নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০২১
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে এক কেজি ১৬০ গ্রাম সোনাসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঝন্টু চন্দ্র বর্মণ নামের একজন কর্মচারীকে আটক করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রিভেনটিভ টিম। তিনি বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফট টেকনিশিয়ান হেলপার হিসেবে কর্মরত। উদ্ধার সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট বিজি-৫০৪৬ এ রামেজিংকালে বিমানের ভেতরে থাকা এয়ারক্রাফট টেকনিশিয়ান হেলপার ঝন্টু চন্দ্র বর্মণকে আটক করা হয়।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার আব্দুস সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানতে পারেন, দুবাই থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট বিজি-৫০৪৬ এর মাধ্যমে সোনার চোরাচালান আসতে পারে। চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টম হাউস ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিমের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নজরদারি করতে থাকেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট বিজি-৫০৪৬ এ রামেজিংকালে বিমানের অভ্যন্তরে থাকা এয়ারক্রাফট টেকনিশিয়ান হেলপার ঝন্টু চন্দ্র বর্মণের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রথমে তিনি সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সিটের হাতলে সোনা থাকার কথা স্বীকার করেন। ঝন্টু বর্মণের দেয়া তথ্য অনুযায়ী- সিট নম্বর-২১-সি-এর হাতলের ভেতর থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় এক কেজি ১৬০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়।
উপ-কমিশনার আব্দুস সাদেক বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া সোনার বার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেফতার বিমানকর্মীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।