়
ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজেকই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট
করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা
অবৈধ। কোর্ট রুল দিলেন। আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির
প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ
করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও
জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা
করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা
আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম
ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর
রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭
সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
মন্তব্য করুন
ভাষা
শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে বাংলা ভাষায় রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ কার্যতালিকায় থাকা ১২ নম্বর রিট মামলায় বাংলায় রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, আজ ১ ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস আজ থেকে শুরু। ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের প্রথম রায়টি বাংলায় ঘোষণা করছি। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলায় এ রায় ঘোষণা করছি।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মামলাটি অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। আদালত রুল নিষ্পত্তি করে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালত বাংলায় দেওয়া রায়ে বলেন, আলোচনা ও আইনজীবীর যুক্তিতর্ক পর্যালোচনান্তে আমরা অত্র মোকদ্দমার গুণাগুণ পর্যালোচনায় প্রবেশ না করে অত্র রুলটি নিম্নলিখিত নির্দেশনাসহ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হই।’
নির্দেশনাগুলো হলো
(ক) দরখাস্তকারী অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন।
(গ) অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদি মার্জনীয় হবে।
(ঘ) নিম্ন অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালে আদেশ আপিল দায়ের পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
পক্ষগণ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দখলের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। রিট মামলা নিষ্পত্তি করা হলো’।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি যুবদল সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের
আশ্রয় নেওয়া ৮ রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ১ লাখ
টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৩০
জানুয়ারি) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৫ নিশাত সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ
উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামিরা হলেন- মিয়ানামারের আকিয়াবের শিবপুরে দইলা, পুত্তু জারিপাড়ার রবি আলম, একই এলাকার
আলম, শফিকুল, নূর, নূরে আলম, আলী আহামদ ও নূরুল আমিন।
মামলা বিবরণে
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফ কোস্ট গার্ডের একটি দল সেন্টমার্টিনের
ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশে প্রবেশকালে একটি বোটে বিশাল ইয়াবা চালান আটক
করে। ওই পাচারকারী বোটে থাকা ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে গণনা করে ওই চালানে দুই লাখ পিস
ইয়াবা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এম জে উদ্দীন নামের এক কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা বাদী হয়ে টেকনাফ
থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা বিচারিক কার্যক্রম শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মামলার
সব আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কক্সবাজার ইয়াবা পাচার রোহিঙ্গা যাবজ্জীবন
মন্তব্য করুন
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায়
যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন
চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন
আদালত।
আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক
আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের
আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
এদিন
সম্রাট আদালতে উপস্থিত হন। এ সময়
তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি অভিযোগ
গঠনে সময়ের আবেদন করেন। এছাড়া চিকিৎসার জন্য সম্রাটের বিদেশে
যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য
১ মার্চ দিন ধার্য করেন।
চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার
আবেদনের ওপর শুনানির জন্যও
একই দিন ধার্য করেন
আদালত।
সংশ্লিষ্ট
আদালতে বেঞ্চ সহকারী ফকির মোহাম্মদ জাহিদুল
ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী
অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে
আটক করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার
জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেফতার হন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায়
২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের
৭ ডিসেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে সম্রাটের
বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
আনা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী
অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬
অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে
র্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ
থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গ্রেপ্তার
হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২
নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে
২ কোটি ৯৪ লাখ
৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের
অভিযোগ আনা হয়। ২০২০
সালের ২৬ নভেম্বর এ
মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
গত বছরের ১০ এপ্রিল থেকে
১১ মের মধ্যে চার
মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে
যাওয়ার ৩১ মাস পর
মুক্তি মেলে তার।
মন্তব্য করুন