কোর্ট ইনসাইড

বিচারকদের সহযোগিতা করতে হবে আইনজীবীদের: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারকদের সহযোগিতা করতে হবে আইনজীবীদের। স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব। আদালতের দ্বারে ঘুরতে থাকা সন্তানহারা বাবা ও অসহায় নিরীহ নির্যাতিতদেরকে উভয়পক্ষই সহযোগিতা করবেন। একটি মামলার জন্য বছরের পর বছর আদালতের দ্বারে ঘুরতে থাকা ব্যক্তিদের স্বস্তি দেবেন। আদালতে ঘুরতে ঘুরতে তাদের অবস্থার কথা অনুভব করবেন। তাদের জায়গায় নিজেকে ভেবে উভয়পক্ষ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। 

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত চত্বরে জেলা আইনজীবী সমিতির শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিচার বিভাগকে সংবিধানের শেষ রক্ষাকবচ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বেঞ্চ ও বার একে অন্যের পরিপূরক। তারা একটি পাখির দুইটি ডানা। বিচারক ও আইনজীবী একে অপরের পরিপূরক। উভয়পক্ষকে পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ও শ্রদ্ধাবোধ রেখে কাজ করতে হবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, কয়েক জায়গায় বিচারকের প্রতি আইনজীবীদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আপনাদের দায়িত্ব শৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমাদের নিজেদের স্বার্থে তা বজায় রাখতে হবে। তা না হলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, আপনারা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। 

সৃষ্টিশীল পরিশ্রমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিচারকের সঙ্গে কোনো মতবিরোধ থাকলে আলোচনা করে সমাধান করবেন। কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমার কাছে অভিযোগ করবেন। কোনো বিচারক বিচার বিক্রি করলে বা অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আপনারা সকলেই দেশপ্রেমিক। তাই আসুন, সবাই মিলে বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে, দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। এভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে আমরা দুর্নীতিমুক্ত মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনব। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, মামলা যত দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বছরের পর বছর ধরে বিচারপ্রার্থীরা আদালতে ঘুরতে থাকলে বলবে, দেশে বিচার নেই। আর এজন্য তখন দায়ী থাকবে দেশের বিচার ব্যবস্থা, বিচারক ও আইনজাবীরা। বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ, বিষয়টি অনুধাবন করে বিচারপ্রার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব বিচারকাজ শেষ করে তাদেরকে বাসায় পাঠাবেন। 

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বিচারপ্রার্থীরা শুরুতেই আইনজীবীদের কাছে যান। সে সময় তাদের কথা ভালোভাবে শুনবেন। মনযোগ দিয়ে শুনে সঠিক পরামর্শ দেবেন। পরে তা বিচারকের নিকট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন। কারণ সুন্দর উপস্থাপনের মাধ্যমেই একজন ভালো আইনজীবী তৈরি হয়। আইনজীবীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাই বিচারকের সিদ্ধান্তে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না। বিচারকগণের উদ্দেশ্যে বলব, যেসব আইনজীবী আপনাদের সামনে আসেন তারা অনেকেই আপনার বাবার বয়সের। এসব বিষয়ে তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে অনেক জ্ঞান রয়েছে। বিচারকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দেবেন। 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, সংবিধান রচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আইনজীবীরা। সুষ্ঠু সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখেন বলেই বিচারপতি কৃষ্ণা রায় আইনজীবীদের সামাজিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাই আপনাদেরকে অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জবদুল হক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসক এমকেএম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম কনক প্রমুখ। 


বিচারক   আইনজীবী   প্রধান বিচারপতি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছাল

প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ১৪ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ কারণে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন নতুন দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সে সমাবেশে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ।

এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৫ জনকে। এছাড়া মামলায় আরও ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।


ছাত্র অধিকার পরিষদ   বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়   আবরার ফাহাদ হত্যা  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

এস কে সিনহার দুদকের মামলায় প্রতিবেদনের নতুন তারিখ

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায়  অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৩ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেনের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকার সময় অপরাধলব্ধ অর্থ হুন্ডিসহ বিভিন্নভাবে আমেরিকায় পাচার করেন। পরে তার ছোট ভাই অনন্তের অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ স্থানান্তর হয়। ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এস কে সিনহা তার ভাইয়ের নামে বাড়িটি কেনেন। ২০১৮ সালের ১২ জুন এ বাড়িটি কেনা হয়। যার ঠিকানা ১৭৯, জ্যাপার স্ট্রিট, প্যাটারসন নিউ জার্সি।


এস কে সিনহা   দুদক   মামলা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

হিমুর মৃত্যু: মামলার প্রতিবেদন ১৩ মে

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গেল বছরে রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন। আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নওশের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০২৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তার খালা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হিমুর বন্ধু জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলায় হিমুর খালা নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেছেন, জিয়াউদ্দিন রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত্রীযাপন করতেন। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো লাইভ আইডি ব্লক দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫ টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। 

তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি-তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এসময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।


হিমু   অবিনেত্রী   আত্মহত্যা   মামলা  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার কারাগারে

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব প্রশান্ত কুমার রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন আসামি প্রশান্ত কুমার আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদক জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকার সম্পদ রাখার অভিযোগে গত বছরের ৫ জুন দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র পরিচালক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দেওয়া ছাড়াও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সোমবার (৫ মে) এ মামলা দায়ের করা হয়।

সাবেক এই সচিবের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা থানার গোপ্তমারী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বিমলেন্দু রায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির এ-৫ ফ্ল্যাটে থাকেন।

তার উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে— খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানায় দুই দশমিক চার একর জমি। যা এক কোটি ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির যে ফ্ল্যাটে (এ-৫) থাকেন সেটা কিনেছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকায়। মোহাম্মদপুরে ৩৭৯, পুলপাড় রোড, পূর্ব জাফরাবাদে ১২০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়।

রাজধানীর ১৪৩ গ্রিন রোডের ঠিকানায় গ্রিন সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় ৩০০ বর্গফুটের একটি কক্ষ কিনেছেন ১১ লাখ টাকায়। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির ওপর ২ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। ২৩ লাখ টাকায় একটি জাপানি প্রিমিও কার কিনেছেন। ১৬ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি এক্সকাভেটর (ভেকু)। এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ১০ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে সাত লাখ টাকার।

২০২২-২৩ অর্থ বছর শেষে এক কোটি ৪১ লাখ টাকা ঋণ বাদে তার নিট সম্পদ রয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ টাকার।



মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

খালেদা জিয়াসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৮ মে

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে আগামী ২৮ মে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আকতারুজ্জামান এদিন ধার্য করেন।

আজ রোববার (২৪ মার্চ) মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে এদিন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাজিরা দেন। একই সঙ্গে চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তিনি।

আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ মে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

এছাড়া আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম মারা গেছেন।

এ মামলার ৭ আসামি হলো। তারা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম ও পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


খালেদা জিয়া   শুনানি   বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন