নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮
‘একটু হেসে বলনা আপা কেমন হবে? এক গাড়ীতে পরিবারের সবাই রবে…’ গানটির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? আমাদের প্রিয় নায়ক সালমান শাহ অভিনীত পারিবারিক সুখ দুঃখের গল্প নিয়ে মালেক আফসারি পরিচালিত ‘এই ঘর এই সংসার’ ছবির। সিনেমায় প্রয়াত খলিল ছিলেন সালমানের শ্বশুড় চরিত্রের। সালমানের নায়িকা ছিলেন নবাগতা বৃষ্টি। ভাইয়ের চরিত্রে ছিলেন আলীরাজ। আলিরাজের বিপরীতে ছিলেন তমালিকা কর্মকার । তমালিকার চরিত্রটি ছিল নেগেটিভ চরিত্রের অর্থাৎ একজন উচ্চবিলাসি, লোভী, হিংসুকে নারী যে তাঁর স্বামীকে অবৈধভাবে টাকা রোজগারে বাধ্য করে । প্রয়াত দুই গুণী বুলবুল আহমেদ ও রোজী আফসারি ছিলেন ছবিতে আলিরাজ ও সালমানের বড় বোন ও দুলা ভাই চরিত্রে। রোজী ছিল গল্পের প্রান। ছবিটা আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর চাওয়া পাওয়া না পাওয়া’র বাস্তবের একটা চিত্র। সিনেমার ছোট বড় কোন চরিত্রকেই আপনি ফেলনা বলতে পারবেন না।
অনেকে বলেন পার্শ্ব চরিত্র বলতে কিছু নেই। কিন্তু নাটক- সিনেমার টার্মের খাতিরে হলেও এটাকে স্বীকার করতে হবে। মূল চরিত্রকে যারা বেগমান করে তাদেরই পার্শ্ব চরিত্র বলা হয়ে থাকে। একটা সময়ে পারিবারিক সিনেমার জোয়ারটা একটু বেশি ছিল। ক্রমে যা কমে গেছে। পারিবারিক সিনেমার ক্ষেত্রে যেটা হতো ফুল ফ্রেম ভর্তি অভিনয়শিল্পী থাকতেন। এটা নাটক কিংবা সিনেমা দু ক্ষেত্রের জন্যই বলা যায়। বর্তমান সময়ে গল্প বলার ঢং বদলিয়েছে। কে যেন সেদিন বললো এখন নাটক দেখলে মনে হয় ,‘ পৃথিবীতে শুধু তারা দু-জনই বাস করে। আশেপাশে আর কেউ নেই। তারাই চলে-বলে- রাগ- ভালবাসা- মিলন- বিচ্ছেদ করে। তাঁদের যেমন থাকে না পরিবার। তেমনি থাকে না বন্ধু- বান্ধব। নাটকের ক্ষেত্রে সব পরিচালকের একই উত্তর, বাজেট স্বল্পতার কারণে স্ক্রিপ্ট লেখার সময়ই এমনটা করা হয়। ছোট চরিত্র ছোট করা হয়। তবে সিনেমার ব্যাপারটা ভিন্ন।
সিনেমায় ক্রমে পার্শ্ব চরিত্রের অবমূল্যায়ন শুরু হয়েছে। পার্শ্ব চরিত্রের ক্ষেত্রে প্রথমেই বাবাদের কথা বলতে হয়। একটা সময়ে চলচ্চিত্রে বাবাদের নানাভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। কখনও কঠোর, কখনও স্নেহময়, কখনও আদর্শবাদী আবার কখনও তারা বিপথগামী। তবে বাবা অথবা সন্তান যেই বিপথগামী হোক না কেন সিনেমার শেষ পর্যায়ে তারা ফিরে আসে একে অন্যের কাছে। হয়তো যে কোনো একজন বা দুজনের মৃত্যুতে পরিসমাপ্তি ঘটে তাঁদের দ্বন্দ্বের। আবার কখনও ঘটে মধুরেন সমাপয়েৎ। বর্তমান সিনেমায় এই চরিত্রের শক্তিটা নেই বললেই চলে। নামকাওয়াস্তে কাউকে সিনেমায় নেয়া হয়। কিন্তু দাগ কাটার মতো কোন চরিত্র থাকে না।
একটা সময়ে সিনেমার চিত্রনাট্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাবার চরিত্র। পর্দায় দাপুটে বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফতেহ লোহানী, খলিল, গোলাম মুস্তাফা, দারাশিকো, আবদুল মতিন। আদর্শবাদী বাবার ভূমিকায় মানানসই ছিলেন আনোয়ার হোসেন, প্রবীর মিত্র, রাজ্জাক, আলমগীর, খান আতা। পরবর্তীতে রাজীব, আহমদ শরীফ খলনায়ক থেকে রাগী বাবার ভূমিকায় দর্শকপ্রিয়তা পান। বাবা- সন্তানের সম্পর্ক নিয়ে যে কত সিনেমা তৈরী হয়েছে। তা বলে শেষ করা যাবে না।
বাবার চেয়ে মায়ের চরিত্রও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কখনো কখনো নায়ক-নায়িকাকে ছাপিয়ে ‘মা’ হয়ে যান গল্পের মধ্যমণি। অনেকে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। দরিদ্র -খ্যাপাটে, মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন রানী সরকার। তেমনি সাদাসিধে মধ্যবিত্ত পরিবারের শহুরে মা কিংবা গ্রামের মা ভূমিকাতে মিনু রহমানের অভিনয় ছিল অনবদ্য। আবার অভিজাত ঘরের অহংকারী মায়ের চরিত্র মানেই ছিলেন মায়া হাজারিকা। কূটচাল, ষড়যন্ত্র এবং ছবির শেষে বরাবরই নিজের ভুল বুঝতে পারা রুপালি পর্দার মা ছিলেন মায়া হাজারিকা। বাংলার স্নেহময়ী মায়ের চরিত্র পর্দার ফুটিয়ে তোলার জন্য আয়েশা আখতার ছিলেন অনবদ্য। সারল্য, মমতা, সন্তানের জন্য আকুতির ক্ষেত্রে অনবদ্যভাবে মার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে আয়েশা আখতারের বিকল্প ছিল না। বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক জনপ্রিয় মা ছিলেন রোজী আফসারি। বোনের চরিত্রেও তিনি ছিলেন অসাধারণ। কয়েক দশক ধরে রওশন জামিল মন্দ মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে গেছেন। আনোয়ারার কথা আলাদা করে কিছু বলার নেই। শুধু মাত্র মা নন। দাদির চরিত্রেও তিনি অনবদ্য। সহজ, সরল, সাদাসিধে, আটপৌরে, মধ্যবিত্ত মায়ের চরিত্রে রেহানা জলি মিলে মিশে একাকার হয়ে যান। রেবেকা, ডলি জহুর, সুমিতা দেবী, রিনা খান, সুচন্দা, শর্মিলী, দিলারা জামান, মিরানা জামান, সুলতানা জামান, শবনম, শাবানা, ববিতা, সুচরিতা, সুজাতাসহ অনেকেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক ভালোবাসা ও জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।
শুধু যে মা-বাবার চরিত্র শক্তিশালি ছিল তা নয়। একটা সময়ে গল্পের খাতিরে ভাই বন্ধু সহ আরও অনেক ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের সৃষ্টি ছিল গল্পে। সিনেমা শুধু একজন নায়ক- নায়িকার খাতিরেই হিট নয়। সিনেমার সুদিন ফেরাতে পার্শ্ব চরিত্রগুলোও শক্তিশালি করা অতীব জরুরি। নামকাওয়াস্তে কাউকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে সিনেমা ক্রমশ দুর্বল করা ছাড়া আর কিছুই হয় না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ
সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই
নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।
এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী
প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার
নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো
ভয় নেই।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার
ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে
বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে
এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি
কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা
যায়নি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা
খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল
৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ডিপজল নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ
শুরু হয়।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা
পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল
থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ
পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।
এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি
আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে
৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।