নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৯ পিএম, ১৮ জুন, ২০২১
বংশাল এলাকার নির্জন সড়ক কিংবা গলির রাস্তায় পথচারীদের আটকে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিনা কারণে মারামারি ও সংঘর্ষ করে আসছিল একদল কিশোর। গ্যাং কালচার প্রতিষ্ঠা করতে তারা তাদের গ্রুপের নাম রাখে ‘ফাইভ স্টার ওরফে ভালগার স্কোয়াড গ্রুপ’। সেই ফাইভ স্টার গ্রুপের দুই সদস্যকে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বংশাল এলাকার হাজী ওসমান গণি রোড থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দু’জন হলো- মো. মিলন ওরফে পোটলা মিলন (১৭) ও মো. আবু তাওহিদ সাফির (১৭)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ২টি সুইচ গিয়ার চাকু ও ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব-১০ এর সিও বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানী বংশাল থানাধীন আলু বাজারের হাজী ওসমান গণি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘ফাইভ স্টার ওরফে ভালগার স্কোয়াড’ গ্রুপের ২ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, বংশাল এলাকাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের সদস্যরা মারামারি, সংঘর্ষ ও ছিনতাই করে আসছিল। এলাকার নির্জন রাস্তা ও গলিতে পথচারীদের ঘিরে ধরে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপ, মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয় তারা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটকরা ডাকাতি/ছিনতাই ছাড়াও মাদক সেবন, খুচরা মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়ায়-মহল্লায় মারামারি এবং স্থানীয় ভূমি দস্যুদের পক্ষে দখলদারিত্বের বিষয়ে কাজ করে আসছিল। আটক মিলন ওরফে পোটলা মিলনের (১৭) বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে প্রথমিকভাবে জানা গেছে।
আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় নিয়মিত একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।