কোর্ট ইনসাইড

জাপা’র দায়িত্ব পালনে জিএম কাদেরের বাধা নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিম্ন আদালদের যে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জিএম কাদেরের দলীয় দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা রইলো না।

নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদা খাতুন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কোহিনুর আক্তার লাকী ও সাবিনা পারভীন।

জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কারের পর গত ৪ অক্টোবর সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার আলোকে জিএম কাদেরকে দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন আদালত।

৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (প্রথম আদালত) মাসুদুল হক এ আদেশ দেন।

১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের) ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে পারেন এবং কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।

পরে এই আদেশ প্রত্যাহারে জিএম কাদেরের আবেদন গত ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।

আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এই আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজেকই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলেন। আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।


জাপা   জি এম কাদের   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আগামীকাল দুদকে যাবেন ড. ইউনূস: আইনজীবী

প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুদক কার্যালয়ে যাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ড. ইউনূস চিঠি দিয়ে দুদককে জানিয়েছেন তিনি ৫ অক্টোবর দুদকে যাবেন।

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করেছে দুদক। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে আগামী ৫ অক্টোবর তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ড. ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদসহ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ২৫.২২ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। আগামী ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় উপর্যুক্ত বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্তকার্যে সহযোগিতা করতে আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


ড. ইউনূস   দুদক   দুর্নীতি   মামলা  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আলোচিত মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে ইলিয়াস হোসেনের সম্পত্তি ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোক করা যায়নি অর্থাৎ সম্পত্তি পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। এরপর আদালত ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন   ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আপিল বিভাগে রিজেন্টের সাহেদের জামিন শুনানি ১৫ অক্টেবর

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতে চেয়ে আবেদনের শুনানি ১৫ অক্টোবর।

সোমবার (২ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। 

ওই দিন আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন। 

গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার ওই রায় দেন। রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।  

সাহেদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করা হলেও ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় এ দণ্ড দেওয়া হয়। তবে ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। 

রায় ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি আপিল করেন। 

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়। 

কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি। 

এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।  

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। 

সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত। 


হাইকোর্ট   সাহেদ   জামিন   শুনানি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাকির

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অবৈধ উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন।

আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। ওই কর্মকর্তা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বলে জানান আইনজীবী।

জাকির হোসেনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ।

গত ১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়। জাকির হোসেনের জমা দেওয়া আয়কর নথি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য পায়। ২০২১-২২ আয়কর নথি অনুযায়ী, জাকির হোসেনের নামে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অজুতাংশ জমির ওপর ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণসহ মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ মোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে আয়করে। সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।

ওই সম্পদের বিপরীতে আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হননি বলে ওই সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

তাছাড়া অনুসন্ধানে আসামির নামীয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট শাখায় বিভিন্ন সময়ে ৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার নয়শ ১৩ টাকা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভিকারুননিসা নুন স্কুল শাখার ১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার নয়শ ৩০ টাকা এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় এফডিআর হিসাবে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার একশ ৫৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করা ওই অর্থের বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানের সময় পাওয়া যায়নি।

মামলার বিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা আরও অনেক অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, যেগুলোর আয়ের উৎস উল্লেখ নেই।



মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি দিয়ে তামিমকে দলে নিতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ: ০১:২৯ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাসেল আল মামুন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এ নোটিশ পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সারাদিন নাটকীয়তার পর রাতে বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন এবং বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।

১৫ সদস্যের এ দলে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান। তামিমের বদলে ওপেনিং পজিশনে সুযোগ মিলেছে আরেক তামিম-তানজিদ হাসানের।

এদিকে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগেরদিন রাত থেকেই নানান গুঞ্জন চাউর হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গুঞ্জন ওঠে, বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলতে চান তামিম। তবে তামিমের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মন্তব্য, এমন কিছুই তামিম বলেননি। নির্বাচকরাও অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে আকস্মিকভাবে লাল-সবুজের এই ওপেনারের বাদপড়ার পর নানান প্রশ্নের উত্থান হয়েছে। যদিও দাবি করা হচ্ছে, ফিটনেস ইস্যুতে বাদ পড়েছেন তামিম। আর টিম ম্যানেজমেন্টও এই ওপেনারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি।

নানান গুঞ্জনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তামিম। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে নানান প্রশ্নোত্তর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ফেসবুকে তামিম ইকবাল লিখেছেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলব।

তিনি আরও লিখেছেন, গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত-সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।


হাথুরুসিংহে   তামিম   লিগ্যাল নোটিশ   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন