সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩- ২৪ সালের নির্বাচন ১৫ ও ১৬ মার্চ। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ অনষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে একটি নোটিশ জারি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণের দিনও বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে আবারও হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকেই টানা মিছিল ও শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে সুপ্রীম কোর্ট এলাকা।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে বিএনপি এবং জামায়াত পন্থীদের ভাঙচুর-সন্ত্রাসের ঘটনা এবং গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) নির্বাচন বানচালের জন্য ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সাব-কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মুনিরুজ্জামান। এই মামলায় (মামলা নং ৩০/১১৫, তারিখ: ১৫ মার্চ) বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রহুল কুদ্দুস কাজল, কামরুল হাসান সজলসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে রাত ৮টার দিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বানচালের জন্য রাত ৮ টার দিকে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মোহাম্মদ রহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী বেআইনী প্রবশ করে ভাঙচুর, ব্যালট চুরি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৫ মার্চ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী কর্তৃক বড় ধরনের নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনার আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকায় সুপ্রীম কোর্ট চত্বরে পুলিশ এব এপিবিএন ফোর্স মোতাযেন করা হয়। এদিন নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম শরু করতে গেলে, সকাল থেকেই বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংবাদিক, আইনজীবী ও বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করতে আক্রমনাত্মক আচরণ শুরু করে।
সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ চলছে। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের মুখে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এদিকে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে আজও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) পাঁচ শতাধিক পুলিশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
বুধবার ( ১৫ মার্চ) যা ঘটেছিল
দিনভর হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ, ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি মিছিল আর শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা ভোট প্রদান করলেও ভোট প্রদান থেকে বিরত থেকেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। গতকাল (বুধবার) দুপুর থেকে শুরু হওয়া ভোটে দুই হাজার ২১৭ আইনজীবী ভোট দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। হট্টগোলের কারণে নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু করা যায়নি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল পৌনে ১০টা থেকে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিলনায়তনের ভেতর থেকে বের করে দেয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দুপুর ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পরে একাধিকবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সংগঠিত হয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে বিক্ষোভ নিয়ে এগিয়ে আসেন। পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে বারবার তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে বিকেল ৩টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী। এরপর সাড়ে ৩টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে সমিতি প্রাঙ্গণে থাকা ভোটের প্যান্ডেলের দিকে যান। এক পর্যায়ে প্যান্ডেল ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরপরই শ্লোগানসহ পাল্টা মিছিল করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সমিতি ভবনের মিলনায়তনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাদের আবারও ধাওয়া করে পুলিশ। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সমিতির দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়।
সুপ্রীম কোর্ট বার নির্বাচন বিএনপি জামায়াত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক পৃথক মামলায় তাদের এ সাজা বহাল রাখার রায় ঘোষণা করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার আদালতে রায়ের মূল অংশ পড়ে শোনান।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। টুকু-আমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন।
এদিকে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
গত ১৭ মে দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আপিলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার (৩০ মে) দিন ধার্য করা হয়।
অন্যদিকে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি হয়।
আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমান
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহদী হাছান জসিমকে গুলি করে হত্যার দায়ে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরমধ্যে চারজন মারা গেছেন। অন্য আট আসামিকে আজ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক রয়েছেন।
বিস্তারিত আসছে...
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিজিবি এখন থেকে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৪ মে) বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
তবে বিজিবির মামলা দায়েরের এখতিয়ার নিয়ে জারি করা রুল বহাল রেখেছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
বিজিবি কর্তৃক দায়ের করা এক মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আগামী ১৪ জুন এই রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বিজিবি। ওই ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। ওই মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিট আমলে নেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান।
ওই আবেদনের শুনানিতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিজিবির আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যেকেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়। আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
মন্তব্য করুন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। এর মধ্যে দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (২৩ মে) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ২০ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন এবং মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ
মন্তব্য করুন
২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বিজিবি। ওই ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। ওই মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিট আমলে নেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান।