নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২১
ঢাকার সাভারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের কিশোররা। ইভটিজিং থেকে শুরু করে চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, অপহরণ, এমনকি হত্যাকান্ডের সাথেও রয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা। এলাকাভিত্তিক ছোট-বড় গ্যাং তৈরি করে এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে কিশোর সন্ত্রাসী অর্থাৎ ‘কিশোর গ্যাং’।
এদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। উঠতি বয়সি এ ‘মাস্তানদের’ পাশাপাশি সাভারে সন্ত্রাসী ও টপটেররদের দৌরাত্ম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর হাতে রয়েছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। সাভার উপজেলায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করছেন মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায়ই কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পড়ে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে অনেককেই। অনেকেই তাদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ কিংবা কথা বলতেও সাহস পান না। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সাভারের পৌর এলাকার মধ্যপাড়া মহল্লায় ছুরিকাঘাত করে সুমন রাজবংশী ও শিমুল রাজবংশী নামে দুই যুবককে গুরুতর আহত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।এদের মধ্যে আল-আমিন, পারভেজ ও রহিম নামে তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর কিছুদিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পৌর এলাকার থানা রোডে এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালের সামনে এক তরুণীকে যৌন হয়রানি করে এক দল কিশোর। এর প্রতিবাদ করলে সৌরভ ও আলিফ নামে দুই যুবককে মারধর করে আহত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তার কয়েকদিন আগে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রোহান নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে এলাকার সচেতনদের দাবি নিজেদের স্বার্থের জন্য অপরাধ কর্মকান্ডে কিশোরদের ব্যবহার করেন অনেকেই। ফলে এক সময় কিশোররা পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন শুধু পাড়া-পড়শিরাই নয়, নিজের পরিবারের জন্যও তারা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তাই অল্পতেই তাদের নিয়ন্ত্রণ না করলে অচিরেই একেক এলাকার জন্য `কিশোর গ্যাং` আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারে।
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।