কালার ইনসাইড

‘এই ছবিতে আমি ন্যাকামি করিনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। নিজের সংসারের প্রয়োজনে মাঝে বেশ খানিকটা সময় বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। আবার ফিরেছেন শুটিংয়ে। ব্যস্ত আছেন নতুন সিনেমার প্রচারণায়। বর্তমান সময়ের গল্প নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের।

বাংলা ইনসাইডার: ঈদে কয়টি সিনেমা মুক্তি পাবে?

মাহি: তিন বছর পর আমার কোন ছবি ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। ‘জান্নাত’ ও ‘মনে রেখ’ দুইটা তো এখন পর্যন্ত কনফার্ম শুনছি।

‘জান্নাত’ কেমন হলো?

আমার জীবনের অন্যতম সেরা কাজটি করলাম। এর আগে আমি নিজের কোন সিনেমা দেখে এত সন্তুষ্ঠ হইনি। এই ছবিটা দেখে আমার মনে হয়েছে জীবনে প্রথম কোন অভিনয় করলাম, যেখানে আমি ন্যাকামি করিনি। আর এই প্রথম কোন সিনেমা আমি হলে পরিবার ও শ্বশুড় বাড়ির মানুষদের নিয়ে যাবো। আমার মনে হয় সবাই সিনেমাটি দেখতে পারবে।

পরিচালকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী?

মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সঙ্গে প্রথম কাজ। ওনার কাজ করতে গিয়ে আমার নিজেরই প্রেশার ফিল হত। উনি একদমই আমাকে কিছু বলতেন না। সকালে কল টাইম দেয় না। একদম আমার মতো করে ফ্রি করে দিয়েছেন। আমি যেন আমার কমফোর্ট জোন দিয়ে আমার সেরাটা দিতে পারি। আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে স্পটে হজির হতাম। আরেকটা ব্যাপার, এই পরিচালকের এর আগের ছয়টি ছবিতে শাবনুর আপু অভিনয় করেছেন। সাত নাম্বার ছবিতে আমি। শাবনুর আপুর জায়গা তো কখনোই নিতে পারবো না। তিনি তো লিজেন্ড। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি পরিচালকের মান রাখতে। যেন শাবনুর আপুর সঙ্গে কাজ করে যে কমফোর্ট তিনি পেতেন। সেটা যেন আমি দিতে পারি। সবকিছু মিলিয়ে অদ্ভূত মেধাবী একজন মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি।

সাইমনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী?

সাইমনের সঙ্গে এর আগেও অনেক কাজ হয়েছে। সত্যি বলতে এত বন্ডিং এর আগে হয়নি। তখন দুজনেই নতুন ছিলাম। যে যার মতো কাজ করতাম। এই সিনেমায় আমরা একে অপরের সেরাটা যেন বের করতে পারে। সেই চেষ্টা করেছি। এটা পুরো ইউনিটের একটি সিনেমা। আর সাইমন ড্রামাটিক্যাল অভিনয়ে সেরা। যেকোন সিরিয়াস দৃশ্যে ও অনেক বেশি পরিপক্কতা দেখায়। যা আমি ওর কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি।

সিনেমাটি কেন দেখবে দর্শক?

সব সময় মাথায় একটা প্রেশার থাকে। চিন্তা হয়, আমার ছবি কেউ দেখবে না। কিনা হলে গিয়ে কান্নাকাটি করতে হয়। দেখা গেল, কেউ এলো না আমার ছবি দেখতে। প্রত্যেকটা ছবি রিলিজের আগেই মনে হয় হয়তো আমি পরিচালক আর কলাকুশলিরা শুধু হলে থাকবো। আর কেউ নেই আশেপাশে।

এটা কী এমন কিছু হতে যাচ্ছে?

আমি দর্শক হিসেবে বলবো ছবিটা খুব ভালো হয়েছে। এ ধরনের ছবি আমাদের দেশের সিনেমার অস্তিত্ব। এই ধরনের সিনেমাই মানুষ দেখতে চায়। দর্শক হিসেবে নিজের ভালো লেগেছে। ছবিটা হিট করবে কিনা ফ্লপ করবে। এটা দর্শক জানে। কিন্তু ফ্লপ হলেও দু:খ নেই। কারণ, এটা একটা ভালো ছবি। ছবিটা করে আমি তৃপ্ত। যেখানে আমি অভিনয়টা করতে পেরেছি। নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যদি সিনেমাটি দেখে। তাদেও ভালো লাগবে। সবাই তার সিনেমাকে ভালো বলে। আমি কিন্তু খারাপও বলি। সেক্ষেত্রে বলবো সিনেমাটি দেখা উচিত সিনেমাপ্রেমীদের।

সিনেমায় চরিত্রটা কেমন?

আমি ছটফটে টাইপের মেয়ে। সেটা যারা আমার আশেপাশে থাকে, তারা জানে। আমার ক্যারেক্টারটা এমন হবে। অমন হবে। এমন কথা আমি সাধারণত বলি না। কিন্তু ‘জান্নাত’ চরিত্রটার কথা বলবো। এখন পর্যন্ত যত সিনেমা করেছি। সবগুলো থেকে ভিন্ন। মেয়েটা হিজাব পড়ে। খুব ধার্মিক একটি মেয়ে। খুব কম কথা বলে। যতটকু শান্ত ওই সিনেমায় দেখানো হয়েছে। বাস্তবে এর পুরোটাই আলাদা। আমি এত ধীরে সুস্থে থাকতে বা কথা বলতে পারি না। এটা সমস্যা। সেখান থেকে নিজের একদম বিপরীতে গিয়ে অভিনয়টা করতে হয়েছে। ’

শাকিব খানের সিনেমাও আসবে এবার ঈদে। সেখানে মাহি- সাইমনের সিনেমার আকর্ষণ কতটা থাকবে দর্শকের কাছে?

আমি বলবো এই সিনেমাটি একবার কেউ দেখলে সে আরেকবার দেখতে চাইবে। তার বন্ধু কিংবা পরিবারকে নিয়ে সে সিনেমাটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করবে। আর আমি বলবো দরকার হয় শাকিব ভাইয়ের সিনেমা আগে দেখুন। তারপর আমাদেরটা দেখুন। ঈদ তো একদিন না। উৎসবে সব ধরনের সিনেমাই দেখুন। আর অনেকদিন পর আমার আর সাইমনের সিনেমা আসছে। আমার আর সাইমনের যারা দর্শক আছে। তাদেও জন্য ঈদের উপহার। তাঁেদর দেখা উচিত।  সিনেমাটি ঠিক ‘পোড়ামন’ না হলেও ওইটার অরেকটা ধার ঘেষে গেছে। আমরা তো আসলে মেসেজ পেতে সিনেমা দেখতে যাই না। বিনোদন পেতে যাই। তবু বলবো সিনেমাটি অনেক মেসেজ দিবে।’

‘জান্নাত’ সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পাবে ‘মনে রেখ’ সিনেমাটিও। সেটা নিয়েও কী বলবেন?

এই প্রথম হার্টবিট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করলাম। হার্টবিট হলো অনেক বড় প্রডাকশন হাউজ। আমি প্রথম থেকেই সিনেমাটির সঙ্গে কাজ করতে চাইতাম। তখন শুনতাম তারা শুধু শাকিব খানকে নিয়েই সিনেমা নির্মাণ করে। ফাস্ট টাইম তারা শাকিব খানকে ছাড়া আমার উপর নির্ভর করে সিনেমাটি বানিয়েছেন। এর জন্যই আমি গর্বিত। সিনেমাটি করার সময় অনেক ভালো লাগার ব্যাপার আছে। অনেক স্মৃতি আছে। কিন্তু আমি বলবো হার্টবিটের সঙ্গে কাজ করতে পারলাম। এটাই আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।

সিনেমায় জুটি একটি ব্যাপার। সেক্ষেত্রে নিয়মিতই নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে কী সফল আপনি?

প্রথমত এটা পরিচালক ও প্রযোজকরা নেন। আমার কোন হাত নেই। তবে এখন আমি চিন্তা করেছি, একটু বেছে পুরাতনদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবো। কারণ, দর্শকের এমন চাওয়াটা আমার কানেও নিয়মিত আসে। তাছাড়া নতুনদেও নিয়ে কাজ করতে গেলে। পুরান যে আছে। কোন খারাপ কিছু হলে দায়ভারটা তার উপরই পরে।

নিজের প্রযোজনার খবর কী ?

ওইটা আসলে আমি যখন জাজে ছিলাম। তখন ঘোষণা দিয়েছিলাম। কারণ, তখন তারা আমার মাথার উপর ছিল। আমার খুব বেশি টেনশন ছিল না। কিন্তু এখন ওই ভাবনাটা নেই হয়ে গেছে। নিজের একার কিছু করতে হলে আরও পরিপক্কতা দরকার।  

সংসার জীবন কেমন চলছে?

এইতো গতকালও ঝগড়া হলো। আজ আবার মিটে গেল। এমনটা নিয়মিত হতে থাকে। তবে অপুর সহ্য শক্তি বেশ। আমাকে সহ্য করতে পারে।

সামনে কী সিনেমা আসছে?

মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘তুই শুধু আমার’, ‘পবিত্র ভালবাসা’, ‘অন্ধকার জগৎ’ সিনেমাগুলো। আর শুটিংয়ে ব্যস্ত ‘ও মাই লাভ’, ‘অবতার’ সিনেমা নিয়ে।




বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের মারধর: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি। 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।

এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হন।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   আল্টিমেটাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন