কালার ইনসাইড

‘মাঝেমধ্যে রাগ করে বলি, আমাকে তো মেরে ফেলবেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

গেল কয়েক বছরে ছোট পর্দায় তিনি আলোচনার শীর্ষে। রোমান্টিক হিরো হিসেবে পরিচিতি থাকলেও নিজের এই ইমেজ ভেঙে নানারূপে নিজেকে প্রকাশ করেন। এই অভিনয় ক্যারিশমা দেখানো চাট্টিখানি কথা নয়। সেসব নিয়ে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে।

ঈদের পরের ব্যস্ততা...

কোমর ব্যথায় ভুগছি বেশ কিছুদিন ধরে। আর ঈদের আগে এ নিয়েই করতে হয়েছে টানা শুটিং। ঈদের প্রায় দশ দিন আগে এই যন্ত্রণা শুরু হয়। ‘ট্যাটু’, ‘লালাই’, ‘জীবন এখানে এমন’ নাটকগুলো কোমর ব্যথা নিয়েই করতে হয়েছে। ইউনিটের লোকজন ধরে এখান থেকে ওখানে নিয়ে যেত। ‘এবার তোরা মানুষ হ’ নাটকটিতে তো কোমর ব্যথার জন্যই চরিত্রটাকে হুইল চেয়ারে বসানো হয়েছে। আমাদের জায়গাগুলো এমন হয়ে গেছে। ইচ্ছে করলেই কাজ বন্ধ করতে পারিনা। ইচ্ছে করলেই বিশ্রাম নিতে পারিনা। সেটা শুটিং স্পটেও। আমার সঙ্গে অনেক মানুষ যুক্ত। মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘আমাদের বকরভাই’ নামের একটি নাটকের পাঁচদিনের শুটিংয়ের প্রথম দিনেই বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে। এখনো ছেড়া। তা নিয়েই চলে যাচ্ছে। ঈদের সময় তাই কিছুটা বিশ্রাম নিয়েছি। একদম ফোন থেকেও দূরে। বাসায় শুয়ে বসে কাটিয়েছি।

সামনে শুরু হবে ১৬ ডিসেম্বরের নাটক নিয়ে ব্যস্ততা। এর আগে নিজেকে যতটা বিশ্রাম দেয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র করতে গেলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তার জন্য মানসিক এবং শারীরিক যে বিশ্রামটা দরকার। সেটা তো সবসময় পাওয়া সম্ভব হয় না।

শোনা যায়, যে চরিত্রটা নিয়ে পরিশ্রম একটু বেশি করতে হয়। বর্তমান সময়ে সেখানে পছন্দের তালিকার প্রথমে আপনি থাকেন। আপনার কী মনে হয়?

আমার মনে হয় এই এফোর্টটা সহজাত হয়ে গেছে। গ্রামের কাদা মাখামাখি থেকে শুরু করে পাগলের চরিত্র। সবটাই যেন আমার করতে হবে। দুই দিনের মধ্যে পাঁচটা লুক নিতে হবে। ডাক পড়বে আমার। আমি মাঝেমাঝে রাগ করে বলি, আমাকে তো মেরে ফেলবেন। আপনারা তো সময়ও দিবেন না। পাঁচদিন নেন পাঁচটা লুকের জন্য। তাও নিবেন না। এই দুইদিনেই করবেন। ওই যে তখন বাজেট ব্যাপারটা চলে আসে। পারলে ওই দুইদিনেরটা কমিয়ে একদিনে নিয়ে আসারও একটা ব্যাপার হয়ে যায়। কিন্তু এখানে আসলে নির্মাতাদেরও দোষ দিচ্ছি না। বাজেটের সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদেরও তো ভালো গল্প বলতে ইচ্ছে করে।

আর এর জন্যই কি গেল কয়েক বছরে আপনার নাটক আলোচনার শুরুর দিকেই থাকে?

আমি আসলে পরিশ্রমটা করি খুব। মানুষ আমাকে আর যাই বলুক না কেন। এটা বলবে যে সে পরিশ্রমী অভিনেতা। এসির বাতাস খেয়েও তো কম নাটক পাবো না। আমার যেটা খুব ইজিয়েস্ট জোন। সেখানে আমার মন টেকে না। চ্যালেঞ্জ নেই। এটা করতেই হবে। পরিচালকরাও সাহসটা পায়।

এবার ঈদের নাটক কেমন দেখলেন?

এখন গল্প নির্ভর কাজ বেশি হচ্ছে। অনেক বেশি আলোচনায় আসছে। যারাই রিভিউ দিচ্ছেন না কেন। আগে পুতুপুত প্রেমটাই বেশি আলোচনায় আসতো। দিনের শেষে এখন দর্শকের রূচির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। খেয়াল করলে দেখবেন, সিনেমার মত নাটকেও জনরা তৈরী হচ্ছে। যেটা আমরা বিশ্ব সিনেমায় দেখি। নির্মাতারা নানা জনরা নিয়ে কাজ করার সাহস পাচ্ছে। আরেকটা ব্যাপার হয়েছে আমাদের অভিনয়শিল্পীদের জন্য। এখানে উদাহরণ টানতে পারি, মেহজাবিন সুন্দরী হোক বা না হোক। তাকে পারফর্মার হতেই হবে। শুধু সুন্দরী বলেই সে পার পাবে না। সৌন্দর্য হয়তো প্লাস পয়েন্ট হবে। কিন্তু অভিনয় না জানলে এক না একদিন সে হেরে যাবে এখানে। ওকে সাধারণ একটা মেয়ে হতে হচ্ছে। যেকোন অভিনয়শিল্পীকে লেখক, ডিরেক্টররা, দর্শকরা এখন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। আমাদের সেটা গ্রহণ করে লড়াই করতে হচ্ছে। এটা একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই পজিটিভ। একটা সময় ছিল ক্লিনশেভ একটা ছেলে আর সুন্দরী একটা মেয়ে মডেল হবে। আফজাল হোসেন ভাইরা সেটা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এক সময় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কিংবা অমিতাভ রেজা ভাইয়েরা আসলেন। বিজ্ঞাপনের ভাষা পরিবর্তন হয়ে গেছে। নাটকের ক্ষেত্রেও এখন পরিবর্তন আসছে। দর্শকও কোনো না কোনোভাবে নাটক দেখছেন। তবে সময় এখন যে যত নিজেকে ভাঙ্গতে পারবে। সে তত জনপ্রিয়তা পাবে।

সময়টা নিয়ে আপনি খুশি?

চরিত্র নিয়ে খেলার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে। একজন প্রেমিক যে সবসময় রোমান্টিক সংলাপই বলবেন, সেটা যারা বিশ্বাস করে না। সে কাতারে অনেকদিন আগে থেকেই ছিলাম আমি। আজকালকার নাটকে যা অনেক বেশি প্রতিফলিত হচ্ছে। আমাকে ডিফারেন্ট কিছু করতে হবে। আমাকে ভাঙ্গতে হবে। এটা এমন নয় যে আমি হিরোর মতো দেখতে বলে আমার প্রতিটা গল্পে হিরোইজিমই দেখাতে হবে। আমিও হারতে পারি। সেটা দেখাতে সমস্যা কি। একজন রিকসাওয়ালাও সময়ের স্রোতে হিরো হতে পারে। সেটা দেখতে পারি এ সময়ে।

ভিন্নতার কথা বলেন, ঈদে আপনার ৩৫ টির উপরে নাটক প্রচার হয়েছে। এত গুলো নাটকে অভিনয় করে মানটা ধরে রাখা সম্ভব হয়?

এতগুলো নাটকও যদি হয়। আমি বলবো নিজেকে আলাদা করতে পেরেছি বা চেষ্টায় ছিলাম। একটা চরিত্রের সঙ্গে অন্য আরেকটি চরিত্রের মিল খুব কম নাটকেই পাবেন। এটাও কিন্তু ঠিক যে অনেক আগের করা নাটক প্রচার হয়। এই যে ‘আঙুর বালা’ নাটকটি। এটা কিন্তু আমাদের প্রায় তিন বছর আগের করা নাটক। সেটা এবার ঈদে প্রচার হয়েছে। এনটিভিতে প্রচার হয়েছে ‘আমার একটি গল্প বলার ছিল’। এটা রোজার ঈদে করা। ‘লায়লা তুমি কি আমাকে মিস করো’ নাটকটি ছিল গত ভালবাসা দিবসের জন্য করা। এরকম আগের কাজও প্রচার হয়। আমার অভিনয়ের বয়সকাল থেকে, আমার সমসাময়িক যারা কাজ করছে। আমি বলবো একমাত্র আমিই এই ব্যাপারটি অনেকবেশি মেনে চলার চেষ্টা করতাম। আমাকে আলাদা হতে হবে। আমাকে রোমান্টিক যেমন হতে হবে। আমাকে পাগল কিংবা মুচিও হতে হবে। আমাকে চাষী, রিকসাচালক থেকে সব চরিত্র হতে হবে। এটা আমি কখনোই ভাবিনি যে আমার সুটেট বুটেট থাকতে হবে। আমি পাল্লা দিয়ে নাটক করবো। চরিত্র নিয়ে খেলাটাই আসলে আমার মজা।

অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল গাজী রাকায়েতের হাত ধরে। আর অভিনয়ের গুরু মানেন হুমায়ূন ফরিদীকে। ওনারা এখনো আপনার মধ্যে কতটা বিদ্যমান?

ফরিদী ভাইকে অনেক হ্যান্ডসাম বলবো না। এরকম একটা মানুষ যে মিডিয়াতে তোলপাড় করলো। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন লুকটাই অতীব জরুরি না। সেখানে যদি আমার লুক থাকে তো সেটা প্লাস পয়েন্ট। সে তো আমার অভিনয়ের বাবা। আমি কখনোই তাকে ছাড়াতে পারবো না। তবু আমার স্বপ্ন একদিন মানুষ তার মতো আমাকেও মনে রাখবে। অভিনয়ের জন্য ভালবাসবে। আমার একটা সময়ে হঠাৎ করে মনে হতো উনি যদি আমার বাবা হতেন বা সুবর্ণা আপা যদি আমার মা হতেন। হয়তো আরও সান্নিধ্য পেতাম। হয়তো আরও নিজেকে তৃপ্ত মনে হত। শিল্পী সত্তার একটা দায়িত্ববোধেরও জায়গা আছে। হয়তো আমার ক্যারেক্টারে প্রেম থাকবে। তবে সেটা যে সব সময়ই নর-নারীর প্রেম থাকতে হবে তা নয়। কখনো আমার সঙ্গে ছাত্রের প্রেম। কখনো পশুর সঙ্গে প্রেম। একটা সময় তো আর ইয়ং থাকবো না। তখন আসলে আমার অভিনয়টাই থাকবে। এই হিরোইজিমটা তো একটা সময়ে করতে পারবো না। ফরিদী ভাই সবটায় সেরা ছিলেন। যে মানুষটা ভিলেনের চরিত্র করতেন। সেই মানুষটাই আবার রোমান্টিক সংলাপ বলতেন। মানুষ নতুন কিছু পেত। রাকায়াত ভাইয়ের হাত ধরে আমার অভিনয় শুরু। আমি শুরু থেকেই বলতাম ভাইয়া আমি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র করবো। উনি বলতেন এটা অনেক কষ্টকর। তখন বলতাম আমি কষ্ট করতে রাজি আছি। এর জন্য আমি কখনো পিছপা হইনি।



নতুন- পুরাতন পরিচালকদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা হয়। নতুনদের সম্ভাবনা কেমন?

আমি সবাইকেই বলি। অসংখ্য কাজ করাটা মূল লক্ষ্য রেখো না। এখন যেটা হচ্ছে ভিউশিপের যুগ। সবাই ভিউটা কাভার করতে চায়। গত ঈদে ‘বুকের বা পাশে’ অনেক ভিউ পাচ্ছিল। এটা নিয়ে আমার ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। সত্যি বলতে ‘ভিউ’টা কখনো স্ট্যান্ডার্ড মান হতে পারে না। এর পেছনে ছোটা উচিত নয়। ভাল কাজ হলে এমনিতেই সেটা ভাইরাল হয়ে যাবে। কিন্তু অনেক সময় অনেক ভালো কাজ আড়ালে পড়ে যায়। কখনো প্রত্যাশা করো না ঢালাওভাবে প্রশংসা পাবে। যেমন এবার বান্নাহ পপুলার হওয়ার মতো কোন কনটেন্টই বানায়নি। আমাদের যেমন ইজি জোন থাকে। ও যে চেষ্টাটা শুরু করছে। হয়তো পাঁচ বছর পর এর ফিডব্যাক পাবে। আমি যখন এটা শুরু করলাম। সবাই বলতো কি করতেছো। আমি বলতাম দেখো পাঁচ বছর পর এই দিয়েই আমি অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবো। পরিচালকদের ক্ষেত্রেও সেটা বলবো। আজ যেটা থেকে প্রশংসা পেয়েছো বা জনপ্রিয়তা পেয়েছো। সেটা না করে কাল অন্য আরেকটা কিছু চেষ্টা করো।



বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন