কোর্ট ইনসাইড

মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) জাহাঙ্গীরের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আগামী ২৮ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করবেন।

গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করা হয় বলে জানা যায়। ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত জাহাঙ্গীরকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’

গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশিষ্টদের দুই সপ্তহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে যেসব অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।  

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যে অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি।

গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।

 ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

ওইদিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজীপুরের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে একজনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে।আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ আসে এবং সে অভিযোগ তদন্তের জন্য বা নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম আছে। সে কারণে গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।


মেয়র   জাহাঙ্গীর   সাময়িক   বরখাস্ত   বৈধতা প্রশ্ন   রুল   শুনানি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আজ বুধবার তাদের শপথ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

আপিল বিভাগ   বিচারপতি   সুপ্রিম কোর্ট   রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনের চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সহযোগিতায় এনআইডি কার্ড বানিয়ে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের এনআইডি কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে একটি চক্র। এমতবস্থায় কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে। এরআগে একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।


হাইকোর্ট   রোহিঙ্গা ভোটার  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বিএনপির শীর্ষ ৭ আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছাল

প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের আদেশ পিছিয়ে আগামী ১২ জুন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালত অবমাননার আসামি সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আপিল বিভাগ আদেশের দিন পিছিয়ে দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আদেশের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা।

এই ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন…

১। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

২। জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

৩। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি।

৪। জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।

৫। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

৬। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।

৭। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের নির্ধারণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। ২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।

১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়ে। 

শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন-সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।’

অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‌সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?


বিএনপি   আইনজীবী   আদালত  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন বেনজির আহমেদ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হাইকোর্টে রিট লড়তে নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে রিট শুনানির সময় বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও বেনজিরের সম্পদ অনুসন্ধানের রিট শুনানির জন্য দুপুর আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

বেনজির আহমেদ   সাবেক আইজিপি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম। 

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে “ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে “ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি। 

জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। 

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


বেনজীর আহমেদ   হাইকোর্ট   রিট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন