নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কলকাতার সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্তের ‘মালা’ শিরোনামের একটি গান রয়েছে। গানের একটি লাইন এমন- ‘তোমার কথা বলা যেন মধুবালা, তোমার হাঁটাচলা সোফিয়া লরেন।’ এভাবেই গানের উপমায় স্থান পায় হলিউডের ক্ল্যাসিক অভিনেত্রী সোফিয়া লরেনের সৌন্দর্য। আজ ২০ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে পা দিয়েছেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।
ইতালির রাজধানী রোমে ১৯৩৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সোফিয়া লরেন। পাড়ার দুষ্ট ছেলেরা তাঁকে দেখলে টিটকারি করতো, অনেক কুৎসিত কথা বলতো। এর পেছনে দু’টি কারণ ছিল। প্রথমত, তখনো সোফিয়ার বাবার সঙ্গে মায়ের বিয়ে হয়নি। দ্বিতীয়ত, তিনি ছিলেন অন্যদের চেয়ে একটু বেশি রকমের লম্বা আর হালকা পাতলা গড়নের। এজন্য তাঁকে পাড়ার ছেলেরা ‘টুথব্রাশ’ বলে উত্যক্ত করতো।
সোফিয়া লরেনের মায়ের নাম রোমিলদা ভিলানি ও বাবা রিকার্দো সিসোলোনি। স্বামী নেই যাঁদের, তাঁদের জন্য নির্মিত বিশেষ হাসপাতালে সোফিয়ার জন্ম। মা রোমিলদা শিশু সোফিয়াকে হাসপাতালে রেখেই হয়তো চলে যেতেন। কিন্তু তাঁর মনে ছিল ক্ষীণ আশা—মেয়ের বাবা ফিরে এসে তাঁকে বিয়ে করবেন। রিকার্দো অবশ্য হাসপাতালে এসেছিলেনও। এসে কিছুক্ষণ বসলেন; দেখলেন সন্তানের চেহারা। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পিতৃত্ব স্বীকারের কাগজপত্র সই করলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত রোমিলদাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন না কিছুতেই। তাঁর সন্দেহ ছিল সোফিয়া অন্যকোন ব্যক্তির অবৈধ সন্তান। রিকার্দোর মায়ের নামে মেয়েটির নাম রাখা হলো সোফিয়া। তখনো কারও জানার কথা নয় এই সোফিয়াই একদিন বিশ্ব মাতাবেন।
সোফিয়া লরেনের প্রকৃত নাম সোফিয়া ভিলানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইতালিতে দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠেন সোফিয়া। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি উচ্চতার সোফিয়ার ক্যারিয়ার শুরু হয় একটি নিম্নমানের রগরগে ম্যাগাজিনের মডেল হিসেবে। ১৯৫১ সালে মারভিন লেরয় পরিচালিত `কুয়ো ভাদিস` ছবিতে সহ-অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন সোফিয়া। তখনই সোফিয়া ভিলানি সিকোলান থেকে হয়ে গেলেন সোফিয়া লরেন। প্রধান চরিত্রে তার প্রথম অভিনয় ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত `আইডা` ছবিতে। সে বছরই বিশ্বখ্যাত ইতালিয়ান চিত্রপরিচালক ভিত্তরিও ডি সিকার নজরে আসেন তিনি। মুক্তি পায় সোফিয়া অভিনীত প্রথম সফল চলচ্চিত্র `দ্য গোল্ড অব নেপলস`।
দীর্ঘ প্রায় সাত দশকের ক্যারিয়ারে মনে রাখার মতো বহু চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোফিয়া লরেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘টু ওম্যান’ `দ্য কি`, `দ্যাট কাইন্ড অব ওম্যান`, `হেলার ইন পিংক টাইটস`, `বোক্কাচ্চিয়ো ৭০`, `ম্যারেজ ইতালিয়ান স্টাইল`, `সানফ্লাওয়ার`, `আ কাউন্টেস ফ্রম হংকং`, `আঞ্জেলা`, `রানিং অ্যাওয়ে`, `ইট স্টার্টেড ইন নেপলস`, `দ্য ফল অব দ্য রোমান এম্পায়ার`, `রেডি টু ওয়ার`, `বিটুইন স্ট্রেঞ্জারস` ও `নাইন`।
অভিনয় ছাড়াও সোফিয়া লরেন বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দেন। ব্রিটিশ অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী পিটার সেলারের সঙ্গে তাঁর দুটি অ্যালবাম—‘গুডনেস গ্রেসিয়াস মি’ (১৯৬০) ও ‘ব্যাঙ্গারস অ্যান্ড ম্যাশ’ (১৯৬১) যুক্তরাজ্যে শীর্ষ তালিকায় স্থান পেয়েছিল।
১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টু ওমেন’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার জিতেন সোফিয়া লরেন। এছাড়া অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, কানসসহ প্রায় ৪০টির মতো পুরস্কার জিতেন জীবন্ত এই কিংবদন্তি।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।