নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৮
যারা কখনও নাচেননি তাদের নিয়ে নাচ, যারা কখনও অভিনয় করেননি তাকে দিয়ে অভিনয়টাই যেন এ সময়ের অন্যতম সেরা চমক! কন্ঠশিল্পীদের গানের ভিডিওর মডেল হওয়া নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্যাপারটি এখন নিয়ম ও নিয়মিত হয়ে গেছে। তবে এই চমকে সত্যিকার অর্থেই দর্শক কতটা চমকিত হয়ে থাকেন বা হবেন সেটা প্রশ্ন। গান থেকে অভিনয়ে এসে তাহসান, পার্থ বড়ুয়া, মেহরাব, আরেফিন রুমি, শাফিন আহমেদ, হৃদয় খানরা চমক দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে সে খবর ঘটা করে প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে তাহসান ও পার্থ নিয়মিত অভিনয় করছেন। মাঝেমধ্যে তো খেলোয়ারদের দিয়ে অভিনয় করিয়ে চমক দেয়া হয়। মেহরাব হোসেন অপি, আশরাফুল ইসলাম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, খালেদ মাসুদ পাইলটরা অভিনয়ে এসে চমক দিয়েছেন। গায়ক বিপ্লব, আজম খান তো রীতিমতো সিনেমায় অভিনয় করে আলোড়ন তুলেছিলেন। আবার শাকিব খান, অপূর্ব, রুবেলরা গান গেয়ে চমক তৈরী করেন। এবার আসিফ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি সিনেমায় অভিনয় করবেন। নায়িকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মাহিয়া মাহিকে। যদিও এর আগেও আসিফ সিনেমা প্রযোজনা করবেন ঘোষণা দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন। যার কোন হদিস নেই। নায়িকাদের সিনেমা প্রযোজনা করা আরেক চমক। চারদিকে চলছে চমকের বাহার।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় চমকটা হয় ভিনদেশী কাউকে কাজ করানো। যেটা গেল কয়েকবছরে নিয়মিত হচ্ছে কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে। অথবা সেখানকার কোন সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে। ঘন্টাখানেকের পথ কলকাতা। অথচ কত চমক! শিনা চৌহান তো বাংলাদেশের বদৌলতে রীতিমতো তারকা বনে গেলেন। অথচ নিজের দেশ ভারতে নেই তার নতুন কোন কাজের খবর, নেই পরিচিতিও। ইদানিং ভারতের কন্ঠশিল্পীদের বাংলাদেশের চ্যানেলের ঈদ অনুষ্ঠানমালায় লাইভ শোতে উপস্থাপন করে চমকের চেষ্টা চলছে।
আসছে ঈদ। কে কোন ক্যাটাগরির তারকা বোঝা মুশকিল! বৈচিত্র আনতে টিভি চ্যানেলগুলো ছুটছে ভিন্ন পথে। এখানে তারকাদের দোষ বা যোগ্যতার সাফাই গাইলে কিছুটা ভুল হবে। অভিনয় শিল্পী নিপুণ চলচ্চিত্রেই যার কখনো কোনো শক্ত অবস্থান তৈরি হয়নি, তাকে কখনও নৃত্যশিল্পী বা কখনও উপস্থাপকের ভূমিকায় দেখা যায়। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকাদের দিয়ে উপস্থাপনা করানো আরেক চমক। এই কাতারে হেটেছেন দিতি, চম্পা, পূর্ণিমার মতো তারকারা। লাইভ গানের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হয় অভিনয়শিল্পীকে। যেন শিল্পীর গানের চাইতে ওইখানে চমক দেওয়াটাই মুখ্য। একবার কুমার বিশ্বজিৎ উপস্থাপনা করেছে একটি অনুষ্ঠান। জানা গেল, সে বছর যত অনুষ্ঠান হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানগুলোর উপস্থাপকদের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
অপি করিম কেমন অভিনেত্রী? নি:সন্দেহে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রশংসিত টিভি অভিনেত্রী। টিভি পর্দায় নিয়মিত দেখা যেত না। হঠাতই হাটলেন অন্যপথে। চমক দিতে বাংলাভিশনে শামীম শাহেদের পরিকল্পনায় ‘আমার আমি’র মাধ্যমে নিয়মিত হলেন। এরপরও কয়েকটি শো উপস্থাপনা করতে দেখা গেছে। তিনি কি পেরেছেন তার অভিনয়ের চেয়ে ভালো কিছু করতে? ভিন্ন কোন মাধ্যমে গিয়ে যদি নিজেকে ছারিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয়। তাহলে কেন ভিন্ন পথে হাটা?
ভিন্ন পথে হেটে অবশ্য অনেকে পেয়েছেন সফলতাও। ‘আমার আমি’-তে অপির জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছেন মুনমুন। লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছিলেন। কিন্তু অভিনয় মাধ্যমে সুবিধা না করতে পেরে উপস্থাপনায় নাম লিখিয়েছেন। উপস্থাপনায় তিনি বেশ সফলও। অভিনয় থেকে উপস্থাপনায় নিয়মিত হয়েছেন সামিয়া, আমব্রিন ও শাহরিয়ার নাজিম জয়। জয় নিজেই স্বীকার পেয়েছেন, নাটক- সিনেমা- অভিনয় সব মাধ্যমেই নিজেকে নিয়ে যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছেন। কিন্ত সবচেয়ে সফলতা মিলেছে এ উপস্থাপনায়। ‘সেন্স অব হিউমার’ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) উপস্থাপনা করতে গিয়ে তো রীতিমতো তোলপাড় করে দিয়েছে জান্নাতুলে পিয়া। খেলোয়ারদের অদ্ভুত প্রশ্ন করে হাস্যরসের তৈরী করেছেন। সমলোচনা হয়েছে সর্বত্র।
অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু মুখ্য নয়, কোনোমতে দর্শক নয়নে চমক লাগানোই যেন মূল উদ্দেশ্য হয়ে পড়ে। আর এই চমক লাগানোটা ঈদ অনুষ্ঠানমালায় একটু বেশি বেড়ে যায়। তখন ভিন্ন পরিচয়ে যুক্ত হওয়া ও করানোতে মাতে সবাই।
অনেকে বলছেন, চমক লাগানোই শুধু মূল বিষয় নয়। দর্শকদের ভিন্ন আনন্দ দিতেই তৈরি করা হয়। যেমন অগণিত অনুষ্ঠান প্রচারের ফলে অল্প ক’ জন উপস্থাপকের জন্য কাজটি কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে এটি একটি সুষ্ঠু বিকল্প হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত। তাছাড়া মূল ধারার উপস্থাপকেরা বিশেষ দিবসের জন্য খুব একটা যুতসই হন না, এটাও বোধ করেন কিছু দর্শক।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ
সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই
নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।
এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী
প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার
নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো
ভয় নেই।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার
ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে
বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে
এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি
কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা
যায়নি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা
খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল
৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ডিপজল নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ
শুরু হয়।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা
পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল
থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ
পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।
এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি
আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে
৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।