নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৯ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২১
নুসরাত জাহান তানিয়া কুমিল্লার আলোচিত একটি নাম। কলেজ জীবনেই জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ডে। যার নাম শুনলেই কুমিল্লা শহরের সচেতন অভিভাবকরা আতঁকে উঠেন। নুসরাত ব্যাংকে চাকরির আড়ালে কুমিল্লা এবং ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণ-যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসতো নিজের ফ্ল্যাট। রাতভর চলতো নুসরাতের পার্টি। আর বিনিময়ে তরুণদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হতো লাখ লাখ টাকা। শুধু কি তাই, কৌশলে সেইসব অসামাজিক কর্মকান্ড গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারন করে চলে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইলিং। নুসরাতের ফাঁদে পড়েছিলেন এমন একজন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সাইদুল হাসান (ছদ্মনাম)। ২০১৮ সালে এইচএসসি পাশ করে সবেমাত্র ভর্তি হয়েছিলেন কমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন সময়ে এক সহপাঠির পাল্লায় পড়ে নুসরাতের ফ্ল্যাটে যান সাইদুল। সেখানে পার্টি করে সাইদুল। কিন্তু ঘুনাক্ষরে সাইদুল ভাবেনি, এক রাতের ঘটনায় নুসরাতের ভয়ংকর ফাঁদে পড়তে হবে তাকে। ওইদিনের পর নুসরাতের স্বামীই ফোন করেন সাইদুলকে। ডেকে এনে গোপনে ধারনকৃত সেইদিনের কিছু ভিডিওচিত্র দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করা হয়। দাবীকৃত টাকা না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওচিত্র ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নিরুপায় হয়ে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সাইদুলই নয়- নুসরাত সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে এমন অনেক তরুণ এবং যুবক মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উঠতি বয়সী শুধু তরুণদের বিপদগামী করছে না। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের নানা কায়দায় প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নিয়ে আসছেন এই নুসরাত ও তাঁর স্বামী মিজানুর রহমান। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে কিশোরী মেয়েদের টাকা উপার্জনের কথা বলে খারাপ পথে নিয়ে আসছেন। কুমিল্লা এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসব অসামাজিক কাজ করাতেন নুসরাত সিন্ডিকেট। টাকায় নেশায় মানুষ থেকে অমানুষ হয়ে উঠেন নুসরাত জাহান তানিয়া। নিজের ছোট বোন সম্প্রতি গুলশানে মারা যাওয়া মোসারাত জাহান মুনিয়াকেও রেহাই দেয়নি বড় বোন নুসরাত। টাকার লোভে নিজের বোন মুনিয়াকে দিয়েও এইসব কাজ করিয়েছিনে নুসরাত। মোটা অংকের টাকা পেয়ে হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের কাছে মুনিয়াকে তুলে দেন নুসরাত। বিনিময়ে শারুনের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়েছিলেন নুসরাত। সেই মুনিয়াকে নিয়েই ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছিল শারুন চৌধুরী ও নুসরাত। শেষ পর্যন্ত নুসরাত আর শারুন চৌধুরীর দেহ ব্যবসাসহ নানা অপরাধের ভার সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথেই বেছে নিয়েছিলেন মুনিয়া। পুলিশের অনুসন্ধান বলছে, শারুন চৌধুরী এবং নুসরাত কৌশলে মুনিয়াকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের গুটি বানিয়েছিল। দেশের বিত্তশালীদের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অপকৌশলের চাপ সইতে না পেরেই নিজেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন বলে তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে
স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম
করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র।
ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে
আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।
এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
সবাইকে এই স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন করে সিটিটিসি।
জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপসভিত্তিক
চাইনিজ প্রতারক চক্র বাংলাদেশি কিছু প্রতারকের সহায়তায় জাল বিস্তার করছে। এরা ফোনে
বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দেবে।
এরপর ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও লাইক করতে
বলবে। প্রতি লাইকের জন্য আপনাকে তারা ১০০ টাকা করে দেবে। এভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দেবে
তারা। একইসঙ্গে তারা হেল্পডেস্ক নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে নেবে।
টেলিগ্রাম গ্রুপে ইনভেস্ট করার লোভনীয়
সব অফার দেবে। আপনি একবার তাদের প্ল্যানে যখনই ইনভেস্ট করবেন, তখনই ফাঁদে পড়ে যাবেন।
এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কথা বলে হাতিয়ে নেবে লাখ
লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
সবাইকে জেনে রাখতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কিংবা ঘরে বসে পাওয়া যে কোনো চাকরির অফারই এক একটি স্ক্যাম। ভুলেও কেউ এমন ইনভেস্টমেন্ট
প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।
টেলিগ্রাম স্ক্যাম সতর্ক বার্তা ডিএমপির অনলাইন জব
মন্তব্য করুন
পুলিশের চাকরি অর্থ আত্মসাত সাতক্ষীরা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র। ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।