শেখ হাসিনাই এখন রাষ্ট্রদ্রোহী, ষড়যন্ত্রকারী, গণতন্ত্র বিনাশী শক্তির একমাত্র বাধা।
শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলেই নির্বাসনে পাঠানো যাবে গণতন্ত্রকে।
শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে পারলেই জঙ্গিবাদের উত্থান হবে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনাকে নিঃশেষ করলেই বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান হবে। শেখ হাসিনাকে মাইনাস করলে এদেশের উন্নয়নের চাকা থেমে যাবে।
শেখ হাসিনা না থাকলেই বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
আর তাই বিরোধী দলের আন্দোলন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার সবকিছুর একমাত্র টার্গেট হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাঁকেই আক্রমণের একমাত্র লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। গত ১৪ বছর একাই লড়ছেন তিনি স্রোতের বিপরীতে। নিঃসঙ্গ একাকী একযোদ্ধা আগলে রেখেছেন বাংলাদেশকে, এদেশের জনগণকে। সরকারের অনেকে প্রকাশ্যে বা গোপনে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে আপস রফার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা লক্ষ্যে অবিচল নির্ভীক। তিনি তাঁর বিশ্বাস চিন্তায় অটল রয়েছেন। আর এ কারণেই তাঁকে একমাত্র টার্গেট করা হয়েছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কুৎসিত এবং হিংসাত্মক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির আহ্বায়ক আবু সায়ীদ চাঁদ। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু এই হত্যার হুমকি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার সবচেয়ে বীভৎস ষড়যন্ত্রের প্রকাশ্য রূপ। কিন্তু এ ছাড়াও তাকে দুই ডজন বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। কাজেই এবারের ঘটনা সেই ঘৃণ্য অভিপ্রায়ের আরেকটি প্রকাশ। এটি স্রেফ কথার কথা নয়। মেঠো বক্তৃতা নয়। আন্দোলনের মূল লক্ষ্য বিএনপির ওই নেতা ফাঁস করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষরা, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তি সবাই এখন একটি স্থির বিশ্বাসে এসে উপনীত হয়েছে যে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে বা সরিয়ে দিতে পারলেই আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে হটানো যাবে। শেখ হাসিনা থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। আর এ কারণেই তিনিই টার্গেট।
বিএনপি নেতা চাঁদের এই ঘোষণা দেওয়ার দুদিন আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করেছিলেন যে, তাদের দাবি ১০ দফা বা ২০ দফা নয়। দাবি একটাই। সেটি হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া তারা ঘরে ফিরে যাবেন না এমন ঘোষণাও তিনি দেন। এখন মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সঙ্গে চাঁদের বক্তব্যের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং সেখানে কূটনীতিকদের বলা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা থাকতে পারবেন না। তাদের একমাত্র আক্রোশ শেখ হাসিনার প্রতি। শেখ হাসিনাতেই তাদের যত আপত্তি। শুধু বিএনপি নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছু দেশের কাছে শেখ হাসিনা এখন প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশ গত ১৪ বছরে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের জন্য বিস্ময়। এ কারণে বাংলাদেশ পরনির্ভরতা থেকে স্বনির্ভরতার পথে যাত্রা করেছে। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এটিকে পছন্দ করছে না প্রভাবশালী কিছু দেশ। তারা চায় বাংলাদেশ সব সময় নতজানু হয়ে থাকুক। তাদের আদেশ নির্দেশ অনুগত ভৃত্যের মতো অক্ষরে অক্ষরে পালন করুক। তাদের তুষ্ট করতে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিক। কিন্তু শেখ হাসিনা নতজানু হন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এ কারণেই শেখ হাসিনাকে তারা টার্গেট করেছে। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের ডালি নিয়ে বসেছে পশ্চিমারা। শেখ হাসিনা বিরোধী অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে আমাদের সুশীল সমাজ। বিএনপি জামায়াত শেখ হাসিনাকে শারীরিকভাবে হত্যা করতে চায়। আর সুশীলরা তার রাজনৈতিক মৃত্যুর জন্য অহর্নিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণেই তারা শেখ হাসিনার নীতি ও কৌশলের সমালোচক। সুশীল সমাজের একটি বড় অংশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক হোমরাচোমরা নেতার সখ্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে বৈঠক করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে দেখাও যায়। সেসব আড্ডায় শেখ হাসিনার সমালোচনা মুখর থাকেন দুই পক্ষ। শেখ হাসিনা কী কী ভুল করছেন তা নিয়ে তাদের আধো আর্তনাদ, আধো উল্লাস বোঝা যায় সহজেই। এরা সবাই একটি ব্যাপারে একমত। তারা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চান। এক-এগারোর কুশীলবরাই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় প্রতিনিধিত্বশীল অংশ। এই কুশীলবরা মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দৃঢ়তায় সেটি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কিন্তু এখনো তারা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এ কারণেই এখনো শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার নতুন করে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। কর্তৃত্ববাদী সরকারের তকমা লাগিয়ে তার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় ব্যস্ত সুশীলরা।
শেখ হাসিনা যে এখন প্রধান টার্গেট সেটি লক্ষ্য করা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপপ্রচার এবং কুৎসিত মিথ্যাচারগুলোতে। তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় সাইবার সন্ত্রাসীরা কিছুদিন আগেও সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি আক্রমণ করত। কিন্তু এখন টার্গেটের এর মূল কেন্দ্র হচ্ছেন শেখ হাসিনা। ফেসবুক, ইউটিউবে দিনরাত অবিরত শেখ হাসিনাকে অকথ্য নোংরা ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছে। জাসদ থেকে আমদানিকৃত এক গণবাহিনীর পরিত্যক্ত বিপ্লবীর হাতে দেওয়া হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তার অধীনে বিটিআরসি। এসব নর্দমার চেয়ে নোংরা শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে তিনি নীরব। মন্ত্রী বলছেন, ফেসবুক, ইউটিউবের কনটেন্টের ব্যাপারে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি বলেই দায়িত্ব এড়িয়ে নিজস্ব আয় রোজগারে তিনি ধ্যানের মতো মনোনিবেশ করেছেন। কী আশ্চর্য! তাহলে ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড অসত্য, হিংসাত্মক কনটেন্ট আটকায় কীভাবে? ৫ কোটি ব্যবহারকারীর এই দেশে কেন এখন পর্যন্ত ফেসবুক অফিস করেনি? এই প্রশ্নের উত্তরে একদা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী লা জবাব। ফলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সাইবার সন্ত্রাসীরা মিথ্যাচারের বমি করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারকে লক্ষ্য করেই চলছে কুৎসিত অপপ্রচার। কারণ শেখ হাসিনা তার আদর্শের সঙ্গে আপস করেন না। সাইবার সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে লড়াই করে তিনি টিকে আছেন। এভাবেই শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে বিরোধী পক্ষের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। সব পক্ষ একজোট হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তাকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি, ’৭৫-এর খুনিচক্র বারবার শারীরিকভাবে হত্যা করতে চেয়েছে, তেমনি রাজনৈতিকভাবে হত্যারও চেষ্টা চলছে। বার বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে কুৎসিত মিথ্যাচারের জবাব দিয়ে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রজ্ঞা, মেধা এবং দূরদর্শিতায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদেরও হতাশ করেছেন বারবার। এবারও জিতবেন শেখ হাসিনাই। তাকে জিততেই হবে কারণ, শেখ হাসিনা হারলে হারবে বাংলাদেশ।
সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
poriprekkhit@yahoo.com
মন্তব্য করুন
ইরান-ইসরায়েল শেখ হাসিনা শান্তির দূত জো বাইডেন ইরান
মন্তব্য করুন
আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর কবির নানক ড. হাছান মাহমুদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরান-ইসরায়েল ইস্যু ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইরান যে কোন সময় ইসরায়েল হামলা করতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব উৎকণ্ঠিত। এক অস্থির যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জানিয়েছে, ইরানের আক্রমণের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের ভূখণ্ড তারা ব্যবহার করতে দেবে না। সব কিছু মিলিয়ে একটি বিভাজন এবং বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো এই বৈরি পরিবেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন উদার নৈতিক নেতা নেই যিনি এই পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এরকম শূন্যতার মধ্যে শেখ হাসিনাই হতে পারেন আলোকবর্তিকা।
আওয়ামী লীগে নীরবে নিভৃতে পালাবদল ঘটছে। এক সময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা মানে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী। এখন তাদের অধ্যায় আস্তে আস্তে যবনিকা ঘটেছে। শারীরিক ভাবে তারা অনেকেই অসুস্থ। অনেকে এখন রাজনীতিতে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন। বরং একটি নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সামনে নিয়ে আসছেন। তাদেরকে নীতি নির্ধারক হিসেবে জায়গা করে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের এই পালাবদলটি শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনীতির একটি অংশ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের লোডশেডিং চলছে। গত বুধবার থেকে সংবাদপত্র বের হচ্ছে না। টানা ৬ দিন সংবাদপত্র বন্ধের বিশ্ব রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। না কোন প্রতিবাদে নয়, দাবী আদায়ের জন্য নয়। ছুটির ফাঁদে সংবাদপত্র বন্ধ আছে। সংবাদপত্রকে বলা হয় জরুরী সেবা। চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যেমন জরুরী সেবা দেন, তেমনি সংবাদকর্মীদের কাজও হলো দেশের মানুষকে সার্বক্ষণিকভাবে সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দেয়া। বিশেষ করে ছুটির সময় এটার প্রয়োজন আরো বেশী। এবার দেশে একটা দীর্ঘ ছুটি। এসময় সংবাদপত্র অনেক জরুরী। আচ্ছা ভাবুন তো, ছয়দিন যদি হাসপাতালে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হতো, কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি বলতো ছয়দিন তারা দায়িত্ব পালন করবে না। তাহলে কি হতো? আমিতো মনে করি, সংবাদপত্র বন্ধ রাখার বিষয়টিও তেমনি আঁতকে ওঠার মতো। কিন্তু সংবাদপত্রের মালিকদের এনিয়ে বিকার নেই।
প্রথম তিন মাস বর্তমান সরকারের জন্য ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করার ফলে এই নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়, নির্বাচনের পর কী ধরনের প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সেটি ছিল সকলের কাছে একটি দেখার বিষয়। তবে সরকার প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট গুলোকে ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সরকারের চেষ্টা নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন রকম অভিযোগ নেই।
তোফায়েল আহমেদ কি রাজনীতিতে এক অস্তমিত সূর্য? তিনি কি নিভে যাচ্ছেন? বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তিনি কি নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অবসরে চলে যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নগুলো এখন খুব বড় করে সামনে এসেছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে যারা তোফায়েল আহমেদকে দেখেছেন তারা আগের তোফায়েল আহমেদের ছায়াকেও দেখতে পারেননি। যে তোফায়েল আহমেদ ছিল সরব, যার ভরাট কণ্ঠস্বরে জাতীয় সংসদ প্রকম্পিত হত, যিনি সবসময় সবাইকে চমকে দিতেন বিভিন্ন দিন তারিখের হিসেব মুখস্থ বলে দিয়ে, যার সবসময় শত শত টেলিফোন নম্বর, বাড়ির ঠিকানা মুখস্থ থাকত, যা স্মৃতিশক্তি নিয়ে সকলে প্রশংসা করত, রাজনীতিতে যিনি একজন যুবরাজের মত পদচারণা করতেন, নানা রকম বিতর্কের পরও তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন সেই তোফায়েল আহমেদ এখন কোথায়?