কোর্ট ইনসাইড

বাবার মামলা খারিজ, জাপানি দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকছে

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail বাবার মামলা খারিজ, জাপানি দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকছে

দুই মেয়েকে জিম্মায় পেতে আইনি লড়াই করছেন বাবা-মা। কখনো কখনো তাদের সঙ্গে মেয়েরাও আদালতের বারান্দায় ছুটেছে। শেষ পর্যন্ত মায়ের কাছেই থাকছে এই দুই শিশু।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান। আদালত মনে করছেন, মায়ের জিম্মায় থাকলে শিশুদের মঙ্গল হবে। তাই দুই শিশুকে জিম্মায় নেওয়া বাবার আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, নাবালক বা নাবালিকা- তাদের হেফাজত নির্ণয়ে সবচেয়ে যেটি মঙ্গল তা গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক, মানুষিক ও পারিপার্শ্বিক তথা সব কিছুর মঙ্গল তাদের বাবা নাকি মায়ের কাছে নিশ্চিত, সেটি বিবেচনায় রেখে মামলা নিষ্পত্তিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

রায়ে আদালত বলেছেন, মামলা করার কারণ আদালতের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি বাদীপক্ষ। বরং আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা দুই শিশুর বেড়ে ওঠা জাপানে। সেখানে তারা লেখাপড়া করেছে। তাদের মা নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনটি সন্তান জন্মের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সন্তানদের পাশে ছিলেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, জাপানে বেড়ে ওঠা দুই শিশুর প্রাথমিক শুশ্রূষাকারী তাদের মা নাকানো এরিকো। অথচ তাঁকে কিছু না জানিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ অন্য একটি দেশে নিয়ে আসাটা মাতৃত্বের বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন রূপটিকে অসম্মান করার নামান্তর।

রায়ে আদালত আরও বলেছেন, পিতা হিসেবে ইমরান শরীফ নাবালিকা দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার পূর্ণ হকদার। তবে জাপানি মায়ের কাছে দুই নাবালিকার হেফাজত তাঁদের শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক, তথা সার্বিক মঙ্গলজনক বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। 


বাবার মামলা   খারিজ   জাপানি দুই শিশু   মা  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ালেন আদালত

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূস আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন তিনি। 

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়।


ড. ইউনূস   জামিন   আদালত  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

এর আগে ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বীকে হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। 

এর আগে গত ২৯ মে রাজনৈতিক সমাগমকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর বহিরাগত কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান।

ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন; যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাই তাকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার সহযোগীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে গত ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বিকে হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেন। বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


হাইকোর্ট   বুয়েট   শিক্ষার্থী রাব্বি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

সভাপতিসহ ৮ পদে বিএনপিপন্থী, চার পদে আওয়ামী লীগের জয়

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ০৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। ১২টি পদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আটটি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা চারটি পদে জয়লাভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সমিতির হলরুমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মোট ভোটার ২৪৫ হলেও ২৩৬ জন ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে দুইটি প্যানেলে ২৪ জন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন (১৩৬ ভোট) সভাপতি পদে, সহ-সভাপতি (১) পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট হাসীনুজ্জামান মিলার (১৩৯), সহ-সভাপতি (২) বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. একরামুল হক (১১২), সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. ইন্তাজুল হক (১২১), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. রাহাদ জামিল (১২৪), লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন (১৪৪), ট্রেজারি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ (১২০), কমনরুম ও কালচারাল সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা (১৫২ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া সদস্য পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (১৪৩), অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন রানা (১১৩), আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট মোবারক আলী (১০৭) ও অ্যাডভোকেট সোহেল রানা (১৪৭ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ   জেলা আইনজীবী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন সিমিনসহ শীর্ষ তিন কর্মকতা

প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর গুলশান থানার পৃথক চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) আসামিরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহবুব আহমেদ ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিরা বোরকা পড়ে এজলাসে আসেন।

কর্মকর্তারা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন। 

জানা গেছে, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক ট্রান্সকম গ্রুপের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন। ওই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিন পান।

এছাড়া গত ২২ মার্চ শাযরেহ হক তার বড় বোন সিমিন রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সিমিন রহমানসহ বাকি আসামিরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ/শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। আরশাদ ওয়ালিউর রহমান গত বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের ছেলে যারেফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজার ডা. মুরাদ, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ডিরেক্টর মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স‌ (আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স‌ সেলিনা সুলতানা, ম্যানেজার কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স‌ কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন ও গ্রুপের কর্মচারী রফিক, মিরাজুল।


ট্রান্সকম গ্রুপ   সিমিন রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন