নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮
গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’র সংগীত পরিচালনা করেছিলেন অর্ণব। এতে চন্দনা মজুমদার, মমতাজ, ফজলুর রহমান বাবু, কৃষ্ণকলি, চঞ্চল চৌধুরী ও অর্ণবের নিজের গাওয়া গানগুলো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা লাভ করে। গত কয়েক বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবিও ধরা হয় ‘মনপুরা’কে। চলচ্চিত্রের গানে বেশ সফল অর্ণব। ‘আহা!‘ সিনেমায় গান গাওয়া, পরবর্তিতে ‘জাগো’ এবং ‘মনপুরা’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা দিয়েই তাঁর চলচ্চিত্রের গানে যাত্রা শুরু। মনপুরা ছিল ফোক ঘরানার আর জাগো সিনেমার গান অনেকটাই শহুরে। দুটি সিনেমার গানই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মনপুরা সিনেমার ‘সোনার ময়না পাখি’ এবং আহা! সিনেমার ‘দূর ইশারায়’ গানটিতে তিনি কণ্ঠও দিয়েছেন।
এগুলো বাদেও ‘কলকাতা কলিং’,‘দীপ নেভার আগে’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। ‘পদ্ম পাতার জল’, ‘আইসক্রীম ‘ ও ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার গানেও কন্ঠ দিয়েছেন। বোঝাই যায়, অর্ণবের চলচ্চিত্রের গানের ক্যারিয়ার। স্বল্প তবে প্রশংসিত। অ্যালবামের গানেও তাঁর জনপ্রিয়তা কোন অংশে কম ছিল না। অর্ণব এখন নিয়মিত নেই। গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে নেই কোন আলোচনা। গানের চেয়ে তিনি এখন আকাআঁকিতেই বেশি সময় দেন। তার গান বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন মাত্রা দিত। তা বলাই যায়।
এক সময় দাপটের সঙ্গে সঙ্গীতাঙ্গনে বিচরণ করেছেন বালাম। প্রজাপতি, কমন জেন্ডার, হৃদয় ভাঙা ঢেউ, প্রিয়তমেষু, আমাদের ছোট সাহেব চলচ্চিত্রের গানে তাকে পাওয়া গেছে। সবগুলো গানই ছিল জনপ্রিয়। তবে তার দাপটটা মূলত ছিল অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে। স্বনামে ‘বালাম’ প্রথম অ্যালবাম থেকে বেশ কিছু সলো ও মিক্সড অ্যালবামে গান করেছেন। কিছুদিন আগে ফিরেছেন। টুকটাক গান করছেন। হারিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন,‘ ইচ্ছে করে বিরতী নেয়া হয়নি। আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিল। কিছুদিন ভালো থাকে, আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে- এভাবেই দীর্ঘ সময় কেটেছে। দেশে-বিদেশে তাকে নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। এটা নিয়ে মানসিকভাবে আমি ক্লান্ত ছিলাম। যার ফলে গানে মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না।গানটা তো ভাললাগা থেকে করতে হয়। তবে ফিরতে চেষ্টা করছি।’
নিজ বাড়িতে গৃহকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামীকে আটকের পর থেকেই অনেকটা আড়ালে চলে গেছেন জনপ্রিয় সঙ্গিত শিল্পী কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। সেই থেকে তার নতুন কোন গানও বের হয়নি। তিনটি সলো অ্যালবাম ও ‘মনপুরা’ সিনেমার গান তাকে বেশ জনপ্রিয়তা দিয়েছিল।
দীর্ঘদিন গানে নেই আনুশেহও। সর্বশেষ গান গেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। নির্ঝর চৌধুরির সুরে। তার অনুরোধে একটি মিক্সড অ্যালবামে গানটি গেয়েছিলেন। ঢাকায় আনুশেহ গড়ে তোলেন `যাত্রা বিরতি` নামের একটি মিউজিক্যাল রেস্তেরাঁ। সেটি চলছে এখনও। আরও কিছু ব্যবসা নিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন।
`আমার একটা নদী ছিল জানলো না তো কেউ`। তার নদীর খবর সব শ্রোতাই জেনেছিল। পথিক নবীর সেই নদীটি এখন আর নেই। নদীটি আকারে আরো বড় হয়ে সাগরে রুপ নিয়েছে। দীর্ঘ এগারো বছর তিনি মিডিয়া থেকে দূরে। এতগুলো বছরে তার কোন গান শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায় নি। তাতে কি? তিনি নিরলসভাবে, নিমগ্ন চিত্তে সঙ্গীতের সাধনা করে গেছেন নাকি এতটা বছর। প্রায় তিন চারশো গান নিজে লিখেছেন, সুর করেছেন। নতুন কোন গান অডিওতে প্রকাশ না পেলেও টুকটাক আজকাল স্টেজ শো করতে দেখা যায়।
ফুয়াদ আল মুক্তাদির বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের আরেক উজ্জল নাম। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পরিবার নিয়ে আছেন ফুয়াদ। আগের মতো আর জৌলুস নেই তাঁর। একটা সময়ে অ্যালবামের পাশাপাশি সিনেমাতেও কাজ করেছেন। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিজ্ঞাপনের জিজ্ঞেলেও। কিছুদিন আগে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তার শরীরে প্যাপিলারি কারসিনোমা ধরা পড়েছে। এটা থাইরয়েড ক্যানসার, সহজে নিরায়মযোগ্য। অস্ত্রোপাচার হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার পরে হঠাৎ এফডিসিতে দেখা মিললো তার। এতো রাতে হঠাৎ এফডিসিতে কেন ফুয়াদ ? দেখা গেল এফডিসির ৯ নাম্বার ফ্লোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ফ্লোরটিতে চলছে গান বাংলা টেলিভিশনের উইন্ড অব চেঞ্জ অনুষ্ঠানটির শুটিং। খোঁজ নিয়ে জানা গেল এবার উইন্ড অব চেঞ্জে গান গাইবেন ফুয়াদ। ফুয়াদ নিজেকে গানে নিয়মিত করার দৃড় প্রত্যয়ে আছেন।
নব্বই দশকে এদেশে ব্যান্ড সংগীতের ছিলো স্বর্ণযুগ। অসংখ্য ব্যান্ডদলের জন্ম হয়েছে নানা চেতনা ও ভাবনায়। প্রমিথিউস ছিলো তার মধ্যে অন্যতম। অসংখ্য গান গেয়ে শ্রোতানন্দিত হয়েছেন দলপ্রধান বিপ্লব। গানের সেই সুদিন আর নেই। একে একে ব্যান্ডদলগুলোও নিজেদের আড়ালে সরিয়ে নিয়েছে। সলো ক্যারিয়ার গড়েছিল বিপ্লব। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার খাতায় তার নামটাও রাখা যায়। দীর্ঘদিন তার কোন নতুন গান নেই।
জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আরেফিন রুমিও। হঠাৎ করে তিনিও হারিয়ে যান। কিছুদিন আগে তো ঘোষণাই দিয়ে দেন আর গান করবেন না। ব্যক্তিজীবনে ঘর-সংসার নিয়ে ব্যাপক বিতর্কিত এ সংগীত শিল্পী।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
বিএফডিসিতে রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন
করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল
মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।
এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।
মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন, সহ-সভাপতি পদে ড্যানি
সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান,
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও
ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।
কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।
এছাড়াও এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান এবং শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।
ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
করেছ নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু বলেন, ‘এবার ভোটার আছেন ৫৭০ জন। নির্বাচনে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। গতবারের কোনো প্রভাব যেন এই নির্বাচনে না পড়ে সেটাও খেয়াল রাখছি।’
মিশা সওদাগর মনোয়ার হোসেন ডিপজল মাহমুদ কলি নিপুণ আক্তার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
মন্তব্য করুন
নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে
জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন
মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল
ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির
আবেদন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ
মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার
জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা
পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ
তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত
বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল
সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং
পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা
মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট
ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে
অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল
আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে
ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে
পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ
করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং
গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে
আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির
উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা
ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার
হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে
বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট
পর্দায়।
এক সময় নিয়মিত ছোট পর্দায় কাজ করতেন এই জুটি। আবারও তাদের জুটি
হতে দেখা যাবে। এবার নাটক বা সিনেমায় নয়। ফিরছেন ৭ পর্বের ‘বাজি’ নামক একটি ওয়েব সিরিজ
দিয়ে।
এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’খ্যাত নির্মাতা
আরিফুর রহমান। তবে এ বিষয়ে রাখা হয়েছে গোপনীয়তা। নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে
সিরিজের প্রথম লটের শুটিং ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
এছাড়া এই ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে প্রথমবারের মতো নাম লেখাতে যাচ্ছে
তাহসান। তবে কোনো প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি দেখানো হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করা
হয়নি।
উল্লেখ্য, তাহসান-মিথিলা জুটি হয়ে বেস কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন।
যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে
প্রেম’, ‘মধুরেন সমাপয়েত’সহ বেশকিছু নাটকে। একসঙ্গে গেয়েছেন গানও। এই সংসারে আইরা তেহরীম
খান নামে তাদের একটি মেয়েও রয়েছে।
তাহসান খান রাফিয়াত রশিদ মিথিলা নাটক
মন্তব্য করুন
দেশের
সিনেমাপ্রিয় দর্শক মানসম্মত নতুন ছবি মুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া
ছবি মানেই এ ঈদ আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যাওয়া। প্রদর্শকরাও
আগ্রহ নিয়ে ঈদের ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
দেশে বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে সিনেমা
হলের সংখ্যা কমলেও প্রযোজকদের ছবি মুক্তি দিতে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। এবার দেশের
শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ১১ টি ছবি। দেশীয় চলচ্চিত্রের দুর্দিনে এটি অবশ্যই বড় ধরনের প্রাপ্তি।
এবারের
ঈদে মুক্তি পাওয়া ১১ টি ছবি হলো, রাজকুমার, কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিক, সোনার চর, গ্রিণ
কার্ড, মায়া
দ্য লাভ ও মেঘনা কন্যা।
রাজকুমার
ঈদের ছবি হিসেবে বাণিজ্য ও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। এ ছবির গল্পের বিভিন্ন অংশ দর্শককে আবেগাপ্লুত করছে, শাকিবের অভিনয়ও পাচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা। ফলে স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে উল্লেখযোগ্য দর্শক সমাগম হচ্ছে। ঈদে সর্বাধিক ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’। সিনেমাটি দর্শকের সাড়াও পাচ্ছে বেশ।দর্শক চাপে আগের শোর সঙ্গে সনি স্কয়ারে একটি, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে দুটি এবং রাজশাহীতে বাড়ানো হয় একটি শো। সব মিলিয়ে সিনেপ্লেক্সে ‘রাজকুমার’ সিনেমার মোট শো দাঁড়ায় ১৭টি। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন, তার মধুমিতাতে শাকিব খানের ছবি মানেই উৎসবের আমেজ। সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে শাকিব খানের ছবি দিয়েই দুই পয়সা আয়ের মুখ দেখছে।
সোমবার সকালে সামাজিকমাধ্যমে শাকিব খান লিখেছেন-
‘অবিরামভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভালোবাসা পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। প্রিয় দর্শকদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ভালোবাসা।’
ওমর
সিনেমা হল সংখ্যায় দ্বিতীয় জায়গাটি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ‘ওমর’
এর দখলে। ২১টি হল পেয়েছে ছবিটি। জানা গেছে, প্রেক্ষাগৃহের
মতো দর্শক সাড়ায়ও ‘রাজকুমার’ এর
পরেই অবস্থান করছে এটি। বিশেষ করে ছবিটির গল্প দর্শক-সমালোচকদের মুগ্ধ করছে। সিঙ্গেল স্ক্রিনে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও মাল্টিপ্লেক্সে অগ্রিম
টিকিট বিক্রিতে রাজকুমারের পরেই ওমরের অবস্থান বলে জানিয়েছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। ওমর সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শরিফুল
রাজ, শহিদুজ্জামান
সেলিম, নাসির
উদ্দিন খান ও দর্শনা বণিক।
মোনা: জ্বীন টু
সিনেমা হল মালিকদের কথায় বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে ‘মোনা
: জ্বীন টু’ ছবিটি। তবে সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল মিলিয়ে ৮ পর্দায় চলছে ছবিটি। এ ছবির প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছবিটির
সাফল্য আমার প্রত্যাশার শতভাগেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। টিকিট সেলের দিক থেকে এ ছবিটি এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি হলে টিকিট অগ্রিম সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে, যা ঈদের অন্য কোনো ছবির বেলায় নেই। মোনা: জ্বীন
টুর অ্যাডভান্স টিকিটি সেলিং আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা দর্শক পরিবার নিয়ে বারবার ছবিটি দেখছে।’
সোনার চর
জায়েদ খান অভিনীত সোনার চর ঈদে সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ ছবিটি সন্তোষজনক ব্যবসা করছে বলে দাবি ছবির নায়ক জায়েদ খানের। তিনি বলেন, ‘ঈদে ছবিটি আমার প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছে। কারণ দর্শক বলছে এতে প্রকৃত একজন অভিনেতা হিসেবে জায়েদ খানকে খুঁজে পেয়েছেন তারা। আমি আমার প্রিয় ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আহারে জীবন
ছটকু আহমেদ পরিচালিত ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনীত ‘আহারে
জীবন’ ছবিটি ঈদে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে দর্শক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আক্ষেপ নির্মাতার। তিনি বলেন, এমন
শোয়ের টাইম বেঁধে দেওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দর্শকরা আমার ছবিটি তেমনভাবে দেখতে পারেনি।
এটি কমার্শিয়াল ছবি নয়
বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাজলরেখা
বাংলা
লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে
নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। কেবল
দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে সবচেয়ে বেশি মূল্যের ভিআইপি হলে চলছে ‘কাজলরেখা’। তারপরও দর্শকদের ভিড় খারাপ নয়। কাজলরেখার অনেক শো হাউসফুল গিয়েছে।
এ ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন,
‘এই ছবি যারা দেখছেন তারা রূপকথার যে গল্প শুনে আসছিলেন তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন। যারা দেখছেন তারা সবাই তৃপ্ত হয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির কোনো নেতিবাচক রিভিউ পাইনি।’ সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মন্দিরা
চক্রবর্তী, রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা, সাদিয়া
আয়মান, শরীফুল
রাজ, খায়রুল
বাসার, গাউসুল
আলম শাওনসহ আরও অনেকে।
দেয়ালের দেশ
মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়েও
প্রত্যাশা ছিল অনেকের। কিন্তু
মুক্তির পর সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মেলেনি সেভাবে।
এছাড়াও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া : দ্য লাভ’, কাজী হায়াতের ‘গ্রিন কার্ড’, ছবিগুলো এভারেজ দর্শক টানছে বলে জানান সিনেমা হল মালিকরা।
ঈদে সিনেমা সিনেপ্লেক্স হাউজ ফুল
মন্তব্য করুন
একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট পর্দায়।