নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০১৮
সত্তর দশকে নির্মাণের খাতায় নাম লেখান নায়ক রাজ রাজ্জাক। সিনেমার নাম ‘অনন্ত প্রেম’। প্রথম ছবিতেই তুমুল বিতর্ক। কারণ সে ছবিতে সে সময় চুম্বন দৃশ্য ছিল। প্রযোজনায় তিনি যেমন সফল ছিলেন, তেমনি পরিচালনায়ও কম যান না। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অভিযান’, ‘বদনাম’, ‘সৎ ভাই’, ‘চাপা ডাঙার বউ’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’ সহ অসংখ্য সিনেমা। তার সিনেমার মূল বিষয় ছিল সাহিত্য ও সামাজিক প্রেক্ষাপট। তিনি অসংখ্য নাটকও নির্মাণ করেছে। তার হাত ধরেই তার দুই ছেলেও পরিচালনায় এসেছেন।
নব্বইয়ের দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দেন নায়ক আলমগীর। ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করেন ‘নিষ্পাপ’। জুটি করেছিলেন জসিম ও চম্পাকে। এরপর জসিম ও রোজিনাকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ‘বউমা’। ১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণে বিরতী নেন। দীর্ঘকাল পর এ বছর মুক্তি পায়, ‘একটি সিনেমার গল্প’। তবে তার ভাবনা যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি।
বাংলা চলচ্চিত্রে রাজ্জাকের চেয়ে বড় স্টার বলা হয় নায়ক রহমানকে। ‘নিকাহ’ নামে একটি বাংলা ছবি পরিচালনা করেছিলেন। তবে তাঁর আগে ‘কঙ্গন’, ‘দর্শন’, ‘যা বাজে শাহনাই’ নামে তিনটি হিন্দী ছবি পরিচালনা করেন।
রহমানের দেখানো পথেই হেটেছিলেন আজিম। স্বাধীনতার পর তিনি পরিচালকের চেয়ারে বসেন। ‘গাদ্দার’, ‘টাকার খেলা’,‘বদলা’,‘জীবনমরণ’ এমনকি প্রথম রঙিন ছবি ‘প্রতিনিধি’ করেও তিনি পরিচালনাশৈলী দেখান।
১৯৮৭ সালে ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’ ছবি বানিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন বুলবুল আহমেদ। প্রথম ছবিটিই ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তেবে পরবর্তী ছবিগুলো সেভাবে আলোচনা তৈরী করতে পারেনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক সোহেল রানা। এ ছবিতেই নায়ক হিসেবে দেখা যায় তাকে। ‘এপার ওপার’, ‘জীবননৌকা’র মতো জনপ্রিয় সামাজিক-রোমান্টিক ছবি নির্মাণ করেন ড্যাশিং হিরো। নিজের প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্মস থেকেই পরবর্তীতে ভাই রুবেলসহ অনেকের পরিচালনার শুরুটা হয়।
উজ্জল সর্বশেষ ‘দুর্ধর্ষ সম্রাট’ পরিচালনা করেছেন ২০০২ সালে। অ্যাকশন ছবি নির্মাণে তিনি বেশ দক্ষতা দেখিয়েছেন। তার সিনেমায় কলকাতার নায়িকারাও অভিনয় করেছেন। ‘শক্তি পরীক্ষা’, ‘তীব্র প্রতিবাদ’, ‘পাপের শাস্তি’ তাঁর পরিচালনার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি।
নায়ক ও প্রযোজক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন হেলাল খান । ২০০০ সালে ‘আশা আমার আশা’ নির্মাণ করে শুরু করেন। কিন্তু এক ছবিতে শখ মিটিয়ে অন্যপথে হাটেন।
দেড় দশক অভিনয়ের পর রুবেল নাম লেখান পরিচালনায়। ২০০১ সালের ছবি ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’ থেকে পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে পথচলা শুরু। তবে তার পরিচালনার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ‘বিচ্ছু বাহিনী’। তবে তিনি ‘অন্ধকারে চিতা’,‘রক্তপিপাসা’,‘প্রবেশ নিষেধ’,‘বিষাক্ত চোখ’- এর মতো অশ্লীল সিনেমাও নির্মাণ করেছেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশকিছু ছবি নির্মাণ করেছেন। অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে সরে তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমা নির্মাণ করেন। ‘বাবা আমার বাবা’ এবং ‘আমার স্বপ্ন’ নামের দুটি সিনেমাই পরিচালনা করেছিলেন। ২০০৮ সালের পর আর নির্মাণে হাত দেননি।
‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ ও ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ নির্মাণ করেছিলেন অনন্ত জলিল। এরপর শেষ করে ষষ্ঠ ছবি ‘মোস্ট ওয়েলকামে’ও তিনিই পরিচালক। এরপর অবশ্য পরিচালনা ও অভিনয় থেকেই অব্যাহতি নিয়েছেন অনন্ত।
ক্যারিয়ারের ৩০ বছর পরে পরিচালনায় আসেন বাপ্পারাজ। ২০১৫ সালে ‘কার্তুজ’ নামে একটি অ্যাকশন ছবি পরিচালনা করে পরিচালকের খাতায় নাম লেখান। পরবর্তীতে পরিচালনায় আর দেখা যায়নি তাকে।
বাবার হাত ধরেই ইয়ুল রায়হান পরিচালনায় নাম লেখান। ‘রাইয়ান’ সিনেমাটি ব্যবসায়িক সফলতা না পেলেও প্রশংসা পেয়েছেন।
নায়ক হয়ে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ছোটপর্দার অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। ‘প্রার্থনা’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। এ বছর ‘পাপ কাহিনী’ নামে একটি চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের
নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ
কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি
হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে
বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।
এর আগের নির্বাচনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনয়শিল্পী
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন করে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ
আক্তার। একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে
গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ভোটে এই
পদের জটিলতার নিরসন হয়নি। ভোট শেষে এই পদের জটিলতা সমাধানে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ
ও জায়েদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে নিপুণ দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। সমিতির দায়িত্ব
পালনের পুরো দুই বছর সময়ে জায়েদ খান সমালোচনা করেন নিপুণের। হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি
নিপুণও, তিনি জায়েদের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিল্পী সমিতির এসব
সদস্যের অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিরক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ
মানুষেরাও।
গেল মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার এবারও চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জানান, এই মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি আর অংশ নেবেন
না। হঠাৎ করে সভাপতির এমন ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েন নিপুণ। এমনকি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের
সাইমন সাদিকসহ কয়েকজন সদস্যের সরে যাওয়াটা এবারের নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলে নেতিবাচক
প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে মিশা-ডিপজল তাদের গুছিয়ে ফেললেও নিপুণকে সভাপতি প্রার্থী
খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। অনেক তারকাকে রাজি করানোর চেষ্টার খবর এলেও শেষ পর্যন্ত দেখা
যায়, নিপুণ সভাপতি হিসেবে পান একসময়ের আলোচিত নায়ক মাহমুদ কলিকে। তারপরও যেন নির্বাচনী
মাঠ জমাতে পারেননি তিনি। প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মিশা-ডিপজল প্যানেলের প্রার্থীদের
চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী ছিল বলেও কেউ কেউ মত দেন, যা নিপুণের জন্য ভালো ফল
বয়ে আনেনি।
তা ছাড়া গেল মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে যারাই ছিলেন, তাদের মধ্যে শাহনূর,
নানা শাহ ও ডি এ তায়েবের মতো অনেকেই যখন তাঁকে ছেড়ে মিশা-ডিপজলের সঙ্গে যোগ দেন, তা
সবচেয়ে নেতিবাচক ছিল। এসব নির্বাচনের সময় ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে।
২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণ সভাপতি হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন
জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চনকে। এ বছরের মার্চে হঠাৎ করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন
নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে
টাকার ছড়াছড়ি হয়। ভোটাররা প্রতিটি প্যানেল থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। হঠাৎ করে
সভাপতির এমন বক্তব্য সাধারণ সম্পাদকসহ সেই প্যানেলের জন্য মন্দ বার্তা বয়ে আনে, যা
ভোটে প্রভাব ফেলেছে।
এবারের মেয়াদের নির্বাচন শুরুর আগ মুহূর্তে নিপুণ তার ক্ষমতাবলে
কয়েকজনকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছেন, এমন কথা চলচ্চিত্রের অনেকে বলেছেন। আবার ফেসবুক
দেওয়া পোস্টকে ঘিরে সদস্যপদ বাতিলের ব্যাপারটিও নিপুণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি।
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের
সদস্যপদ এবং তার নির্বাচনের বিষয়টিও নিপুণকে সমালোচনায় ফেলে। নিপুণের প্যানেল থেকে
নির্বাচন করার ঘোষণা যখন আসে, তখন চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেফাঁস
মন্তব্যও নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলের জন্য নেতিবাচক হয়েছে।
গেল মেয়াদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা
শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে নিপুণের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে। দুজন দুজনকে নিয়ে আপত্তিকর
মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। সেই পীরজাদাকে এবার দেখা গেছে কলি-নিপুণ প্যানেলে। হঠাৎ করে
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে পরিচিত পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলানো
এবং একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে নিপুণকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
তৈরি করে। কারও কারও মতে, নিপুণ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন,
যা মোটেও ঠিক হয়নি। জোর খাটিয়েছেন।
নিপুণের এমন আচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় গেল মেয়াদে তারই প্যানেল থেকে
নির্বাচিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা শাহনূরের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। এবার তিনি নিপুণের
বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জোর করে
কারও মনে স্থান পেতে যাবেন না। আপনাকে যদি তাঁর প্রয়োজন থাকে, তার মনে এমনিতেই আপনার
জন্য জায়গা থাকবে।’ অনেকে ফেসবুকে এমনও লিখেছেন বিগত সময়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন
বা অন্য অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা নিপুণ ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণ করেছেন।
কারও কারও মতে, গেল মেয়াদে বিজয়ী হয়ে আসার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি
রক্ষা করতে পারেননি নিপুণ। তারই প্যানেলে সদস্য নানা শাহ এ বিষয়টি সবার সামনে তুলে
ধরেছেন এভাবে..
‘আগেরবার আমি এবং ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম।
ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা
নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন, শিল্পী সমিতি সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু
নিপুণ কথা দিয়েছিল ছয়টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি
সিনেমায় এন্ট্রি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। নিপুণ কথা রাখেনি। তার
প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে
ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই।সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য
শিল্পী সমিতি দুই বছরে কী করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।’
অন্যদিকে ডিপজল এবং মিশা সওদাগরদের প্রস্তুতিও এবার তুলনামূল বেশি
ছিল। কমিটিতে না থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাধারণ শিল্পী তথা ভোটারদের সঙ্গে
যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল নিপুণ এবং তার প্যানেলের অন্য সদস্যদের।
বিশেষ করে সভাপতি পদে মাহমুদ কলির দীর্ঘদিন সংগঠনের কার্যকর যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে
সচারচর দেখা যেত না কোনো আয়োজনে। পর্দায়ও দীর্ঘদিন তাঁর উপস্থিতি ছিল না। প্রায় বিস্মৃতিতে
চলে গিয়েছিলেন এই তারকা।
এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কলি ও নিপুণ প্যানেল থেকে একটি পদ ছাড়া বাকি আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিপুণ-কলি প্যানেল
মন্তব্য করুন
অবশেষে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হয়েছে ভোটগ্রহণ।
আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফল ঘোষণা করা হয়।
এবার নির্বাচনে ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে কলি-নিপুন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা মিশা
সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল
ভোট পেয়েছেন ২২৫টি। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি
পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরাজয় মেনে নিতেই দেখা গেল নিপুনকে। শুধু
তা-ই নয়, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তিনি।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারব, এটা চিন্তাও
করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৯টি ভোট পেয়েছি। ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি। শিল্পী
সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন—তারা আমাকে ভালোবাসেন। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু
হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিপুণ।
শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়। এ
দিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ৪৭৫ জন শিল্পী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন।
এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ প্রার্থী।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটি জোটে ছিলেন মিশা ও ডিপজল।
আরেক প্যানেলে ছিলেন মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার
হিসেবে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। শনিবার সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী।
এ সময় সাংবাদিকদের নিপুণ বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারবো সেটা আমি চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাবো।’
এই নায়িকা বলেন, ‘আমার ২৬টা ভোট নষ্ট হয়েছে, ২০৯টি ভোট আমি পেয়েছি। যেখানে ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি ভোট। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তারা আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে এত সম্মান দেওয়ার জন্যে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে নিপুণ আরও বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ২০২৪-২৬ নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন তাদের। আমার মনে হয় আমার টার্মে থেকে আমি খুব সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করেছি।’
নিপুণ আক্তার অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল
মন্তব্য করুন
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।
১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।
তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।
কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন ফলাফল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। শনিবার সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী।
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।