নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সিনেমা নির্মিত হয় সেই দেশেই। এর মধ্য থেকে সেরা ছবি নির্বাচন করা মোটেও সহজ নয়। তবুও এমন কাজের গুরু দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব মাসন্দ, কমল নাহতা, তরণ আদর্শ, মায়াঙ্ক শেখর ও খালিদ মোহাম্মদসহ বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক। সেখান থেকে সমালোচকদের সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া ১০টি ছবির কথা জানা যাক:
পথের পাঁচালী
অনেক চলচ্চিত্র সমালোচকের মতে, বাংলা ভাষায় নির্মিত ‘পথের পাঁচালী’ ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ১৯৫৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের জীবনধারা অত্যান্ত শৈল্পিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক সত্যজিৎ রায়। দেশ বিদেশে বহু পুরস্কার জেতার পাশপাশি ছবিটি গোটা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের নজর কেড়েছে।
মাদার ইন্ডিয়া
‘মাদার ইন্ডিয়া’ অস্কারে যাওয়া প্রথম ভারতীয় ছবি। ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নার্গিস, মনোজকুমার এবং সুনীল দত্ত’র মতো ওই সময়ের সেরা তারকারা। জমিদার ও মহাজনপ্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই ছবির গল্প দর্শক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়ায়।
মুঘল এ আজম
ভারতের সবচেয়ে বেশি দেখা ছবির একটি ‘মুঘল এ আজম’। পৃথ্বীরাজ কাপুর এবং দিলিপকুমার অভিনীত এই ছবিতে উঠে আসে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস। সম্রাট আকবরের ছেলে সেলিম এবং অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে আনারকলির সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখানো হয়েছে ছবিতে। ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে আনারকলির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব নায়িকা মধুবালা। তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় বাজেটের এই ছবি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল ১৫ বছর।
শোলে
১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শোলে’ দেখেনি এমন সিনেমাপ্রেমী খুব কমই রয়েছে। ধর্মেন্দ্র,অমিতাভ বচ্চন ও আমজাদ খান অভিনীত এই ছবির আবেদন এখনো ফুরোয়নি। খল চরিত্রে আমজাদ খানের অভিনয় এবং ছবির সংলাপ আজও দর্শকদের মুখে মুখে। শাহরুখ-কাজলের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের’ মুক্তির আগে ‘শোলে’ ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশীদিন ধরে চলা ছবি।
দিল চাহতা হ্যায়
ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ কোনোভাবেই ব্লকবাস্টার ছবি নয়। কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস লেখা হলে ফারহান আখতার পরিচালিত এই ছবির নাম ওপরের দিকেই থাকবে। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান, অক্ষয় খান্না ও সাইফ আলী খান। তিন বন্ধুর জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবি প্রথাগত বাণিজ্যিক ছবির ধারা বদলে দেয়। এরপর থেকে আজগুবি কাহিনী বর্জিত হতে থাকে বলিউড। সমালোচকদের মতে, আধুনিক জেনারেশনকে সিনেমামুখী করারা পেছনে ছবিটির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
লগান
এই ছবি নির্মাণের সময় নাকি পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকার কোনো প্রযোজক খুঁজে পাননি। ব্রিটিশ শাসনামলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ছবি নির্মাণে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসেন আমির খান। প্রযোজনার পাশপাশি দুর্দান্ত অভিনয়ও করেন আমির। ভারতের পাশপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও সাড়া ফেলে দেয় ‘লগান’। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি অস্কারে মনোনীত হয়।
থ্রী ইডিয়টস
গত দশকে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত ছবির একটি ‘থ্রী ইডিয়টস’। তিন বন্ধুর কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবি থেকে অনেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নেন। রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। আমির খান, মাধবান ও শারমান যোশি অভিনীত এই ছবি ভারতের সর্বপ্রথম ৩০০কোটি রুপি আয় করা ছবি।
দ্য লাঞ্চবক্স
একজন মানুষের সরলতা এবং কিছু অব্যক্ত প্রেমের গল্প নিয়ে ২০১৩ সালে নির্মিত হয় দ্য ‘লাঞ্চবক্স’। ইরফান খান ও নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মতো অভিনেতাদের শক্তিশালী অভিনয় ছবিটিকে এনে দিয়েছে ভুরিভুরি প্রশংসা ও পুরস্কার। সমালোচকদের বিশ্বাস, অস্কার কমিটির বোকামির কারনেই ‘লাঞ্চবক্স’-কে অস্কারে পাওয়া যায়নি।
গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর
হাড় হিম করা থ্রিলার ধাঁচের এই ছবির নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি ভারতের সর্বকালের সেরা ছবির তালিকায় ঢুকে গেছে। বিহারের ওয়াসিপুর এলাকার তিন প্রজন্ম ধরে তৈরি এক প্রতিশোধের কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে গ্যাংস অব ওয়াসিপুর। অসাধারণ সব দৃশ্যপটে সাজানো এই ছবি এতটাই বড় ছিল যে, দুই খণ্ডে ছবিটি মুক্তি দিতে হয়। ছবিতে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও মনোজ বাজপেয়ীর মত বিখ্যাত অভিনেতাদের অভিনয় যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে দর্শক।
বাহুবলী
বলিউডের একছত্র অধিকারকে ভেঙে দেয়া ছবি সিরিজ ‘বাহুবলী। রাজমৌলি পরিচালিত এই ছবির বিশাল বাজেট এবং সেট শুধুমাত্র হলিউডের সঙ্গে তুলনা চলে। বিশ্বব্যাপী ২ হাজার কোটি রুপিরও বেশি আয় করে ‘বাহুবলী ২’ ভারতীয় ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড গড়ে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছবিটি টপ চার্টে জায়গা করে নেয়।
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া, আইএমডিবি ও মিড ডে
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ
শুরু হয়।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা
পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল
থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ
পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।
এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি
আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে
৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
বিএফডিসিতে রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন
করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল
মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।
এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।
মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন, সহ-সভাপতি পদে ড্যানি
সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান,
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও
ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।
কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।
এছাড়াও এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান এবং শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।
ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
করেছ নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু বলেন, ‘এবার ভোটার আছেন ৫৭০ জন। নির্বাচনে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। গতবারের কোনো প্রভাব যেন এই নির্বাচনে না পড়ে সেটাও খেয়াল রাখছি।’
মিশা সওদাগর মনোয়ার হোসেন ডিপজল মাহমুদ কলি নিপুণ আক্তার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
মন্তব্য করুন
নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে
জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন
মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল
ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির
আবেদন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ
মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার
জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা
পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ
তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত
বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল
সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং
পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা
মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট
ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে
অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল
আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে
ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে
পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ
করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং
গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে
আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির
উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা
ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।