নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১২ জুলাই, ২০১৮
জাহ্নবী কাপুর। প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী কন্যা। মায়ের পদচিহ্ন অনুসরণ করে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন জাহ্নবী। চলতি বছরের ২০ জুলাই মুক্তি পাবে তাঁর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’। রোমান্টিক ট্র্যাজেডি ধাঁচের এই ছবিতে তিনি বলিউড তারকা শহীদ কাপুরের ভাই ঈশান খট্ররের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। ছবির কাজ চলাকালীন সময়ে মাকে হারিয়েছেন জাহ্নবী। মারাঠি ছবি ‘সাইরাত’ এর রিমেক ‘ধড়ক’ ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি ছবির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র সঙ্গে কথা বলেছেন জাহ্নবী। সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার হলো-
‘ধড়ক’ ছবিতে রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জাহ্নবী: আমি মূলত অভিনয়টা উপভোগ করি বলেই এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি। ‘ধড়ক’ না হলে ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড়, বিশেষ করে উদয়পুরের মতো ছোট্র একটি শহর সম্পর্কে জানতে পারতাম না। এই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ‘মেওয়াড়ি’ ভাষার কিছুটা রপ্ত করতে পেরেছি। এটা খুব বড় এবং মজার অভিজ্ঞতা ছিল।
মারাঠি ছবি ‘সাইরাত’ কি দেখেছেন?
অবশ্যই!এমন একটি আইকনিক ছবি দেখা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছবিটি যখন দেখছিলাম, আমি তখন চরিত্রগুলোতে ডুবে গেছি। বিশেষ করে ছবির ক্লাইম্যাক্স আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে, যা ছিল অভাবনীয়।
দু’টি ছবিতে যে সামাজিক শ্রেণী বৈষম্য দেখানো হয়েছে, এ বিষয়ে আপনি কী ভাবেন?
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি বলবো এটি এক ধরনের সামাজিক পাদুর্ভাব। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টি আমি ‘সাইরাত’ ছবি দেখে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। এছাড়া আমি এ বিষয়ে কিছু প্রবন্ধও পড়েছি। ‘ধড়ক’ করার সময় পরিচালক শশাঙ্ক খাইতান এ বিষয়ে আমাদের অনেক ধারণা দেয়। কিছু ছবিতে ভালোবাসার জন্য মৃত্যুকে খুব গৌরবোজ্জ্বলভাবে দেখানো হয়। যদিও বিষয়টি মোটেও রোম্যান্টিক নয়।
‘ধড়ক’ মুক্তির সময় মানসিকভাবে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। এমন পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করেছেন?
কাজের মধ্যে ডুবে থেকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করেছি। কাজের মধ্য মানসিক শক্তি পাই। আমি মনে করি একমাত্র কাজই আমাকে যাবতীয় কষ্ট ভুলে থাকতে সাহায্য করে।
ঈশান খট্রর ও পরিচালক শশাঙ্ক খাইতানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
তাঁদের সঙ্গে কাজ করা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ যে, শশাঙ্কের মতো একজন পরিচালক আমার প্রথম ছবির নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর দিক নির্দেশনা আমি অনুসরণ করেছি। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যেভাবে সে জীবনটাকে দেখে, মানুষের সঙ্গে মেশে- সবই আমাকে ভাল মানুষ হতে সাহায্য করেছে।
পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে পানির বোতল, আপনার সব কিছুতেই গণমাধ্যমের দৃষ্টি...
আমি জানি না আমি এই সম্মানের কতটুকু পাওয়ার যোগ্য। এর যা কিছু পাচ্ছি সবই আমার মা শ্রীদেবী এবং বাবা বনি কাপুরের কল্যাণে। আর এখন পাচ্ছি করণ জোহরের মতো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করে। যদিও অনেক নেতিবাচক কথাও শুনতে হচ্ছে। তবে আমি এসবে পাত্তা দিই না। সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি।
আপনার সামনে কি ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে?
এখনো জানি না। কখনো এ বিষয়ে ভাবিনি। আমি ভীষণ ভাগ্যবান যে এখনো কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হইনি। সামনে দর্শক আমাকে কিভাবে নেয় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
পরবর্তী পাঁচ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
প্রচুর কাজ করতে চাই। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। এছাড়া নিজের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দর্শকদের সংস্পর্শে থাকতে চাই।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।