নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৮
ভাইয়া কাজ দেন। পরিচালক কিংবা প্রযোজকের কাছে এমন অনুরোধ কিংবা আকুতি প্রায়ই আসে। কেন কাজ দিবে? যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি কী প্রাপ্য? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অযোগ্যরা কাজ পায়। সুযোগ পাওয়ার উপায় কী? পরিচালক- প্রযোজকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাড়ালেই কাজ মিলবে বলে অনেকের ধারণা।
সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কটা কী হতে পারে? ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রযোজক যোগাড় করে দিতে হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়তে হবে। এটা তো অন্যতম প্রধান চাওয়া- পাওয়া।
কিন্তু প্রযোজক- পরিচালকের পেছনে যারা কাজ পাওয়ার জন্য লাইন লাগায় তাদের কোন দোষ নেই? তাদেরও একটা ধারনা জন্মেছে এভাবেই হয়তো বাড়তি সুযোগ পাওয়ার উপায়। তাই তারা যেকোন উপায়ে কাজটা পেতে চায়। সবুরে মেওয়া ফলে, যদি নিজেদের যোগ্যতাটা বাড়ায়। তাহলে এক না একদিন সফলতার শীর্ষে পৌছানো সম্ভব।
যোগ্যতা থাকলে উল্টো পরিচালক কিংবা প্রযোজকরা আপনার পেছনে ঘুরবে। নামী ও গুনী নায়িকার ক্ষেত্রে সাধারণত এমনটাই হয়। তাঁর শিডিউল পাওয়া কষ্টকর।
এমনটা সাধারণত নতুনদের ক্ষেত্রেই ঘটে। পুরানরা সময়টা পার করে নিজেকে একটা অবস্থানে টিকিয়ে রাখে। শুরুর পরে প্রাথমিক চলনটাই আসলে তার ঝড়ে পড়ার সময়।
বাংলাদেশের অনেক অভিনেত্রীই এমন অভিযোগ তুলছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে পূর্ণিমা, পরীমনী, ফারিয়া শাহরিন, হুমায়রা ফারিন খান, অমৃতা খান, আঁচল, মৌসুমী সহ আরো অনেকে। তাঁরা এ নিয়ে মুখও খুলেছে সাহস করে। অনেকে এর শিকাড় হয়ে নানা কারণে মুখ খুলতে চায় না।
বলিউড কিংবা হলিউডের ইদানিংকালের কয়েকটি ঘটনার কথাই উল্লেখ করা যায়। বলিউডের `কাস্টিং কাউচের` ঘটনা ঘটে অহরহ। ‘কাস্টিং কাউচ’ বলিউড ইন্ডাস্ট্রির রিয়ালিটি। এ কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেন অনেক শিল্পী। কেউ বা আবার লুকিয়ে রাখতে চান। শুধু নারীরাই নন, পুরুষরাও কখনও কখনও ‘কাস্টিং কাউচ’- এর শিকার। ইন্ডাস্ট্রিতে রণবীর সিং এখন পরিচিত নাম। জনপ্রিয়তার নিরিখেও তিনি প্রথম দিকেই রয়েছেন। কিন্তু তিনিও ‘কাস্টিং কাউচ’ এর কবলে পড়েন। কীভাবে? ভারতীয় গনমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ‘এক ভদ্রলোক তাঁর আন্ধেরির বাড়িতে আমাকে এক বার ডেকেছিলেন। আমি খুব সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি সেটা দেখলেনই না। বরং বলেছিলেন, তোমাকে আরও স্মার্ট হতে হবে। আরও সেক্সি হতে হবে। তার পর আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে বলেছিলেন, আমরা কিছুই করব না। আমাকে এক বার ছুঁতে দাও…’। পরে রণবীর জানতে পেরেছিলেন এমন ব্যবহার তিনি অনেকের সঙ্গেই করে থাকেন।
বলিউডে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রথমে টেলিভিশনে অ্যাঙ্কারিং করতাম। এক কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে সরাসরি যৌন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমি স্ট্রেট। না হলে আপনার প্রস্তাব ভেবে দেখতাম।’
কাল্কি কোয়েচলিন, দীপিকা পাড়ুকোন, কঙ্গনা রানাউত, মমতা কুলকার্নি সহ অনেকেই মুখ খুলেছেন এ বিষয়ে।
হলিউডে তো গতবছর তুলকালাম হয়ে গেছে। হলিউড প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেন-এর যৌন কেলেঙ্কারির পর ফের যৌন হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে হলিউড। পরিচালক, লেখক অ্যান্ড্রু ক্রেসবার্গের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেয়েছেন।
যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #MeToo ক্যাম্পেন সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। কিভাবে `কাস্টিং কাউচের` শিকার হতে হয়েছিল সেটাও বর্ণনা করেছেন অনেক অভিনেত্রী। এ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান প্রযোজক মুকেশ ভাট। `কাস্টিং কাউচ` ইস্যুতে `বিশেষ ফিল্মমস`-এর এই কর্ণধার বলেন, বলিউডে নিয়মিত এ ধরনের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ ওঠে। পুরুষরা এসব করেও থাকে। তবে সব ক্ষেত্রে কেবল পুরুষদের দোষ দিলে চলে না। ভালো খারাপ সব ক্ষেত্রেই রয়েছে। এখন যুগ বদলেছে। এমন অনেক মেয়েই রয়েছে, যারা স্বেচ্ছায় প্রস্তাব দেয়।’
এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রযোজক আব্দুল আজিজ। যিনি শুরু থেকেই তার সিনেমায় নতুনদের সুযোগ দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রযোজক হিসেবে পরিস্কার। কারো সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সেটা পরিস্কার করেছি। কখনো কাজের সুবাধে কারো কাছ থেকে সুযোগ নিতে চাইনি। জাজ এমনই একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে থেকে আসলে কেউ এমন কাজ করার সুযোগ পাবে না। এরকম কিছু যদি ঘটে আর প্রকাশ পায় পুরো প্রতিষ্ঠানটাই বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। সেটা আসলে জেনেশুনে আমি করবো না। এসব যারা করে তাদের মধ্যে আসলে পরিচয়হীন লোকজনের সংখ্যাই বেশি। আর নতুনদেরও আসলে সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই অনেক সময় স্যোসাল মাধ্যমে আমাকে নক দেয়। বলে ভাইয়া যা করতে বলবেন করবো। আমি কি উত্তর দিবো! বলি নিজের চেহারাটা গিয়ে আয়নায় দেখো। তারপর নিজেকে প্রস্তুত করো। যদি মনে হয় তুমি নায়িকা হতে পারো। তাহলে সুযোগ মিলবে। যদি মনে করো তুমি সহশিল্পী হতে পারো। সেটার জন্য চেষ্টা করো। এইসব দিয়ে না দিয়ের দিন আসলে শেষ হয়ে যাবে একদিন। এর জন্য সকলের প্রফেশনাল হতে হবে। ’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ
সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই
নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।
এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী
প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার
নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো
ভয় নেই।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার
ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে
বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে
এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি
কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা
যায়নি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা
খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল
৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ডিপজল নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ
শুরু হয়।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা
পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল
থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ
পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।
এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি
আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে
৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।