কোর্ট ইনসাইড

বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ব্যালট ছিনতাই-ভাঙচুর, মামলা

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩- ২৪ সালের নির্বাচন ১৫ ও ১৬ মার্চ। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ অনষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে একটি নোটিশ জারি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণের দিনও বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে আবারও হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকেই টানা মিছিল ও শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে সুপ্রীম কোর্ট এলাকা।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে বিএনপি এবং জামায়াত পন্থীদের ভাঙচুর-সন্ত্রাসের ঘটনা এবং গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) নির্বাচন বানচালের জন্য ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সাব-কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মুনিরুজ্জামান। এই মামলায় (মামলা নং ৩০/১১৫, তারিখ: ১৫ মার্চ) বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রহুল কুদ্দুস কাজল, কামরুল হাসান সজলসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে রাত ৮টার দিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বানচালের জন্য রাত ৮ টার দিকে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মোহাম্মদ রহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী বেআইনী প্রবশ করে ভাঙচুর, ব্যালট চুরি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। 

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৫ মার্চ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী কর্তৃক বড় ধরনের নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনার আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকায় সুপ্রীম কোর্ট চত্বরে পুলিশ এব এপিবিএন ফোর্স মোতাযেন করা হয়। এদিন নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম শরু করতে গেলে, সকাল থেকেই বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংবাদিক, আইনজীবী ও বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে  নির্বাচন কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করতে আক্রমনাত্মক আচরণ শুরু করে।            

সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ চলছে। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের মুখে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এদিকে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে আজও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) পাঁচ শতাধিক পুলিশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।

বুধবার ( ১৫ মার্চ) যা ঘটেছিল

দিনভর হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ, ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি মিছিল আর শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা ভোট প্রদান করলেও ভোট প্রদান থেকে বিরত থেকেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। গতকাল (বুধবার) দুপুর থেকে শুরু হওয়া ভোটে দুই হাজার ২১৭ আইনজীবী ভোট দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। হট্টগোলের কারণে নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু করা যায়নি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল পৌনে ১০টা থেকে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিলনায়তনের ভেতর থেকে বের করে দেয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দুপুর ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পরে একাধিকবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সংগঠিত হয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে বিক্ষোভ নিয়ে এগিয়ে আসেন। পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে বারবার তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে বিকেল ৩টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী। এরপর সাড়ে ৩টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে সমিতি প্রাঙ্গণে থাকা ভোটের প্যান্ডেলের দিকে যান। এক পর্যায়ে প্যান্ডেল ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরপরই শ্লোগানসহ পাল্টা মিছিল করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সমিতি ভবনের মিলনায়তনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাদের আবারও ধাওয়া করে পুলিশ। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সমিতির দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়।


সুপ্রীম কোর্ট   বার নির্বাচন   বিএনপি   জামায়াত  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বগুড়ার সেই অতিরিক্ত জেলা জজ প্রত্যাহার

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বগুড়ার সেই অতিরিক্ত জেলা জজ প্রত্যাহার।

বগুড়ায় অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন; -এমন অভিযোগে স্কুলের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে কয়েক দফায় প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা থাকলেও বিচারকের মেয়ে কখনোই শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয় না। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।

২০ মার্চ রাতে স্কুলের একটি ফেসবুকে সহপাঠীদের কটাক্ষ করে একটি পোস্ট লেখে বিচারকের মেয়ে। এতে কয়েকজন সহপাঠী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে এসে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন ৩ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবককে শিক্ষকের মাধ্যমে ডেকে আনেন। ফেসবুকে তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে ‘অপমানজনক কথা’ বলা হয়েছে এমন দাবি করে সাইবার অপরাধের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন তিনি। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে মামলার হুমকি দেওয়ার এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন ওই বিচারক। সেসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন সেই বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসান।

এ বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন নেটিজেনরা।


বগুড়া   অতিরিক্ত জেলা জজ   প্রত্যাহার  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) জাহাঙ্গীরের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আগামী ২৮ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করবেন।

গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করা হয় বলে জানা যায়। ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত জাহাঙ্গীরকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’

গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশিষ্টদের দুই সপ্তহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে যেসব অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।  

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যে অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি।

গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।

 ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

ওইদিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজীপুরের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে একজনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে।আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ আসে এবং সে অভিযোগ তদন্তের জন্য বা নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম আছে। সে কারণে গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।


মেয়র   জাহাঙ্গীর   সাময়িক   বরখাস্ত   বৈধতা প্রশ্ন   রুল   শুনানি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

মাদারীপুরে রাজিব হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মাদারীপুর সদরে রাজীব সরদার (২৬) হত্যা মামলায় ১১ বছর পর রায়ে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৬ জনকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, তুষার শরীফ, ইউসুফ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিল উদ্দিন হাওলাদার, অলিল উদ্দিন হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, গত ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব সরদার। এ সময় তিনি পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় রাজীব।

এ ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজীব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এদিকে এ রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট। 

মাদারীপুর   রাজিব হত্যা  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

কেন পেছালো খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলার শুনানি?

প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৮ মার্চ) ষোলো বছর আগে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান রোববার খালেদা জিয়াসহ নয় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এদিকে আজ সোমবার (২০ মার্চ) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখ হঠাৎ পিছিয়ে আগামী ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান আসামীপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করেন। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন হান্নান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এদিন মামলাটির অভিযোগ শুনানির দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির আবেদন করা হলে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে এই মামলাটির কার্যক্রম এর আগেও বেশ কয়েকবার পিছিয়েছে বা ঝুলে গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্রটি মনে করছে, কোনো কারণে এই মামলাটির কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে। তাই প্রসঙ্গতই প্রশ্ন ওঠছে, কেন বার বার পেছানো হচ্ছে এইসব মামলার কার্যক্রম। নাইকো দুর্নীতি মামলাটিও ১৬ বছর ঝুলে আছে। অন্যদিকে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটি করা হয়েছিল। এই মামলাটিও ঝুলে আছে ১৫ বছর। এসব মামলায় নিশ্চয়ই কোন কারণে দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে।    

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার বিবরণে জানা যায়, ১/১১-এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।

মামলায় মন্ত্রীসভার বৈঠকে খালেদা জিয়া সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না- জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। 

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলাটি অনেক চাঞ্চল্যকর একটি মামলা। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটির কার্যক্রম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বার বার পিছিয়েছে। এর পেছনে আইনী কোনো জটিলতা থাকতে পারে। তবে আদালত আসামীপক্ষের আবেদনে প্রেক্ষিতে নতুন করে যে তারিখ নির্ধারণ করেছেন, সেই তারিখেই বোঝা যাবে আসলে কোন দিকে যাচ্ছে এই মামলার কার্যক্রম। তবে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো আবারও ঝুলে যায় কি না?


পেছালো   খালেদা জিয়া   দুর্নীতি   মামলা   শুনানি   বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

এবার জামিন পেলেন মাহির স্বামী রাকিবও

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকার। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাকিব সরকারের আইনজীবীদের জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে জামিন দেয় আদালত। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আহসানুল হক জানান, দুপুরে রাকিব সরকারের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিয়াজ মাখদুম দুটি মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন।

কোটি টাকা মূল্যের জমি জোর করে দখলের অভিযোগে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) মাহিয়া মাহি সরকার ও তার স্বামী রাকিব সরকারকে হুকুমের আসামি করে গাজীপুরের বাসন থানায় মামলা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন। গত শনিবার (১৮ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিয়া মাহি সরকারকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। একই মামলার আসামি রাকিব সরকার গত রবিবার সকালে দেশে ফেরেন। হজ পালন করতে তারা সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। 

রাকিবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলাসহ দুটি মামলায় আদালত জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আনোয়ার সাদত সরকার।

মাহিয়া মাহি   রাকিব সরকার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন