নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০১৮
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেউ হত্যা করতে পারে, এ কথা কোনো দেশপ্রেমী বাঙালি ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি। কিন্তু অনেকে যা ভাবতে পারেনি তাই করল কিছু মানুষরূপী হায়েনার দল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে এমনই এক অকল্পনীয় খবরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল সমগ্র বাঙালির। মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা। শোকাতুর বাঙালির হা-হুতাশ, বঙ্গবন্ধুকে কেউ মরতে পারে না, বঙ্গবন্ধু মরে নাই। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণকারী এমনই এক বাঙালি সংগীতজ্ঞ হাসান মতিউর রহমান লিখে ফেললেন, ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ শিরোনামে গান। গানটির সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী মলয় কুমার গাঙ্গুলি। জাতির পিতার প্রতি শোক প্রকাশ করা এই গানটি লেখার ইতিহাস প্রসঙ্গে হাসান মতিউর রহমান জানান-
‘সময়কাল ১৯৯০ সাল। আওয়ামী লীগের সন্মেলনে পরিবেশনের জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে দুটি গানের পরিকল্পনা করা হয়। আমার লেখা ‘আমি বন্দি কারাগারে’ সহ কয়েকটি গান তখন বেশ জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের এক নেতা আমাকে বলেন, আমি যেন মলয় কুমার গাঙ্গুলীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের পর রাতে গানটি লিখতে বসি। অনেক ভেবেও কোনো লাইন পাচ্ছিলাম না। ঠিক আজানের আগে একটা প্লট পেলাম। মনে হলো রাত তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই!’ সঙ্গে যোগ করলাম, ‘যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বন্ধবন্ধুর মুক্তি চাই!’ এতে কল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে যেমন বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে, তেমনি জেল থেকে তাঁকে মুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। এরপর পুরো গানটা শেষ করি। সকাল ১০টায় মলয় কুমার গাঙ্গুলীর কাছে নিয়ে যাই। লেখাটা পড়ে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ হয়েছে। চলেন দু’জন মিলে সুর নিয়ে বসে যাই।’ লেখার সময় সুরের একটা আইডিয়াও মাথায় ছিল। সেটা শেয়ার করার পর তাঁর জন্য কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। সম্মেলনে গানটি তিনি লাইভ পরিবেশন করেন। শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত সবার বেশ প্রশংসাও কুড়ান। তবে গানটি আলোচনায় আসে ১৯৯১ সালে। নির্বাচনের সময় এই গানের সঙ্গে আরও কিছু গান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ ‘জনতার নৌকা’ নামে একটি অ্যালবাম বের করি আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘চেনাসুর’ থেকে। মুহূর্তেই সারা দেশে ছড়িয়ে যায় গানটি। ক্যাসেটটি কেনার জন্য মানুষ মারামারি পর্যন্ত করেছে। গানে কিছুটা বৈচিত্র্য আনার জন্য ১৯৯৭ সালে গানটি সাবিনা ইয়াসমীনকে দিয়ে আবার গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন নেত্রী। তাঁর সঙ্গে জীবনে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই গানটির প্রশংসা করেছেন। বঙ্গবন্ধুভক্ত মানুষের অসংখ্য ভালোবাসাও পেয়েছি ’
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
কথা : হাসান মতিউর রহমান
সুর ও কণ্ঠ : মলয় কুমার গাঙ্গুলী
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই
যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, মুক্তি চাই
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই
যে মানুষ ভীরু কাপুরুষের মতো
করেনি তো কখনো মাথা নত
এনে দিলে হায়েনার ছোবল থেকে
আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা –
কে আছে বাঙালি তাঁর সমতুল্য
ইতিহাস একদিন দেবে তাঁর মূল্য
সত্যকে মিথ্যার আড়াল করে
যায় কি রাখা কখনো তা –
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।
১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।
তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।
কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন ফলাফল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ
সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই
নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।
এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী
প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার
নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো
ভয় নেই।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার
ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে
বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে
এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি
কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা
যায়নি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা
খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল
৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ডিপজল নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।