কোর্ট ইনসাইড

কেন পেছালো খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলার শুনানি?


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৮ মার্চ) ষোলো বছর আগে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান রোববার খালেদা জিয়াসহ নয় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এদিকে আজ সোমবার (২০ মার্চ) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখ হঠাৎ পিছিয়ে আগামী ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান আসামীপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করেন। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন হান্নান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এদিন মামলাটির অভিযোগ শুনানির দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির আবেদন করা হলে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে এই মামলাটির কার্যক্রম এর আগেও বেশ কয়েকবার পিছিয়েছে বা ঝুলে গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্রটি মনে করছে, কোনো কারণে এই মামলাটির কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে। তাই প্রসঙ্গতই প্রশ্ন ওঠছে, কেন বার বার পেছানো হচ্ছে এইসব মামলার কার্যক্রম। নাইকো দুর্নীতি মামলাটিও ১৬ বছর ঝুলে আছে। অন্যদিকে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটি করা হয়েছিল। এই মামলাটিও ঝুলে আছে ১৫ বছর। এসব মামলায় নিশ্চয়ই কোন কারণে দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে।    

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার বিবরণে জানা যায়, ১/১১-এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।

মামলায় মন্ত্রীসভার বৈঠকে খালেদা জিয়া সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না- জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। 

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলাটি অনেক চাঞ্চল্যকর একটি মামলা। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটির কার্যক্রম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বার বার পিছিয়েছে। এর পেছনে আইনী কোনো জটিলতা থাকতে পারে। তবে আদালত আসামীপক্ষের আবেদনে প্রেক্ষিতে নতুন করে যে তারিখ নির্ধারণ করেছেন, সেই তারিখেই বোঝা যাবে আসলে কোন দিকে যাচ্ছে এই মামলার কার্যক্রম। তবে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো আবারও ঝুলে যায় কি না?


পেছালো   খালেদা জিয়া   দুর্নীতি   মামলা   শুনানি   বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন বেনজির আহমেদ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হাইকোর্টে রিট লড়তে নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে রিট শুনানির সময় বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও বেনজিরের সম্পদ অনুসন্ধানের রিট শুনানির জন্য দুপুর আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

বেনজির আহমেদ   সাবেক আইজিপি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম। 

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে “ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে “ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি। 

জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। 

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


বেনজীর আহমেদ   হাইকোর্ট   রিট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২৯ জুলাই

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ ১১ মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেছে আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরই তাপস কুমার পাল বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এজন্য শুনানি পেছানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। এদিকে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়।

এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় পরের দিন ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।


বিএনপি   খালেদা জিয়া   শুনানি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বিএনপি নেতা হাবিব জামিনে মুক্ত

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে নাশকতার এক মামলায় তাকে চার বছরের সাজা দেয় ঢাকার একটি আদালত। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

এ ছাড়া হাইকোর্টের একজন বিচারককে নিয়ে ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ জন্য আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে গত ২০ নভেম্বর তাকে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।


বিএনপি   কেন্দ্রীয় কারাগার   হাবিবুর রহমান হাবিব  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

অসুস্থ সম্রাট, দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাল

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেন নতুন এ দিন ধার্য করেন। এদিন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

তবে অসুস্থ থাকায় সম্রাট আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা অভিযোগ গঠন শুনানি জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন।

সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরের দিন ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার চার্জশিট জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

এ ছাড়া একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর এসআই আব্দুল হালিম। ওই বছরের ১২ অক্টোব রমনা থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।


ক্যাসিনো সম্রাট   আদালত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন