কোর্ট ইনসাইড

২০০৬ সালের পুণরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত!


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দুই দিনে নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে নাশকতামূলক ভাঙচুর ও সন্ত্রাস চালিয়েছে তারা। ২০০৬ সালেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ভাঙচুর-সন্ত্রাসের মতো তাণ্ডব চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট করা হয়েছিল, এসব রিটের রায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ভাঙচুর এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র।  

সূত্রগুলো বলছে, সে সময়ে অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে কোনো ধরনের পরামর্শ না করেই সব সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছিলেন অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। বিএনপি - জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করে? - এ বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে সে সময়ে সুপ্রীম কোর্টে রিট করা হয়েছিল। এছাড়া ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হওয়া এবং কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন? - এ বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ করে আরও দুইটি রিট করা হয়। 

সূত্র জানায়, এসব রিটের রায় হওয়ার কথা ছিল ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর। যখন রিটের রায় হওয়ার সময় হলো, তখন বিএনপির মনোনীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যিনি প্রধান ছিলেন, তিনি আদালত থেকে সব নথি তুলে নিয়ে আসেন তার কাছে এবং এ রায় ঘোষণা বন্ধ করে দেন। এই নজিরবিহীন ঘটনায় আইনজীবীরা তখন প্রতিবাদ জানাতে গেলে বিএনপি-জামায়াত সম্মিলিতভাবে ওইসব আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ করে। সে সময় ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রীম কোর্টে ভাঙচুর, হুলুস্থুল এবং আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা। এসব ঘটনা ঘটিয়ে রিটকারী আইনজীবীদের কাঁধে দোষ চাপানো হয়।    

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে বিএনপি এবং জামায়াত পন্থীদের ভাঙচুর-সন্ত্রাসের ঘটনা এবং গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) নির্বাচন বানচালের জন্য ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সাব-কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মুনিরুজ্জামান। এই মামলায় (মামলা নং ৩০/১১৫, তারিখ: ১৫ মার্চ) বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রহুল কুদ্দুস কাজল, কামরুল হাসান সজলসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সূত্রগুলো বলছে, ২০০৬ সালে এসব ঘটনা ঘটিয়ে দেশে ১/১১ আনার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল। এখন বিএনপি আবার যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বলছে, আন্দোলন করছে, সুপ্রীম কোর্টে আবার ভাঙচুর করেছে, সে কারণেই আবার ১/১১ সৃষ্টি করতেই একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত। কেননা গত দুই দিনে সুপ্রীম কোর্টে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং এক ধরনের নাশকতামূলক। দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই এ ধরনের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে।      

জানা গেছে, জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট দায়ের করা তিনটি রিট আবেদনের শুনানির কার্যক্রম হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করার পূর্ব মুহূর্তে প্রধান বিচারপতি স্থগিত করে দেন। ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জেআর মোদাচ্ছের হোসেন একটি রিট স্থগিত করেন। এ ঘটনায় আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানালে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা ওই আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় এবং আক্রমণ করে। এ সময় তারা আদালতে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগ ঘটায়। এ সময় তারা সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ, প্রধান বিচারপতির কক্ষ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ও ভাংচুর করে। 

এছাড়াও, একদল আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে না পেয়ে তার চেম্বারে অতর্কিতে ঢুকে পড়েন এবং দরজা-জানালার কাঁচ ভাংচুর করেন। সে সময়ে আইনজীবী নেতৃবৃন্দ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপরে আইনজীবীরা আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাসকক্ষে (প্রধান বিচারপতির কোর্ট) ঢুকে চেয়ার ভাংচুর করে। প্রধান বিচারপতির এজলাসের আসবাবপত্র, চেয়ার-টেবিল, ফাইলপত্র ও ফ্যান ভেঙে তছনছ করে। পরে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দরজা ভাংচুর করে। ওই দিন এক পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থী এবং তাদের বিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত দীর্ঘ দিন ধরেই সরকারকে বিতর্কিত করা এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে পূর্ব পরিকল্পিত একটি ঘটনা। এর আগেও বিএনপি জামায়াত পঞ্চগড়ের আহমদিয়া (কাদিয়ানি) সম্প্রদায়ের ওপরও হামলা চালিয়েছিল। এটাও ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। এর আগেও বিএনপি- জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশের বিভিন্ন  স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। গত দুই দিনে সুপ্রীম কোর্টে যে ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে, তা-ও একই ষড়যন্ত্রের অংশ। এখন দেখার বিষয় হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়ত কি ফল পায়?


সর্বোচ্চ আদালাত   ভাঙচুর   সন্ত্রাস   ২০০৬ সাল   পুণরাবৃত্তি   বিএনপি   জামায়াত   সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন বেনজির আহমেদ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হাইকোর্টে রিট লড়তে নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে রিট শুনানির সময় বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও বেনজিরের সম্পদ অনুসন্ধানের রিট শুনানির জন্য দুপুর আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

বেনজির আহমেদ   সাবেক আইজিপি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম। 

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে “ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে “ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি। 

জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। 

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


বেনজীর আহমেদ   হাইকোর্ট   রিট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২৯ জুলাই

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ ১১ মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেছে আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরই তাপস কুমার পাল বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এজন্য শুনানি পেছানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। এদিকে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়।

এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় পরের দিন ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।


বিএনপি   খালেদা জিয়া   শুনানি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বিএনপি নেতা হাবিব জামিনে মুক্ত

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে নাশকতার এক মামলায় তাকে চার বছরের সাজা দেয় ঢাকার একটি আদালত। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

এ ছাড়া হাইকোর্টের একজন বিচারককে নিয়ে ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ জন্য আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে গত ২০ নভেম্বর তাকে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।


বিএনপি   কেন্দ্রীয় কারাগার   হাবিবুর রহমান হাবিব  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

অসুস্থ সম্রাট, দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাল

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেন নতুন এ দিন ধার্য করেন। এদিন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

তবে অসুস্থ থাকায় সম্রাট আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা অভিযোগ গঠন শুনানি জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন।

সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরের দিন ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার চার্জশিট জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

এ ছাড়া একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর এসআই আব্দুল হালিম। ওই বছরের ১২ অক্টোব রমনা থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।


ক্যাসিনো সম্রাট   আদালত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন