নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০১৮
চলচ্চিত্রের এটি খুব পরিচিত ঘটনা। প্রতিষ্ঠিত নায়ক- নায়িকারা নানা কারণে ছবি ছেড়ে দেন। সুযোগ পেয়ে যায় নতুন কেউ। দেখা যায়, সেই সুযোগই ভাগ্য খুলে যায় তার। বনে যান তারকা।
রহমানের ছবিতে রাজ্জাক:
নায়ক রাজ রাজ্জাকের কথাই ধরা যাক। সেই ১৯৬৬ সালের কথা। জহির রায়হান সিদ্ধান্ত নিলেন হিন্দু পুরাণ মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা-লখিন্দর উপাখ্যান নিয়ে ছবি বানাবেন। প্রযোজকের পছন্দ রহমান। রহমান তখন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে সমান জনপ্রিয়। কিন্তু গল্প শুনে না করে দিলেন। এমন জনপ্রিয় নায়ক ছবির অর্ধেক সময় ভেলায় শুয়ে থাকবেন! রহমানের না করাতে বিপদে পড়লেন পরিচালক। হঠাৎ নায়ক কোথায় পাবেন! শুটিং ডেটও তো প্রায় ঠিক হয়ে আছে। হঠাৎ মনে পড়ল রাজ্জাকের কথা। অভিনেতা খলিল এবং প্রযোজক ইফতেখারুল আলম রাজ্জাককে পছন্দ করতেন। কয়েকবার দেখেছেন ছেলেটাকে। সুযোগের অপেক্ষায় ঘুরছেন ওপার বাংলা থেকে এসে। সেটাও জানা। ছবিতে রাজ্জাকের অভিনয় প্রশংসিত হয়। ‘বেহুলা’র আগে ছোট চরিত্রে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এই ছবি করে রাতারাতি রহমানেরই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেলেন রাজ্জাক।
শাকিবের ছবিতে বাপ্পী:
পরিচালক জুটি শাহীন সুমন জুটিকে নিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখে জাজ মাল্টিমিডিয়া। তারা তিনটি ছবি করবে পরপর। পরিচালক সমিতিতে ছবিগুলোর নাম নিবন্ধনও হয়-‘ভালোবাসার রং’,‘অন্যরকম ভালোবাসা’ ও ‘ভালোবাসা আজকাল’। শুরুতে সবকটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিলো শাকিব খানের। অগ্রিম পারিশ্রমিকও পেয়েছিলেন শাকিব। প্রথম ছবি ‘ভালোবাসার রং’- এর গান ও গল্প তৈরীর পর যোগাযোগ হয় শাকিব খানের সঙ্গে। কিন্তু কোনমতেই শাকিব শিডিউল দিতে পারছিলেন না। ২০১১ সালের শিডিউল আগেই বুক করা। প্রযোজক অপেক্ষা করতে নারাজ। শাকিব অনুরোধ করলেন অন্য কাউকে নিয়ে কাজ করতে।
শুরু হলো নতুন মুখ খোঁজা। শত শত ছেলে- মেয়ের সপ্তাহব্যাপি অডিশন নিয়ে বাপ্পী ও মাহিকে সিলেক্ট করা হলো। প্রথম ছবি ‘ভালবাসার রঙ’ মুক্তির পর হিট। রাতারাতি তারকা বনে গেলেন বাপ্পী। একাধিক ছবির অফার পেতে শুরু করলেন।
রিয়াজের ছবিতে শাকিব:
২০০৪ সালের কথা। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে ‘আমার স্বপ্ন তুমি’ বানাবেন হাসিবুল ইসলাম মিজান। ফেরদৌস আর শাবনূর আগেই রাজি হলেন। রিয়াজকে সে ছবিতে নেয়ার কথা চলছিলো। কিন্তু শাবনুর রিয়াজকে এড়িয়ে গেলেন। তখন তাদের দ্বন্ধ চলছিলো। মিজান অনেক বুঝিয়ে শাবনুরকে রাজি করালেন। এমন ঘটনা শুনে রিয়াজ বেকে বসলেন। সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি ছবিটা করছেন না। বিপাকে পড়লেন পরিচালক। কাকে নেবেন? তখন ইন্ডাস্ট্রিতে ত্রিভুজ প্রেমের ছবি করার মতো রিয়াজ- ফেরদৌস ছাড়া আর আছে শাকিল খান। কিন্তু শাকিল খানের ক্যারিয়ার তখন ভালো যাচ্ছিল না। মিজানের সহকারী বললেন শাকিব খানের কথা। পাঁচ বছর অভিনয়ে, তবু তারকা খ্যাতি পাচ্ছিলেন না। আমিন খান, আলেকজান্ডার, শাহীন আলমদের সঙ্গে কাজ করে বেশ কিছু হিট ছবি উপহার দিলেও সাফল্যের কৃতিত্ব পাননি। মিজান শাবনূরকে জানালেন শাকিবের কথা। শাবনূর হ্যা বলে দিলেন। আর বললেন ,‘ওর মধ্যে চেষ্টা আছে। ও ভালো সুযোগ পেলে অনেকদূর যাবে।’ মিজান শাকিবকে জানালেন। শাকিব জানালেন,‘টাকা পয়সা কোন ব্যাপার না। এমন তারকা সমৃদ্ধ ছবিতে কাজ করতে পারবো সেটাই অনেক।
শুরু হলো শুটিং। সবাইকে তাক লাগিয়ে অভিনয় করলেন শাকিব। ডাবিং করার সময় পুরো ছবি দেখে শাবনূর মুগ্ধ। তিনি পরিচালককে বললেন,‘এই ছবির পর শাকিব সুপারস্টার হয়ে যাবে।’ সত্যিই এমনটা হলো। যখন ছবিটি মুক্তি পেল। সব হিসেব বদলে গেল। পাল্টে গেল শাকিবের ভাগ্য। দর্শক দারুনভাবে গ্রহণ করলো শাকিবকে।
নাঈমের ছবিতে ওমর সানী:
নাঈম- শাবনাজ তখন সুপারহিট জুটি। শেখ নজরুল ইসলাম তাদের নিয়ে ‘চাঁদের আলো’ ছবি নির্মাণ করতে চাইলেন। চিত্রনাট্য প্রস্তুত, শুটিংয়ের তারিখও চূড়ান্ত। সিনিয়র প্রযোজক ও পরিচালক দারাশিকো নজরুলকে তার অফিসে ডাকলেন। ওমর সানী অফিসে বসা। দারাশিকো সানীকে দেখালেন। সানী মন খারাপ করে বসে আছে। নজরুলকে বসতে বললেন দারাশিকো। তারপর সানীকে দেখিয়ে বললেন, ‘নজরুল, এই ছেলেকে নিয়ে ‘সুজন বাঁশি’ ছবি শুরু করেছিলাম। কয়েক দিন শুটিংও হয়। কিন্তু তোজাম্মেল হক বকুলের কথায় ছবিটি বন্ধ করে দিলাম। বকুলকে দিয়ে ‘দিলরুবা’ বানিয়ে কী পরিমাণ লস খেয়েছি তা তো তুমি জানো। ছেলেটিকে নিয়ে নতুন ছবি বানাব সেই সামর্থ্য নেই। শুনেছি, তুমি নতুন ছবি করছ। যদি পারো ওকে একটু সুযোগ করে দাও। আমি কৃতজ্ঞ থাকবো তোমার কাছে’।
দারাশিকোকে প্রচন্ড সম্মান করতেন নজরুল। সানীকে বাসায় যেতে বললেন। সময়ের আগে সানী হাজির। বাসায় ঢুকেই ভয় পেয়ে গেলেন। এ টি এম শামসুজ্জামান, রাজীব ও মিজু আহমেদের মতো অভিনেতারা সেখানে বসা। সবার সঙ্গে সানীকে পরিচয় করিয়ে দিলেন নজরুল। তাদের সামনে কয়েকটি দৃশ্য অভিনয় করতে বললেন। অভিনয় দেখে উপস্থিত সবাই প্রশংসা করলেন। কিন্তু শরীর নিয়ে ঝামেলায় পড়লো। সানী তখন বেশ মোটা। গল্পের নায়ক চিকন। সানী ১৫ দিন সময় নিলেন। এক কেজি কমিয়ে দেখা করতেন পরিচালকের সঙ্গে। এভাবে ১০ কেজি মাত্র কয়েকদিনে কমিয়ে ফেললেন। সানীকে দেখে সবাই প্রশংসা করলেন।
শুটিংয়ে পরিচালকের ছিল বাড়তি চ্যালেঞ্জ। প্রতিষ্ঠিত জুটিকে বাধ দিয়ে নতুন কাউকে নেয়া! ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেল ‘চাঁদের আলো’ প্রথম সপ্তাহেই সুপারহিট। ছবির গান ভীষণ জনপ্রিয়তা পেল। আর সানীরও ভাগ্য বদলে গেল, হয়ে গেলেন তারকা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।
১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।
তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।
কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন ফলাফল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ
সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই
নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।
এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী
প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার
নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো
ভয় নেই।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার
ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে
বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে
এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি
কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা
যায়নি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা
খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল
৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ডিপজল নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।