নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৭ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২১
উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর সড়কের বাসায় সুবল চন্দ পালের (৪৪) লাশটি ছিল শোয়ানো। তাঁর গলার ডান দিকে ছুরির আঘাত, হাত-পা নাইলনের রশি দিয়ে বাঁধা। খবর পেয়ে গত রোববার (১১ জুলাই) সকালে পুলিশ সুবলের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তদন্তে জানা যায়, সুবলকে যিনি খুন করেছেন, তিনি তাঁর পূর্বপরিচিত। উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোও মাঠে নামে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকেই সন্দেহভাজন দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. মাসুদ রানা ও মো. মিজানুর রহমান। সুবল যে বাসায় দারোয়ানের কাজ করতেন, ওই বাসাতেই গাড়িচালক ছিলেন মাসুদ। তখন তিনি প্রায়ই সুবলের ঘরে বসে ইয়াবা সেবন করতেন। মাঝে মাঝে নারীদেরও নিয়ে আসতেন। মাস দেড়েক আগে মাসুদ চাকরি ছেড়ে সিরাজগঞ্জে চলে যান। সেখানে একটি লুঙ্গি কারখানায় তিনি মাইক্রোবাসচালকের কাজ নিয়েছিলেন।
কেন খুন হলেন সুবল? এ সম্পর্কে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বলেন, প্রথমে তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, দারোয়ানের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে রাখবেন। বাড়ির মালিক ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে ওই সময় তাঁরা বাসায় ঢুকে ডাকাতি করবেন। এখানে আসার আগে মাসুদ সুবলকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, এক চাচাতো ভাইকে নিয়ে তিনি একটা রাত থাকতে চান ওখানে। সে অনুযায়ী, ১০ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাসদু ও মিজানুর সুবলের কক্ষে এসে ওঠেন। সেখানে ইয়াবাও সেবন করেন। পরিকল্পনামতো রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ঘুমন্ত সুবলের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে সুবল জেগে ওঠেন। তখন রুমে থাকা একটি ধারালো কাঁচি সুবলের গলায় ধরে তাঁরা তাঁকে চুপ করে থাকতে বলেন। মিজান একপর্যায়ে সুবলের গলা নাইলনের রশি দিয়ে পেঁচানোর চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তি শুরু হলে মাসুদ সুবলের গলায় ধারালো কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন। এতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাঁরা সুবলের গলা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। সুবলের মৃত্যুর পর তাঁরা শক্ত করে তাঁর হাত পা বাঁধেন। পরে পানি দিয়ে নিজেদের শরীরে ও জামাকাপড়ে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। খুনের পর তাঁরা ডাকাতির পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আবারও সিরাজগঞ্জে চলে যান।
পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে সুবলের পরনে থাকা জামার পুড়িয়ে দেওয়া অংশবিশেষ ও রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে। তা ছাড়া গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তিমতে ঘটনাস্থল থেকে এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটিও উদ্ধার হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে
স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম
করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র।
ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে
আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।
এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
সবাইকে এই স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন করে সিটিটিসি।
জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপসভিত্তিক
চাইনিজ প্রতারক চক্র বাংলাদেশি কিছু প্রতারকের সহায়তায় জাল বিস্তার করছে। এরা ফোনে
বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দেবে।
এরপর ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও লাইক করতে
বলবে। প্রতি লাইকের জন্য আপনাকে তারা ১০০ টাকা করে দেবে। এভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দেবে
তারা। একইসঙ্গে তারা হেল্পডেস্ক নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে নেবে।
টেলিগ্রাম গ্রুপে ইনভেস্ট করার লোভনীয়
সব অফার দেবে। আপনি একবার তাদের প্ল্যানে যখনই ইনভেস্ট করবেন, তখনই ফাঁদে পড়ে যাবেন।
এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কথা বলে হাতিয়ে নেবে লাখ
লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
সবাইকে জেনে রাখতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কিংবা ঘরে বসে পাওয়া যে কোনো চাকরির অফারই এক একটি স্ক্যাম। ভুলেও কেউ এমন ইনভেস্টমেন্ট
প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।
টেলিগ্রাম স্ক্যাম সতর্ক বার্তা ডিএমপির অনলাইন জব
মন্তব্য করুন
পুলিশের চাকরি অর্থ আত্মসাত সাতক্ষীরা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র। ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।