নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২১
২০১৬ সালের ৫ জুন। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মিতুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মিতু হত্যাকাণ্ডের পর তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পাঁচ বছর পর ২০২১ সালে দৃশ্যপট পাল্টে গেল। দেখা গেল যে হত্যাকাণ্ডের বাদী বাবুল আক্তার নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি। তদন্ত শেষে পিবিআই এর রিপোর্টের প্রেক্ষিতে মিতুর বাবা নতুন করে মামলা দায়ের করেন এবং বাবুল সহ ৮ জনকে আসামি করেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন। বরগুনায় রিফাতকে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারা হলো। কুপিয়ে মারার পর তার স্ত্রী মিন্নি রক্তাক্ত রিফাতকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন এবং রিফাতের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলার বাদী হলেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে দেখলো যে রিফাত হত্যাকাণ্ডে আসলে মিন্নি জড়িত। বাদী আসামি হলেন।
এই দুই ঘটনাতেই দেখা যায় যে, যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম বাদী অনেক কান্নাকাটি করেছেন, দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন এবং তাদের অভিনয় জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে যে, নিজেদের অপরাধ আড়াল করার জন্যই তারা এই অভিনয়গুলো করেছিলেন। কিন্তু অভিনয় করে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায়না। আর এই দুই ঘটনার প্রেক্ষাপটে সামনে আসে গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি বাড়িতে মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনা। মুনিয়া কি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে জট এখনো খোলেনি। এই জট আরো পাকিয়েছে তার বোন নুসরাত তানিয়ার কর্মকাণ্ডে। নুসরাত তানিয়া মুনিয়ার মৃত্যুর পর যেভাবে আবেগ ছড়ালেন, যেভাবে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং টক শোতে অংশগ্রহণ শুরু করলেন, যেভাবে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত বিবরণ বলা শুরু করলেন তাতেই সকলের সন্দেহের উদ্রেক হলো। প্রথমত, এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা সেটা বোঝার আগেই তিনি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা কেন দিলেন। দ্বিতীয়ত, হঠাৎ করে তিনি চুপ হয়ে গেছেন কেন। তৃতীয়ত, মুনিয়ার মৃত্যুর আগে তিনি কার কার সাথে কথা বলেছিলেন, কি কি কথা বলেছিলেন এবং কার সাথে কি ধরনের লেনদেন হয়েছিল।
বিভিন্ন গোয়েন্দারা বলছেন যে, সাধারণত একটি হত্যাকাণ্ড বা মৃত্যুর পর যখন কারো বেশি অতি উৎসাহ দেখা যায় তখন সন্দেহের উদ্রেক হয়। যেমন: মিতুর মৃত্যু পর বাবুল আক্তারের কান্নাকাটি দেখে আমাদের যেমন আবেগ হয়েছিল তেমনি এরকম কান্নাকাটিতেও আমাদের সন্দেহ ছিল। ঠিক তেমনি রিফাত হত্যাকাণ্ডের পর মিন্নির ভূমিকা নিয়েও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছিল। এখন নুসরাতের ভূমিকা ও মুনিয়ার মৃত্যুর পর সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। এখন আবার তিনি চুপ হয়ে গেছেন। নুসরাত বিভিন্নজনকে বলেছেন, শুরুতে তাকে যারা উস্কে দিয়েছেন মামলা করার জন্য তাদের কেউ এখন তার পাশে নেই। শুরুর দিকে যে সমস্ত গণমাধ্যমগুলো একটি বিশেষ ব্যক্তি বা বিশেষ শিল্প গ্রুপকে ঘায়েল করার জন্য উৎসাহিত হয়েছিল তারাও এখন অন্য ইস্যুর খোঁজে ব্যস্ত। তারা আর নুসরাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আর অতি উৎসাহী নুসরাত হয়তো এখন তার অপকর্মগুলো ঢাকার জন্য নিজেই অন্তরালে চলে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে যে মিন্নি কিংবা বাবুল আক্তারের পরিণতি নুসরাতের হবে কিনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে
স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম
করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র।
ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে
আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।
এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
সবাইকে এই স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন করে সিটিটিসি।
জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপসভিত্তিক
চাইনিজ প্রতারক চক্র বাংলাদেশি কিছু প্রতারকের সহায়তায় জাল বিস্তার করছে। এরা ফোনে
বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দেবে।
এরপর ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও লাইক করতে
বলবে। প্রতি লাইকের জন্য আপনাকে তারা ১০০ টাকা করে দেবে। এভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দেবে
তারা। একইসঙ্গে তারা হেল্পডেস্ক নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে নেবে।
টেলিগ্রাম গ্রুপে ইনভেস্ট করার লোভনীয়
সব অফার দেবে। আপনি একবার তাদের প্ল্যানে যখনই ইনভেস্ট করবেন, তখনই ফাঁদে পড়ে যাবেন।
এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কথা বলে হাতিয়ে নেবে লাখ
লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
সবাইকে জেনে রাখতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কিংবা ঘরে বসে পাওয়া যে কোনো চাকরির অফারই এক একটি স্ক্যাম। ভুলেও কেউ এমন ইনভেস্টমেন্ট
প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।
টেলিগ্রাম স্ক্যাম সতর্ক বার্তা ডিএমপির অনলাইন জব
মন্তব্য করুন
পুলিশের চাকরি অর্থ আত্মসাত সাতক্ষীরা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র। ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।